আপনাদের মধ্যে যারা ইউটিউবিং করেন তারা হয়তো নানা সময় কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হন। বর্তমানে অনলাইন এর মধ্যে সমস্ত কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস বের হয়েছে।
যার মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আরো ভালোভাবে কাজ করা সম্ভব এবং যথেষ্ট পরিমাণে ভালো রেজাল্ট পাওয়াও সম্ভব। ঠিক একইভাবে ইউটিউবিং কে সহজ করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে অনেক ধরনের ফ্রি টুলস রয়েছে। যা ব্যবহার করে ইউটিউবে আরো সহজ করা সম্ভব এবং আরো বেশি ভাল রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব।
হয়তোবা আপনি এই বিষয়গুলোর সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না যার কারণে এতদিন ইউজ করতে পারেননি। কিন্তু আজ থেকে আপনি এই টুলগুলো ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারেন।
কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইউটিউবারদের জন্য সব থেকে প্রয়োজনীয় ৮টি সেরা ফ্রি টুলস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যদি আপনি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন, তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এই আর্টিকেল শেষে আপনি এমন কিছু ট্রিক্স এবং টুল এর সন্ধান পাবেন যা দিয়ে আপনার ভবিষ্যত ইউটিউবিং আরো গতিময় করতে পারবেন।
তাহলে চলুন অতিরিক্ত কথা না বলে জেনে নেই ইউটিউবারদের জন্য প্রয়োজনীয় ৮টি সেরা ফ্রি টুলস সম্পর্কে।
অনলাইন টুলস গুলো ব্যবহারের সুবিধা সমূহ
আমরা আজকের এই আর্টিকেল শুরু করার পূর্বে প্রথমে জেনে নেই যে এই টুলস গুলো ব্যবহার করলে আপনি কি কি ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। কারণ আপনি মূলত কি কি সুবিধা পাবেন সেই সম্পর্কে অবহিত না হন, তাহলে এই টুলগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করার আগ্রহ কমে যাবে।
এই টুলগুলো ব্যবহার করলে আপনি মূলত কয়েকটি সুবিধা পাবেন। যেগুলো হল:
১. সময় সাশ্রয়: সময় সাশ্রয় করা জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি। মূলত আমরা যখন ইউটিউবিং করতে যাই তখন আমাদের প্রচুর পরিমাণে সময় প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি যখন এগুলো টুলস গুলো ব্যবহার করবেন তখন আপনি প্রচন্ড পরিমাণ সময় সাশ্রয় করতে পারবেন। যে কাজগুলো আপনাকে পূর্বে এক ঘন্টা লাগতো সেই একই কাজগুলো আপনি দশ মিনিটের মধ্যেও সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
২. তুলনামূলক ভালো রেজাল্ট: আপনি যখন এই টুলগুলো ব্যবহার করবেন তখন আপনি খুব ভালো পরিমাণে সফলতা অর্জন করতে থাকবেন। সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে ওয়াচ টাইম বৃদ্ধি পর্যন্ত সাহায্য করবে এই টুলস গুলো। এই টুলগুলো আপনাকে youtube seo করতে এবং ভিডিও ভাইরাল করতেও সাহায্য করবে। যার ফলে অতিরিক্ত ট্রাফিক আসবে এবং সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ।
৩. দক্ষতা বৃদ্ধি: আপনি যখন এই টুলগুলো ব্যবহার করবেন তখন ধীরে ধীরে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কোন জায়গাগুলোতে সমস্যা রয়েছে। পরবর্তীতে সেগুলোকে ধীরে ধীরে রিকভার করে নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করলে আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার কোন স্থানগুলোতে বেশি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। এবং কিভাবে কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
৪. বেশি ভিউ বেশি সাবস্ক্রাইবার: আপনি যখন এই টুলগুলো ব্যবহার করে সঠিকভাবে আপনার ভিডিওগুলো কে অপটিমাইজ করবেন। তখন আপনার ভিডিওগুলো খুব সহজেই ভাইরাল হবে এবং এসইও হবে। যার ফলে আপনার বেশি পরিমাণে ভিউ আসবে এবং এর পাশাপাশি আপনার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। সেগুলো আপনারা এই টুলগুলো ব্যবহার করলে পাবেন। যেহেতু এই টুলগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে এক্সট্রা কোন খরচ করতে হবে না। নিয়মিত কাজ করার ফলে আপনি পরবর্তীতে নিজেই এর সুবিধা গুলো বুঝতে পারবেন।
