আপনি কি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন? আমরা যারা নতুন ইউটিউবিং শুরু করি, আমাদের সব থেকে বড় একটি সমস্যা হল ইউটিউব এর মধ্যে সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করা।
আমরা সবাই জানি যে, ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব সংখ্যা যত বেশি হয় সেই চ্যানেলের ভিডিও তত বেশি সবার সঙ্গে পৌঁছায় এবং তত বেশি আয় করা যায়। কিন্তু কিভাবে আমরা ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করব এই বিষয়ে অনেক জনের কাছেই অজানা। বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যারা নতুন ইউটিউবার রয়েছে, যাদের পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা নেই তাদের এই সমস্যাটা বেশি গ্রাস করে।
আমাদের কাছ থেকে অনেক জন জানতে চায় ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে। এইজন্য আমরা এই আজকের এই আর্টিকেলে ১০০% গ্যারান্টি সহ এমন কিছু ট্রিক জানিয়ে দিব। যা আপনার ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১০০% বৃদ্ধি করবে।
কিন্তু শর্ত হচ্ছে সম্পূর্ণ আর্টিকেল ভালোভাবে পড়তে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আরেকটি বিষয় হল যারা ইউটিউবিং করে আপনাদের ভিডিওগুলো ভাইরাল করতে চাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে ভিডিও ভাইরাল করবেন তা জানেন না। তাহলে এই আর্টিকেলটা আগে পড়ে নেন তাহলে অনেক বিষয়ে আগেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
সেহেতু চলুন অতিরিক্ত কথা না বলে আজকের আমাদের মেইন টপিক নিয়ে আলোচনা শুরু করি। অর্থাৎ youtube এর মধ্যে সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করি।
সাবস্ক্রাইবার কে?
সাবস্ক্রাইবার বলতে মূলত বুঝানো হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি যিনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করেছেন। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে, যারা আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে অনুসরণ করতে চায় তারাই মূলত আপনার সাবস্ক্রাইবার। এটি করার ফলে, তারা চ্যানেলটির আপলোড করা সমস্ত নতুন ভিডিও গুলোর জন্য নোটিফিকেশন পায়।
সাবস্ক্রাইবাররা, আপনার ইউটিউব ভিডিওগুলো তাদের মেইন হোম পেজে প্রথম দিকে আপনার ভিডিও গুলো দেখতে পায়। যার কারণে তারা আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো বেশি দেখেন এবং এর পাশাপাশি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সিটিআর বৃদ্ধি পায়। আর আমরা জানি ctr বৃদ্ধি পেলে youtube ভিডিও সবার কাছে বেশি পরিমাণে পৌঁছায়।
এছাড়াও আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান সেক্ষেত্র আপনাকে সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন হবে। সুতরাং ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার বলতে মূলত বোঝানো হচ্ছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের অনুসারী যারা আপনাকে অনুসরণ করে এবং আপনার ভিডিওগুলো দেখে।
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার যত বেশি হয় তার ভিডিও তত খুশি পরিমাণে বেশি মানুষ দেখে এবং বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়। এছাড়াও ইউটিউব বেশি সাবস্ক্রাইবার যুক্ত চ্যানেলগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে।
সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা কেন গুরুত্বপূর্ণ
উপরের অংশে আমরা জানলাম youtube সাবস্ক্রাইবার মূলত কাকে বোঝানো হয়। কিন্তু ইউটিউবে বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইব হলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় এবং এ এটা গুরুত্বপূর্ণ কেন সে বিষয়টা ক্লিয়ার করে নেই।
প্রথমতঃ আপনি যখন অধিক পরিমাণে youtube সাবস্ক্রাইবার পাবেন তখন আপনার ভিডিওগুলো আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে এবং আপনার ভিউ বৃদ্ধি পাবে।