ইউটিউবারদের জন্য প্রয়োজনীয় ৮টি সেরা ফ্রি টুলস ২০২৪
ইউটিউবারদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় ৫টি সেরা টুলস কে নিচে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করব। এই সম্পর্কে আমি সংক্ষেপে আলোচনা করব এবং এর সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে জেনে নেই ইউটিউবারদের জন্য প্রয়োজনীয় ৮টি সেরা ফ্রি টুলস সম্পর্কে:
১. Ahrefs
Ahrefs মূলত বিশ্ব বিখ্যাত এসইও টুল, যা মূলত কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং ব্যাক লিংক চেকারের জন্য সবথেকে জনপ্রিয়। কিন্তু আপনি চাইলে Ahrefs টুল ব্যবহার করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওর জন্য খুব সহজেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন।
ইউটিউবের জন্য কিওয়ার্ডের রিসার্চ করার জন্য Ahrefs এর ডিফল্ট একটি টুলস রয়েছে। যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে পারবেন। আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতেই এই রিসার্চ গুলো করতে পারবেন এর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোন টাকা ব্যয় করতে হবে না।
এই টুল ব্যবহার করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য প্রথমে আপনাকে Ahrefs এর ইউটিউব কিওয়ার্ড রিসার্চ পেজে যেতে হবে। পেজের মধ্যে আপনি খুব সহজেই নির্দিষ্ট একটি কান্ট্রিকে টার্গেট করে আপনার ইউটিউবের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে পারবেন।
কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে কোন কিওয়ার্ড এর ভলিউম কত এবং ডিফিকাল্টি কত। এই দুইটি বিষয়ে আপনি সেখান থেকে খুব সহজেই লক্ষ্য করতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী আপনি লো কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
লো কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে খুব সহজেই ভিডিও রেঙ্ক করে এবং ভাইরাল করতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন আপনি যদি ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনার ভিডিওগুলো সবার সামনে উপস্থাপন হবে এবং আপনার ভিডিওগুলোতে বেশি ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার আসবে।
2. Chat GPT
চ্যাট জিপিটি মূলত একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যা ওপেন এআই দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত এই টুলটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই পুরো বিশ্বব্যাপী এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে দিয়েছিল।
এই টুলটি এতই পাওয়ারফুল যে আপনি যে কোন ধরনের কাজ করিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই। আর বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় কিন্তু এর প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ রয়েছে, যেটা আরো উন্নত এবং ভালো রেজাল্ট দেয়। কিন্তু আপনারা যারা শুধুমাত্র কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তারা ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে চ্যাট জিপিটি ইউটিউবাররা কিভাবে ব্যবহার করবে এবং কোন কাজে ব্যবহার করবে। ওয়েল, ইউটিউবাররা মূলত তাদের ভিডিও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জিপিটির সাহায্য নিয়ে আরো পাওয়ারফুল এবং এসইও ফ্রেন্ডলি করতে পারবে। আচ্ছা চলুন সংক্ষেপে জেনে নেই ইউটিউবাররা কোন কাজের জন্য Chat GPT ব্যবহার করা যেতে পারে।
চ্যাট জিপিটি দিয়ে ইউটিউবিং এর সুবিধাসমূহ
১. ভিডিওর স্ক্রিপ্ট রাইটিং: ভিডিও তৈরি প্রাথমিক কাজ হচ্ছে স্ক্রিপ্ট তৈরি করা, যার জন্য অনেক ইউটিউবাররা রাইটারদেরকে হায়ার করে। সে ক্ষেত্রে আপনি চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে যেকোন ভিডিওর জন্য প্রফেশনাল ভাবে স্ক্রিপ্ট রাইটিং করে নিতে পারবেন। যেকোনো টপিকের ওপর এবং যে কোন ভাষার ওপর।
২. ভিডিওর টাইটেল জেনারেট: চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে আপনার খুব সহজেই ভিডিওর জন্য অ্যাটেনশন গ্রাবিং টাইটেল জেনারেট করে নিতে পারবেন। আপনাকে জাস্ট চ্যাট জিপিটিতে গিয়ে আপনার টপিক এবং কিওয়ার্ড প্রদান করতে হবে, তারপর দেখবেন চ্যাট জিপিটি আপনাকে অসাধারণ এবং আকর্ষণীয় টাইটেল জেনারেট করে দিবে। এখানে অনেকগুলো টাইটেল জেনারেট করে দিবে। যদি আপনার তবুও পছন্দ না হয় তাহলে আপনি আবার জেনারেট করে নিতে পারবেন যতক্ষণ না আপনার পছন্দ হয়।
৩. ভিডিওর সাবটাইটেল: ভিডিও সাবটাইটেল তৈরি করা মূলত একটি খুবই কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। কিন্তু আপনি জিপিটি ব্যবহার করেন মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে আপনার ভিডিওর জন্য সাবটাইটেল তৈরি করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আপনার ভিডিওর স্ক্রিপ্ট প্রদান করতে হবে। আপনার স্ক্রিপ্ট প্রদান করার পর দেখতে পারবেন যে আপনার সাবটাইটেল প্রফেশনালি জেনারেট করে দিবে।
৪. এসইও ফ্রেন্ডলি ডিসক্রিপশন: একটি ইউটিউব ভিডিওকে র্যাংক করানোর জন্য ডিসক্রিপশন ব্যাপক প্রভাব রাখে। আপনি চাইলে খুব খুব খুব সহজেই আপনার ভিডিওর জন্য প্রফেশনাল ও এসইও ফ্রেন্ডলি ডেসক্রিপশন তৈরি করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে জাস্ট আপনার ভিডিও টাইটেল এবং কিওয়ার্ড প্রদান করতে হবে।
জাস্ট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আপনাকে একটি প্রফেশনাল মানে ডিসক্রিপশন প্রদান করবে। আপনি চাইলে ইমোজি সহ আপনাকে ডিসক্রিপশন তৈরি করে দিবে এবং চাইলে প্রয়োজনীয় লিংক সংযুক্ত করে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যদি ডিসক্রিপশন পছন্দ না হয় তাহলে আপনি রিজেনারেট করে নিতে পারবেন বারবার যতক্ষণ না আপনার মন মতো তৈরি হচ্ছে।
৫. থাম্বেইল সাজেশন: ধরে নেন আপনি বিগিনার কিংবা আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে আপনার ইউটিউব ভিডিওর থাম্বেইনের সাজেশন দিতে পারেন। আপনাকে জাস্ট এর জন্য আপনার টাইটেল এবং কিওয়ার্ড প্রদান করতে হবে। তারপর দেখবেন খুবই আকর্ষণীয় এবং ইফেক্টিভ থাম্বেইল সাজেশন দিয়ে দিবে চ্যাট জিপিটি। আপনি সেই সাজেশন কপি করে Mid journey কিংবা অন্যান্য এআই যেগুলো ইমেজ তৈরি করে সেগুলোতে প্রদান করার সাথে সাথেই আপনাকে আকর্ষণীয় থাম্বেইল তৈরি করে দিবে।
৬. হ্যাশট্যাগ: ভিডিওকে এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য অবশ্যই হ্যাশট্যাগ প্রদান করা উচিত। আপনি খুব সহজে চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে হ্যাশট্যাগ তৈরি করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র আপনার প্রধান কিওয়ার্ড এবং টাইটেল প্রদান করতে হবে। আপনি জাস্ট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার হ্যাশট্যাগ তৈরি করে নিতে পারবেন।
৭. ট্যাগ: যারা ইউটিউব নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করেছেন এবং এসইও সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে তারা অবশ্যই জানেন যে ট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রেও আপনি চ্যাট জিপিটি ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনার ভিডিওর জন্য ইফেক্টিভ ট্যাগ তৈরি করে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে জাস্ট আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড প্রদান করতে হবে।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেকভাবে আপনি জিপিটি ব্যবহার করতে পারেন ইউটিউবিং করার জন্য। যা আপনার সময়, অর্থ বাঁচাতে এবং অসাধারণ ফলাফল তৈরি করতে সাহায্য করবে।