আর আমরা জানি যে, ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ যত পরিমাণে বৃদ্ধি পায় ইউটিউব চ্যানেল তত বেশি পরিমাণে ভাইরাল হয়। Youtube ভিডিওকে সবার সামনে পৌঁছে দেয়ার জন্য সাবস্ক্রাইবাররা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বেশি সেই সব ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ অনেক বেশি পরিমাণে হয় এবং তত বেশি পরিমাণে youtube ভিডিও রেংক করে।
এজন্য আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে বেশি পরিমাণে ভিউ ও এর পাশাপাশি ওয়াচ টাইম বৃদ্ধি করতে চান এবং ইউটিউব ভিডিও কে ভাইরাল করতে চান সেক্ষেত্রে ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার এর বিকল্প নেই।
দ্বিতীয়তঃ আপনারা যারা ইউটিউব চ্যানেল এই ভিডিও পাবলিশ করেন কষ্ট করে তারা মূলত আয়ের উদ্দেশ্যেই ভিডিও তৈরি করে। ইউটিউব চ্যানেলকে মনিটাইজ করার জন্য এবং সেখান থেকে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই 1000 সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন হবে।
সেক্ষেত্রে সাবস্ক্রাইবার ছাড়া আপনার ইউটিউব চ্যানেল কখনোই আয় হবে না অর্থাৎ সেখান থেকে কখনোই আর আয় করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যত পরিমানে subscriber এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তত পরিমাণ ইনকামের ও সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
কারণ বেশি সাবস্ক্রাইবার হলে বেশি ভিউ আসবে আর বেশি ভিউ আসলে অ্যাড শো করাবে আর বেশি অ্যাড শো করালে বেশি ইনকাম হবে। সুতরাং ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার জন্য ও সাবস্ক্রাইবার এর গুরুত্ব খুব।
এছাড়াও সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পেলে স্পন্সরশীপ থেকে শুরু করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা সম্ভব।
তৃতীয়তঃ নিজেকে একটি ব্রান্ডে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে কিংবা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সাবস্ক্রাইবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। আপনি নিজেকে যদি একটি ব্র্যান্ডিংয়ে রূপান্তর করতে চান তাহলে অবশ্যই বেশি পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে অর্থাৎ অনুসারী থাকতে হবে।
এছাড়াও আপনি যদি ফেসবুক বিজনেস পেজ কিংবা অন্যান্য মাধ্যমে অবলম্বন করে নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে চান কিংবা নিজের একটি বড় প্রতিষ্ঠান করতে চান সেক্ষেত্রে ইউটিউব অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। আর ইউটিউবে সফল হতে হলে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব আর একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
যত বেশি লোক আপনার ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে জানবে তত বেশি পরিমাণ আপনার ব্রান্ড সম্পর্কেও অবগত হবে। একটি ব্যবসা কে কিংবা ব্র্যান্ডেকে সবার সামনে পরিচিত করানোর জন্য সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর একটি হল ইউটিউব। ইউটিউব চ্যানেলটি ব্যবহার করে নিজের ব্যবসা কে আরও বৃহৎ পরিসরে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এছাড়াও নিজের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস সেল করার জন্য ইউটিউব ফেসবুকের পরে অবস্থানেই। ইউটিউবে অনেক বেশি পরিমাণে অডিয়েন্স থাকার কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ইউটিউব থেকে ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব। Youtube চ্যানেলের মধ্যে ভালো কিছু করার জন্য অবশ্যই সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
Youtube চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর উপায়
আমরা উপরে সেকশনে জেনেছি, সাবস্ক্রাইবার আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ? কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বৃদ্ধি করব কিভাবে। বিশেষ করে যারা নতুন ইউটিউবার তারা কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বাড়াবেন এই বিষয়টা অনেকটাই তাদের কাছে কঠিন মনে হয়।
তো এখন আমরা আলোচনা করব, কিভাবে আপনি youtube চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াবেন। আমি ধারাবাহিকভাবে সমস্ত বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন শুরু করি:
১. নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে কাজ করা
যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বাড়াতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই যেকোনো একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে কাজ করতে হবে। আপনি যে টপিক নিয়ে খুব ভালো জানেন কিংবা ইচ্ছা রয়েছে এরকম একটি ভালো মানের টপিক নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন।
যখন আপনি একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে কাজ করবেন তখন সেই রিলেটেড অডিয়েন্স রা আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নিয়মিত আসা-যাওয়া করবে। যার ফলে আপনার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি একটি প্রবল সম্ভাবনা থাকবে।
এছাড়া একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে কাজ করলে সেই টপিকে ভবিষ্যতে আধিপত্য বজায় রাখার একটি সম্ভাবনা থাকে। আপনি নিত্য নতুন আকর্ষণীয় ভিডিও নিয়ে কাজ করবেন। যার ফলে আপনার অডিয়েন্সরা নিয়মিত আপনার সাথে সম্পর্ক রাখবে এবং সেখান থেকে আপনার সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
এখন অনেকজনই প্রশ্ন করে থাকেন যে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করা উচিত হবে, এই ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে আপনি যে বিষয় সম্পর্কে ভালো জানেন এবং অডিয়েন্সদেরকে আকর্ষণীয় তথ্য দিতে পারবেন এবং অনেক কিছু শিখাতে পারবেন সেই টপিক নিয়ে কাজ করুন। তাহলে দেখবেন আপনার সাবস্ক্রাইব করার সাথে সাথে আয়ের অন্যান্য রাস্তাগুলো খুলে যাবে।
২. কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কাজ করা
Youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কাজ করা। আপনি যখন ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই পূর্বে ই এই বিষয়টি ক্লিয়ার করে নিতে হবে। আর এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন। আর আপনার youtube চ্যানেলে ভিডিও করার পূর্বে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সেই বিষয়ে আপনার কত পরিমাণে ট্রাফিক আছে সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর cpc অর্থাৎ কত বেশি পরিমাণে ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যখন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনার ভিডিও তৈরি করবেন এবং অপটিমাইজ করবেন তখন আপনার ইউটিউব ভিডিও সার্চ খুব ভালো পজিশনে থাকবে। আর আপনার ইউটিউব ভিডিও সার্চে যত ভালো পজিশনে থাকবে তত বেশি পরিমাণে ভিউ বাড়ার পাশাপাশি সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাবে।
কীওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় অবশ্যই যেই কিওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম অর্থাৎ বেশি সার্চ করা হয় সেই কিওয়ার্ড নিয়ে ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও টাইটেলে ও ডিসক্রিপশন এ কিওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করবেন। এর ফলে আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো খুব ভালো পজিশনে রাঙ্ক করবে এবং আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর কাজে সহযোগিতা করবে।
৩. হাই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরি করা
সব সময় একটা কথা মাথায় রাখবেন যে, আপনার ইউটিউব ভিডিও যত সুন্দর হবে এবং কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হবে আপনার সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা তত বেশি পরিমাণে। ধরে নেন, আপনি সমস্ত টেকনিক ফলো করলেন এবং youtube এর সাবস্ক্রাইবারও পেলেন কিন্তু আপনি যদি ভালোমতো এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কে ধরে রাখা খুব মুশকিল হয়ে যাবে।