৩. Canva
Canva খুবই জনপ্রিয় একটি গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর জন্য প্রয়োজনীয় টুল। এইটুল ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের প্রফেশনাল ইমেজ তৈরি করা সম্ভব। এখানে রয়েছে অসংখ্য প্রিমেড অর্থাৎ পূর্বেই নির্মাণ করা ইমেজ যেগুলোকে জাস্ট খুব সহজেই এডিট করা সম্ভব।
আপনার youtube চ্যানেলের জন্য লোগো, ব্যানার এবং ভিডিওর থাম্বেইল তৈরি করার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। মূলত যারা ইউটিউব এর জন্য থাম্বেইল তৈরি করে তাদের 90% মানুষ এই স্থান থেকেই থাম্বেইল তৈরি করে থাকে।
এটি সম্পূর্ণ ইউজার ফ্রেন্ডলি একটি টুলস, এছাড়াও মোবাইল ভার্সনের অ্যাপ রয়েছে যেখান থেকেও সেইম একই কাজ করা যায়। মূলত এই টুলস টির দুইটি ভার্সন রয়েছে প্রথম কি হলো ফ্রি ভার্সন। যেখানে আপনি বেসিক অপশন এবং ইমেজ ব্যবহার করতে পারবেন। অপরদিকে প্রিমিয়াম ভার্সনে আপনি সমস্ত উন্নতমানের ফিচার পাবেন। যা আপনাকে প্রফেশনাল ইমেজ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
বর্তমানে অনেক সাইট রয়েছে যারা প্রিমিয়াম ভার্সন গুলোকে অল্প দামে বিক্রিও করছে। আপনি ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে খুব সহজে Canva এর প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করে প্রফেশনাল থাম্বেইল তৈরি করতে পারবেন।
৪. Rapid Tag
Youtube ভিডিওকে এসইও করার জন্য এবং ভাইরাল করার জন্য ট্যাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। ট্যাগ মূলত রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোকেই বুঝানো হয়ে থাকে।
যখন কেউ রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে সার্চ করবে তখনো আপনার ভিডিও শো করবে। যার ফলে আপনার ভিউ বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কিভাবে রিলেটেড অর্থাৎ ট্যাগ জেনারেট করবেন সেই সম্পর্কে অনেকেই অজানা।
যেহেতু চ্যাট জিপিটির লাস্ট ভার্সন ২০২১ সালে আপডেট করা হয়েছিল সেহেতু বর্তমান বিষয়গুলো সম্পর্কে চ্যাট জিপিটি খুব একটা ভালো ট্যাগ প্রদান করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি Rapid Tag ব্যবহার করতে পারেন।
Rapid Tag ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ট্রেন্ডিং ও হাই পারফরম্যান্স যুক্ত ট্যাগ খুঁজে বের করতে পারবেন। যা আপনার ভিডিওর মধ্যে ব্যবহার করার ফলে আপনার ভিডিও পারফরম্যান্স আগেই তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি ভিডিও কে এসইও ও ভাইরাল করতে সাহায্য করবে। সুতরাং অবশ্যই আপনারা যারা ট্যাগ তৈরি করতে চান অবশ্যই Rapid Tag টুলটি ব্যবহার করতে পারেন
৫. VidIQ
VidIQ মূলত একটি অসাধারণ টুলস নতুন ইউটিউবার দের জন্য। এই টুলের অনেক ফিচার এবং সুবিধা রয়েছে। যারা নতুন ইউটিউবার এসইও সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তাদের জন্য এই টুলটি বেস্ট হবে।
এই টুলের মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন যে আপনার ইউটিউব ভিডিও কোন অংশগুলোকে অপটিমাইজ করতে হবে। টাইটেল অপটিমাইজ, ডিসক্রিপশন অপটিমাইজ, ট্যাগ যুক্ত করা এবং যাবতীয় seo-র জন্য সবথেকে বেস্ট একটি টুল।
এই টুলসটির প্রিমিয়াম ভার্সন এবং ফ্রি ভার্সন রয়েছে। ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করে আপনি বেসিক সমস্ত জিনিস তৈরি করতে পারবেন এবং এডিট করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের পারফরম্যান্স আরো ভালোভাবে এনালাইস করতে পারবেন।
আর আপনি যদি আরো প্রফেশনাল ভাবে আপনার ভিডিওকে এসইও করতে চান এর পাশাপাশি ভাইরাল করতে চান সেক্ষেত্রে তাদের প্রিমিয়াম প্ল্যান গ্রহন করা উচিত হবে। এই টুলটি ব্যবহারের ফলে আপনি ইউটিউবের অ্যালগরিদম এবং এসইও সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। সুতরাং যারা নতুন কিংবা মিডিয়াম লেভেলের ইউটিউবার তারা অবশ্যই এই টুলসটি ইউটিলাইজ করার চেষ্টা করবেন।