কারণ আপনার সাবস্ক্রাইবাররা আপনার ভিডিও দেখতে এসেছে আর আপনি যদি তাদের পছন্দমত ভিডিও তৈরি করে দিতে না পারেন এবং তাদের সমস্যা ক্লিয়ার করতে না পারেন। তাহলে তারা অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে আবার আনসাবস্ক্রাইব করবে।
এজন্য কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করেন। এমন ভিডিও তৈরি করেন যে ভিডিও একবার যে কেউ দেখলে যেন আপনার ভিডিওর প্রতি আকৃষ্ট হয়। যখন আপনার ভিডিও আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল হবে তখন আপনার ভিজিটররা অটোমেটিক্যালি আপনার youtube চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করে নিবে। এখানে দ্বিতীয় কোনো ট্রিক অবলম্বন করতে হবে না।
এজন্য ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার পূর্বে ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয়গুলো ভালোভাবে শিখে নিয়ে তারপর youtube চ্যানেল শুরু করেন এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিডিও সবাইকে উপহার দিন। তাহলে দেখবেন আপনার সাবস্ক্রাইবার এর অভাব পড়বে না।
৪. আকর্ষণীয় থাম্বেল ব্যবহার
যখন আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন তথ্য প্রদান করে একটি ইউটিউব ভিডিও বানাবেন। কিন্তু সেখানে যদি থাম্বেল আকর্ষণীয় দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ আসা সম্ভাবনা খুবই কম।
সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনার সম্পূর্ণ ভিডিওর একটি আংশিক ধারণা প্রদান করে আপনার থাম্বেল। আপনার ইউটিউব ভিডিও থাম্বেল যত আকর্ষণীয় হবে আপনার ভিজিটরের সংখ্যাও তত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। যখন আপনার ভিজিটর অনেক বৃদ্ধি পাবে তখন সেখান থেকে অনেক ভিজিটর আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবে।
শুধুমাত্র যদি আপনি কন্টেন্টের দিকে নজর দেন কিন্তু থাম্বেলের দিকে নজর না দেন তাহলে আপনি হয়তো সফলতা পাবেন কিন্তু আংশিকভাবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি একটি আকর্ষণীয় এবং গ্রহণযোগ্য থাম্বেল ব্যবহার করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনারা সফলতা ১০০% আসবে।
আপনি যখন একটি ভিডিও দেখতে যান তখন আপনি অবশ্যই থাম্বেল দেখেই হয়তো ভিডিও দেখেন, সেটা হয়তো আমাকে আর বলতে হবে না। ঠিক একই ভাবে আপনার ইউটিউবের ভিডিও গুলোতে থাম্বেল আকর্ষণীয় করুন যেন সবাই আপনার ভিডিওর দিকে আকর্ষিত হয়। তাহলে সেখান থেকে আপনার সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বাড়ানো খুবই সহজ হয়ে যাবে।
৫. Youtube ভিডিওকে এসইও করা
ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হল ভিডিওর মধ্যে এসইও করা। এসইও মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কে বোঝানো হয়ে থাকে। Youtube ভিডিওতে এসইও করা তুলনামূলক খুবই সহজ শুধুমাত্র কয়েকটি টেকনিক্যাল বিষয়ে সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকতে হয়।
Youtube video seo করার ফলে আপনার ভিডিওগুলো সবার সামনে দেখাবে। যার ফলে আপনার ভিডিওর ভিউ বৃদ্ধি পাবে এবং এর পাশাপাশি সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা ও বৃদ্ধি পাবে।
Youtube ভিডিওতে এসইও করার জন্য আপনাকে প্রথমে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে। একবার আপনার কীওয়ার্ড রিসার্চ হয়ে গেলে আপনার টাইটেলে এবং ডিসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। এর পাশাপাশি ইউটিউব ভিডিওর ডিসক্রিপশনে ফোকাস কিওয়ার্ড রিলেটেড অন্যান্য কিওয়ার্ডগুলো যুক্ত করে দিবেন।
এছাড়াও ডিসক্রিপশন এর মধ্যে হ্যাশট্যাগ এবং আপনার ভিডিও রিলেটেড কিছু সংক্ষিপ্ত কথা লিখে দিতে পারেন। যে ভিডিওতে কি কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং ভিডিওটা দেখলে কোন বিষয়গুলো ক্লিয়ার করা যেতে পারে অথবা কোন তথ্যগুলো পেতে পারে।
ডেসক্রিপশনে আরো আপনার সোশ্যাল মিডিয়ারিং গুলোর লিংক এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউটিউব ভিডিওর লিংক গুলোকে সংযুক্ত করে দিতে হবে। একবার আপনার ডিসক্রিপশন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পরবর্তীতে আপনাকে আপনার ইউটিউব ভিডিওর জন্য ট্যাগ কালেক্ট করতে হবে এবং আপনার ভিডিওর মধ্যে তা প্রতিস্থাপন করতে হবে।
কমপক্ষে ৫ থেকে ৭টি ট্যাগ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনার ভিডিওটি যদি সাবটাইটেল তৈরি করে থাকেন তাহলে সাবটাইটেল যুক্ত করে দিবেন। আপনার ভিডিওর ক্যাটাগরি এবং ল্যাঙ্গুয়েজ সিলেক্ট করে দেয়ার পাশাপাশি প্লে লিস্টের মধ্যে আপনার ভিডিওকে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
এট্রাক্টিভ এবং উপযুক্ত সাইজের থাম্বেল যুক্ত করে দিবেন। এছাড়াও আরো অনেক কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে। ইউটিউব ভিডিও seo করার জন্য আপনাদের যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার থাকে। তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল তৈরি করা হবে।
৬. নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন
চেষ্টা করবেন youtube চ্যানেলের মধ্যে নিয়মিত ভিডিও আপলোড দেয়ার। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিতে থাকবেন, তখন আপনার চ্যানেলে ভিজিটদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি অনেকগুলো ভিডিও যদি সবার সামনে বেশি পরিমাণে শো করা হয় তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আরো ভিউয়ার আসতে পারে।
যখন আপনার ভিউয়ার আসবে তখনই আপনার সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পাবে। চেষ্টা করবেন এমন সব ভিডিও দেয়ার যেন সেই ভিডিও দেখে জনসাধারণ উপকৃত হয়। যখন আপনার ভিডিও তাদের কাছে পছন্দ হবে তখন তারা অটোমেটিক্যালি আপনার youtube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে নিবে।
নিয়মিত ভিডিও আপলোড দেয়ার ফলে আপনার ইউটিউব ভিডিও গুলো তখন তারা নিয়মিত দেখবে এবং আপনার রিচ ধীরে ধীরে বাড়বে। আর যখন রিচ বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়তে থাকবে।
৭. Youtube শর্ট এর সুবিধা নেওয়া
বর্তমান ইউটিউব শর্ট খুব ভালো চলতেছে। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে এর মধ্যে নিয়মিত শর্ট ভিডিও পাবলিশ করেন সেক্ষেত্রে আপনার youtube চ্যানেলের রিচ অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।
আরেকটি জিনিস গত কয়েক মাসের মধ্যে সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে যে, ইউটিউব শর্ট এর মাধ্যমে সাবস্ক্রাইবার তুলনামূলক খুবই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি যেই রিলেটেড ভিডিও তৈরি করেন সে রিলেটেড কিছু শর্ট ভিডিও তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে আপনার ইউটিউব এর সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং ওয়াচ টাইমও বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে ইউটিউব ব্যবহার করেও আয় করতে পারবেন এবং আপনার ব্র্যান্ডের পরিসর বৃদ্ধি করতে পারবেন। YOUTUBE SHORT VIDEO এবং সাধারন ভিডিওর মধ্যে পার্থক্য হল শর্ট ভিডিও মানুষ খুব বেশি পরিমাণে দেখে এবং সাধারণ ভিডিও গুলো মানুষ সার্চ দিয়ে দেখে। সুতরাং আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ইউটিউব শর্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. ভিজিটরদের সাবস্ক্রাইব করতে উদ্বুদ্ধ করুন
ভিডিওর মধ্যে অবশ্যই ক্রিয়েটরের উচিত অডিয়েন্সের সাবস্ক্রাইব করতে উদ্বুদ্ধ করা। কিন্তু ভিডিওর প্রথম এই বার বার সাবস্ক্রাইব করার কথা বলে অডিয়েন্সদের বিরক্ত করার বদলে আপনি ভিডিওর শেষের দিকে তাদেরকে সাবস্ক্রাইব করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনার সম্পূর্ণ ভিডিও যারা দেখবে তারা অবশ্যই আপনার ভিডিও থেকে কিছু তথ্য অবশ্যই পেয়েছে, যার কারনে সম্পূর্ণ ভিডিও দেখেছে। সুতরাং আপনি যখন তাদেরকে সাবস্ক্রাইব করতে বলবেন তখন তারা আপনার কথার প্রতি সহমত থাকবে এবং তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে।
কিন্তু কখনোই বারবার ভিজিটরদেরকে সাবস্ক্রাইব করার কথা বলে বিরক্ত করবেন না।
৯. সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর জন্য ইন্ড স্ক্রিন ব্যবহার করা