৬. Google Trends
বর্তমানে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করলে কিংবা ভিডিও তৈরি করলে বেশি ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার পাওয়া যায়। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে কোন বিষয়টা ট্রেন্ডিং সেটা চিহ্নিত করা। আপনি ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো খুঁজে বের করার জন্য google ট্রেন্ড ব্যবহার করতে পারেন।
Google ট্রেন্ড হলো গুগলের একটি প্রোডাক্ট, যা ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোকে সবার সামনে উপস্থাপন করে থাকে। গুগল ট্রেন্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই বর্তমান সময়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কেন্দ্র করে আপনি ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন।
এই টুলটি সম্পূর্ণ ফ্রি যা বিশ্বের সব দেশে ব্যবহার করা সম্ভব। এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। শুধুমাত্র তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে আপনার টপিক সম্পর্কে কিংবা যে কোন একটি নির্দিষ্ট দিয়ে সার্চ করেই নির্দিষ্ট দিন কিংবা স্থানকে চিহ্নিত করার মাধ্যমে ট্রেন্ডিং টপিক গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন।
মনে রাখবেন ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো সব সময় বেশি আগ্রহে কেন্দ্র থাকে। এজন্য ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে কাজ করলে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
৭. YouTube audio library
ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মিউজিক বা অডিও। অনেক সময় youtube ভিডিও গুলোতে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড যুক্ত করতে হয়। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে সবগুলো সং ব্যবহার করা যায় না কেননা কপিরাইট ধরা পড়তে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি youtube অডিও লাইব্রেরি থেকে আপনার মিউজিক কিংবা অডিও সংগ্রহ করতে পারেন। ইউটিউব অডিও লাইব্রেরী হল ইউটিউবের সরাসরি প্রোডাক্ট যার সবগুলো মিউজিক কপিরাইট ফ্রি এবং যে কোন ভিডিওর জন্য ব্যবহার করার উপযোগী।
এখান থেকে আপনি ভিডিওর জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কালেক্ট করতে পারবেন। এই টুলটি সম্পূর্ণ ফ্রি এখানে কোন প্রকার টাকা ব্যয় করতে হয় না।
৮. Wisecut
বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। Wisecut হলো এক ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরিকৃত ভিডিও এডিট করে। এখান থেকে আপনি খুব সহজেই কোন প্রকার কাজ না করে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করে নিতে পারবেন।
এই টুলটি যারা বর্তমানে বেশিরভাগ ইউটিউবার তাদের ভিডিওগুলো এডিট করে নিচ্ছে। একটি ভিডিও এডিট করতে মূলত দুই থেকে তিন ঘন্টা লাগে কিন্তু এই টুল ব্যবহার করার পর আপনাকে একটি ভিডিও এডিট করার জন্য সর্বোচ্চ 10 থেকে 15 মিনিট সময় লাগবে।
এটা অটোমেটিক্যালি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা প্রয়োজন মাফিক ভাবে এডিট করে নিবে। এর পাশাপাশি আপনার ভিডিওর মধ্যে যদি কোন ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ থাকে সেটা কেউ রিমুভ করে নিবে। সহজে বলতে গেলে ভিডিও এডিটিং শুধুমাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সম্পূর্ণ করতে পারবেন এই টুল ব্যবহার করে।
এখানে ফ্রিতে এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ভিডিও আপলোড করার পর জাস্ট রেখে দিবে কিছুক্ষণ পর অটোমেটিকালি এটি এডিট হয়ে যাবে যা আপনি সহজেই এক্সপোর্ট করতে পারবেন।
ইউটিউবারদের জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় ফ্রি টুল কোনটি?
ইউটিউবারদের জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় এবং ভালো রেকর্ডিং ফ্রি টুল হল OBS Studio। মূলত এটি এক ধরনের ফ্রি ভিডিও রেকর্ডিং এবং স্ট্রিমিং সফ্টওয়্যার যার মাধ্যমে ইউটিউবাররা তাদের যে কোন ভিডিও রেকর্ড এবং প্রচার করতে পারে। এছাড়াও OBS Studio ব্যবহার করে ইউটিউবাররা তাদের যে কোন ভিডিও তৈরির জন্য বিভিন্ন ক্যামেরা, মাইক্রোফোন এবং অন্যান্য ইনপুট ডিভাইস যুক্ত করতে পারবে। এই ফ্রি টুইসটিতে বিভিন্ন ফিল্টার এবং effect এর অপশন রয়েছে যা ইউটিউবার এদেরকে তাদের ভিডিও গুলোকে আরো বেশি অ্যাট্রাক্টিভ করার জন্য খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবে।
ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও এডিটিং টুল কোনটি?
বর্তমানে অনলাইনে অনেক ধরনের ফ্রি ভিডিও এডিটিং টুলস রয়েছে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি টুলস রয়েছে যেগুলো সবার থেকে আলাদা এবং ভালো রেজাল্ট দিতে পারে। আমার দেখা মতে, ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও এডিটিং টুল হল Shotcut, এর পাশাপাশি রয়েছে DaVinci Resolve, OpenShot। আর মোবাইল ফোনের জন্য সবথেকে ভালো ফ্রি ভিডিও এডিটিং টুলের মধ্যে রয়েছে Filmora, Capcut, PowerDirector ইত্যাদি। এই টুলস গুলো মূলত মাল্টিপ্লেয়ার ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। ওপরে টুলসগুলো ব্যবহার করে যেকোনো ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল এফেক্ট, ট্রানজিশন, টেক্সট ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করতে পারবেন। তবে এই টুলগুলোর কিছু নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে আপনি যদি তাদের প্রিমিয়াম ভার্সন ক্রয় করেন সেক্ষেত্রে আপনি সম্পূর্ণ ফিচার দিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন।
ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও থাম্বনেইল তৈরির টুল কোনটি?
আপনাদের মধ্যে যারা ইউটিউবিং করেন তাদের একটি কমন প্রশ্ন যে ইউটিউব ভিডিওর জন্য থাম্বেল তৈরি করার সবথেকে ভালো এবং ফ্রি টুলস কোনটি। যারা ইউটিউব সেকশনে এক্সপার্ট হয়েছে তাদের মতে, ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও থাম্বনেইল তৈরির টুল হল Canva। Canva একটি অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন টুল যা ইউটিউবাররা তাদের ভিডিওতে এট্রাক্টিভ থাম্বনেইল তৈরি থেকে শুরু করে যাবতীয় গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারা যায়। Canva ব্যবহার করা তুলনামূলক সহজ এবং এটি ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় তবে প্রিমিয়াম ভার্সনে আরো অনেক বেশি ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং থাম্বেল তৈরি করা যায়। এই বিষয়টা আমরা আর্টিকেলের মধ্যে ভালোভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও এসইও এনালিটিক্স টুল কোনটি?
ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও এসইও এনালিটিক্স টুল ধরা হয়ে থাকে VidIQ কে তবে TubeBuddy কেউ অনেকজন পছন্দ করে। VidIQ মূলত একটি ভিডিও এসইও এনালিটিক্স প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে ইউটিউবাররা তাদের ভিডিওগুলোর পারফরম্যান্স খুব সহজেই ট্র্যাক করতে পারে এবং তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে আরো ভালো পরিমাণে ফলাফল পেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সাজেশন মূলক অনেক তথ্য এখান থেকে পাওয়া যায়। VidIQ বা TubeBuddy ব্যবহার করে যেকোনো ইউটিউবার তাদের যেকোন ভিডিওর ভিউ, সাবস্ক্রাইবার এবং যাবতীয় অন্যান্য ইনফরমেশন গুলো এখান থেকে দেখতে পারে এবং এখান থেকে যেকোনো ভিডিও কে এডিট এবং পাবলিশ করতে পারে।
ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও অডিও এডিটিং টুল কোনটি?
বিশেষজ্ঞদের মতে ইউটিউবারদের জন্য বর্তমানে সেরা ফ্রি ভিডিও অডিও ইডিটিং টুল হল হল Audacity। Audacity হল এক ধরনের শক্তিশালী অডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। Audacity ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি চাইলে যে কোন ভিডিও থেকে অডিও কে আপনি সেপারেট বা আলাদা করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট এবং ফিল্টার যুক্ত করার অপশন রয়েছে।
ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও টাইটেল জেনারেটর কোনটি?
একটি ইউটিউব ভিডিওর জন্য টাইটেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও অপটিমাইজ করে এসইও করানো যায় এবং ভিডিওকে ভাইরাল করার ক্ষেত্রে এটি অনেক বড় ভূমিকা রাখে। আমার মতে, ইউটিউবারদের জন্য সেরা ফ্রি ভিডিও টাইটেল জেনারেটর হল CoSchedule। CoSchedule অনেক জনপ্রিয় একটি টাইটেল জেনারেটর টুলস যা যেকোন ভিডিওর জন্য টাইটেল জেনারেট করে দিতে পারে সম্পূর্ণ ফ্রিতে। এছাড়াও এখানে স্কোর দেখার মত বিষয়গুলো রয়েছে যেখান থেকে আপনি লক্ষ্য রাখতে পারবেন যে কোন টাইটেল কি আপনার জন্য উপযুক্ত। এছাড়া আরো অন্যান্য অনেক টুলস রয়েছে সেগুলো আপনি চাইলে ইউটিউলাইজ করতে পারেন।
কিভাবে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূর্ণ করব
আপনি যদি ইউটিউবের মধ্যে হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। আপনাকে ইনফরমেটিভ এবং আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করতে হবে। ভিডিও তৈরীর পাশাপাশি এসইও এবং ভাইরাল করার সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
এছাড়াও বর্তমানে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করলে তাড়াতাড়ি সাবস্ক্রাইবার এবং ভিউ পাওয়া যায়। উপরে আজকে যে টুলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো সেই টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার ভিডিওকে এসইও করতে পারবেন।
শুধুমাত্র এসইও নয় এর পাশাপাশি আপনি ভিডিওকে খুব সহজেই ভাইরাল করতে পারবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনার ভিডিও কে সবার সামনে বেশি পরিমাণে উপস্থাপন করতে চান। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য ahrefs ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই কার্যকরী একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ইউটিউবারদের জন্য।
এছাড়াও অনলাইনে এর পাশাপাশি আরো অনেকগুলো কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল রয়েছে সেগুলো কেউ আপনি চাইলে ইউটিউবে ইউটালাইজ করতে পারেন। আর আমি উপরে সমস্ত টুলগুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি কিভাবে আপনি এই টুলস গুলো ব্যবহার করে আপনার ভিডিওকে আরো প্রফেশনাল এবং একটা অ্যাক্টিভ করতে পারেন।
একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন ভালো কিছু পেতে হলে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। প্রথম দিকে একটু হয়তো সমস্যা হবে কিন্তু যখন আপনি বারবার চেষ্টা করবেন তখন অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন। আর একবার আপনার ভিডিও সবার সামনে পৌঁছে গেলে আপনি খুব সহজেই 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম বৃদ্ধি করতে পারবেন।
কিভাবে দ্রুত ১০০০ সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ করা যায় সেই সম্পর্কে আমি ইতিমধ্যে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল লিখেছি। আপনি চাইলে সেই আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। তাহলে আপনি কিভাবে সাবস্ক্রাইবার জোগাড় করবেন সেই বিষয়ে ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।
উপসংহার
বর্তমানে সব অনলাইন কাজের জন্যই নতুন নতুন টুলস তৈরি হচ্ছে। এগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে কম সময়ে আগের তুলনায় আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। সবগুলো অনলাইন কাজের পাশাপাশি ইউটিউবিং করার জন্য অনেক ধরনের টুলস তৈরি হয়েছে। সেই টুলস গুলো ব্যবহার করে আপনি ইউটিউবিংকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমি ইউটিউবারদের জন্য প্রয়োজনীয় ৮টি সেরা ফ্রি টুলস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়াও কিভাবে টুল গুলো ব্যবহার করা যায় এবং সুবিধা কি কি সেই বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই টুলগুলো ব্যবহার করেন আশা করি খুব শীঘ্রই আপনি আগের তুলনায় আরো ভালো ফলাফল পাবেন।
তো আজকের আর্টিকেল অর্থাৎ ইউটিউবারদের জন্য প্রয়োজনীয় ৫টি সেরা ফ্রি টুলস এই পর্যন্তই। আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত দেওয়ার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে মতামত কিংবা প্রশ্ন জানাতে পারেন। তো আজকের এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.