আপনার YOUTUBE চ্যানেলে যখন কোন ভিডিও আপলোড করেন তখন অবশ্যই ইন্ড স্ক্রিন যুক্ত করে দেয়া হবে উচিত। ইন্ড স্ক্রিন এর মধ্যে যে ভিডিও তৈরি করেছিলেন সেই রিলেটেড একটি ভিডিও দিতে পারেন এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে দিতে পারেন।
যখন কেউ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লোগোর উপর ক্লিক করবে তখন সাবস্ক্রাইব করার অপশন চলে আসবে এবং তারা সাবস্ক্রাইব করে ফেলবে। যারা আপনার সম্পূর্ণ ভিডিও দেখবে তারা অবশ্যই শেষের দিকে এই অপশনটা দেখতে পারবে।
যার ফলে তারা আপনার ভিডিওটাকে পছন্দ করলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবেন। আর সাবস্ক্রাইব করাতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অবশ্যই ইন্ড স্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
১০. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা
ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব বাড়ানোর সবথেকে জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায় হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সহযোগিতা নেয়া। আপনি অবশ্যই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা টুইটার একাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। আর অবশ্যই হয়তো আপনার ফ্রেন্ড এবং ফলোয়ার যথেষ্ট পরিমাণে থাকতে পারে। আপনি চাইলে তাদেরকে কাজে লাগিয়ে আপনার YOUTUBE সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে নিতে পারেন।
আপনার যারা ফলোয়ার কিংবা ফ্রেন্ড রয়েছে তাদেরকে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। এর পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপ এবং ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে পারেন।
এক্ষেত্রে সবাইকে বলবেন যেন তাদের যতগুলো জিমেইল রয়েছে সবগুলো দিয়েই তারা আপনাকে সাবস্ক্রাইব করে। যার ফলে আপনারা সাবস্ক্রাইব এর সংখ্যা অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আপনি নিয়মিত আপনার ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রকাশ করবেন।
তাহলে আপনার ভিডিও দেখে যদি কেউ পছন্দ করে তাহলে অবশ্যই তারা YOUTUBE চ্যানেলে গিয়ে আপনার ভিডিও দেখবে এবং আপনাকে সাবস্ক্রাইব করবে।
১১. ভিডিওতে ওয়াটার মার্ক ব্যবহার করা
আপনি যখন ভিডিও তৈরি করবেন তখন অবশ্যই আপনার লোগো আপনার ভিডিওর মধ্যে সংযুক্ত করে দিবেন। এর ফলে আপনার ভিডিও যদি কেউ শেয়ার করে তাহলে তখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের লোগো তাদের কাছে উপস্থাপন হবে।
যার ফলে তারা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে আপনাকে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবে যদি সেই ভিডিও তাদের পছন্দ করে। আপনি আপনার পছন্দমত একটি লোগো তৈরি করবেন এবং লোগোটি অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওগুলোর মধ্যে সংযুক্ত করে দিবেন।
ভিডিও গুলোর মধ্যে এমন ভাবে আপনার watermark ব্যবহার করবেন যেন সবাই বুঝতে পারে আপনার চ্যানেলের নাম কি। ওয়াটার মার্ক ব্যবহার করে ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব বাড়ানো একটি খুবই জনপ্রিয় উপায়।
১২. কনটেস্ট কিংবা গিভওয়ে রান করা
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের কনটেস্ট কিংবা গিভওয়ে রাখতে পারেন। যার ফলে আপনার ইউটিউব এর সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পেতে পারে। অবশ্যই এমন কোন শর্ত যুক্ত করে দিবেন যেন আপনার ভিডিওগুলো কি সবাই প্রচার করে এবং সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে।
আপনি যে রিলেটেড বিষয় নিয়ে কাজ করেন সেই রিলেটেড কোন কনটেস্ট কিংবা গিভওয়ে রান করার চেষ্টা করবেন। তাহলে বেশি পরিমানে সাবস্ক্রাইব পেতে পারবেন। অবশ্যই গিভওয়ে যুক্তিসঙ্গত ব্যক্তি বা সঠিক ব্যক্তির কাছে যায় এই বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকবেন।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অনেক ইউটিউব চ্যানেল এরকম কনটেস্ট এবং গিভওয়ে এর মাধ্যমে অনেক বেশি পরিমাণে সাবস্ক্রাইব পাচ্ছে। সুতরাং আপনি চাইলে আপনিও এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর সিক্রেট টিপস
এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম কিভাবে youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করা যায় সাধারণ উপায় অবলম্বন করে। কিন্তু এখন আমরা এমন কিছু সিক্রেট বিষয় নিয়ে আলোচনা করব যা আপনার ইউটিউব চ্যানেল অবশ্যই সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করবেই করবে। তা
হলে চলুন জেনে নেই youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধির সিক্রেট কয়েকটি উপায় সম্পর্কে।
১. ফ্রি সাবস্ক্রাইবার টুল ব্যবহার করে
অনলাইনে অনেকগুলো ফ্রি টুলস যেখান থেকে আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করতে পারবেন। বর্তমানে এই ধরনের অনেকগুলো রয়েছে অনলাইনে যার মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় টুল হলো:
- SubPals
- ytpals.com
- Followeran
- sonuker
- Youtube Services
- Views4You
- SubMeNow
- QQTube
- YouberUp
- YTMonster
এই টুলগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনার ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবার এ সংখ্যা বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। কিন্তু এই টুলগুলো ফ্রি এবং পেইড উভয় ভার্সন রয়েছে। এই টুলস গুলো থেকে সাবস্ক্রাইবার পাওয়ার সঠিক নিয়ম নীচে দেয়া হলোঃ
১. প্রথমে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। আপনি চাইলে google অ্যাকাউন্ট দিয়েও ফ্রিতে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
২. অ্যাকাউন্ট তৈরির পর আপনি যে ভিডিওতে ভিউ পেতে চাচ্ছেন এবং সাবস্ক্রাইব নিতে চাচ্ছেন সেই ভিডিওর লিঙ্ক তাদের কাছে প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি একাউন্ট সেটআপ করে নিতে হবে।
৩. তারপর তারা আপনাকে প্রায় ২০টি ভিডিও লিংক দিবে সেগুলোতে আপনাকে গিয়ে ভিডিও দেখতে হবে এবং সাবস্ক্রাইব করতে হবে। (ওয়েবসাইটের ভেদে ভিডিও সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে)।
৪. আপনি যখন ২০টি ভিডিওতে সাবস্ক্রাইব এবং ভিউ শেষ করবেন তখন শেষে আপনাকে সাবস্ক্রাইব নামে একটি অপশন দেখাবে। সেখানে ক্লিক করার পর আপনি যে ইউআরএল প্রথমে দিয়েছিলেন সেই ইউআরএল এর মাধ্যমে আপনার ভিডিওতে কিছুক্ষণের মধ্যেই সাবস্ক্রাইবার আসা শুরু করবে।
এই টুল গুলো ব্যবহার করে আপনি চাইলে প্রতিদিন ১০০ থেকে সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন। হয়তো আপনাকে প্রথম দিকে একটু কষ্ট করতে হবে। কিন্তু আপনি চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ১০০০ সাবস্ক্রাইবার কমপ্লিট করতে পারবেন এই টুলস গুলো ব্যবহার করে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনাকে বেশি পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার দিলে আবার কখনো কখনো পরিমাণে কম সাবস্ক্রাইবারও প্রদান করতে পারে। মূলত আমরা যেরকম অন্যজনকে সাবস্ক্রাইব করেছিলাম ঠিক একই ভাবে অন্যরা আমাদেরকে সাবস্ক্রাইব করেছে যার কারণে এখানে কোন প্রকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আপনি চাইলে একবার সাবস্ক্রাইব পাওয়ার পর আবার যে সাবস্ক্রাইব করেছেন সেগুলোকে আনসাবস্ক্রাইব করে দিতে পারেন এখানে কোন সমস্যা হবে না। সাবস্ক্রাইবার এর পাশাপাশি আপনি চাইলে ঠিক একইভাবে লাইক এবং কমেন্টও এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারবেন এই সাইট গুলো ব্যবহার করে।
আর আপনি যদি এত কষ্ট করতে না চান সেক্ষেত্রে তাদের প্রিমিয়াম প্লানগুলো দেখতে পারেন।
২. Sub4Sub
Sub4Sub মানে হলো সাবস্ক্রাইব ফর সাবসস্ক্রাইব। যখন আপনি অন্য কারো একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব করবেন তখন সেই ব্যক্তি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আবার সাবস্ক্রাইব করবে অর্থাৎ তাকে অন্যের সাথে সাবস্ক্রাইব এক্সচেঞ্জ করা।
বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার এবং টেলিগ্রামে এই ধরনের অনেকগুলো গ্রুপ এবং পেজ রয়েছে যারা এই ধরনের কার্যকলাপ করে থাকে। বিশেষ করে আপনি ফেসবুকে গেলে এমন অনেক জনের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। যারা এই ধরনের এক্সচেঞ্জ রিলেটেড করে তাদের সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
আপনি চাইলে তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনার সাবস্ক্রাইবার এ সংখ্যা বিক্রি করতে পারেন। আর অবশ্যই এখানে অনেক ব্যক্তি পেয়ে যাবেন যারা এই রিলেটেড এক্সচেঞ্জ করে থাকে।
সুতরাং এখানে আপনার সাবস্ক্রাইবার এর অভাব হবে না। কিন্তু আপনাকে এর পরিবর্তে তাদেরকে সাবস্ক্রাইব করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার একটি ভিন্ন জিমেইল দিয়ে তাদের সাবস্ক্রাইব করে আপনার রিয়েল youtube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব নিতে পারবেন। মূলত এই ধরনের কার্যকলাপ করেই এখন অনেকজন তাদের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।
আপনি ওপরের দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা খুব কম সময়ের মধ্যেই অধিক হারে বাড়াতে পারবেন। এগুলো হচ্ছে অবলম্বন করে সাবস্ক্রাইব অর্জন করা।
কিন্তু অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনার অর্গানিকভাবেই সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করার উপর। কিন্তু আপনি যেহেতু নতুন অথবা আপনার সাবস্ক্রাইবার নেই সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে এক সপ্তাহের মধ্যেই 1000 সাবস্ক্রাইবার কালেক্ট করতে পারবেন।
ভিউ নাকি সাবস্ক্রাইবার কোনটির দিকে বেশি মনোযোগ দিব?
আপনার youtube চ্যানেলে ভিউ নাকি সাবস্ক্রাইব কোনটি দিচ্ছি বেশি মনোযোগ দিবেন এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনার লক্ষ্যের উপর। এই দুটি বিষয়ে একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। যেমন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যখন সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তখন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে নিয়মিত ভিউ আসা শুরু করবে।
সুতরাং আপনার ভিউ বৃদ্ধি পাবে সাবস্ক্রাইবার এর মাধ্যমে। অপরদিকে আপনি যখন ভিউ বৃদ্ধি করবেন বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে তখন আপনার সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা অটোমেটিক্যালি বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ ভিউ বৃদ্ধি পেলে সাবস্ক্রাইবার ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সার্বিকভাবে বলতে গেলে এই দুটি বিষয়ে একই অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। একটি বাড়লে অপরটি অটোমেটিক্যালি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আপনি প্রথম দিকে ভিউয়ারের দিকে মনোযোগী হবেন কারণ আপনার ভিউ যখন বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। আর যখন সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে তখন ভিউ আরো অধিক গুনে বৃদ্ধি পাবে।
ইউটিউবে আয় শুরু করতে আপনার কতজন সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন
ইউটিউব থেকে আয় শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ১০০০ সাবস্ক্রাইবার প্রয়োজন হবে এবং এর পাশাপাশি ১০ মিলিয়ন ভিউ কিংবা ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম সম্পন্ন করতে হবে। ইউটিউব থেকে ভালো কিছু পাওয়ার জন্য অর্থাৎ ভালো ক্যারিয়ার তৈরি করার জন্য অবশ্যই সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগী হতে হবে। আপনার সাবস্ক্রাইবার অনেক বেশি পরিমাণে হলে আয়ের অনেকগুলো উপায় চলে আসবে। তখন চাইলে আপনি সেই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে ও আয় করতে পারবেন।
উপসংহার
একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সবার সামনে পরিচিত করানোর জন্য এবং সেখান থেকে ভালো কিছু পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইবার এর বিকল্প নেই। অনেক জন সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে অজানা। এজন্য আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করলাম, কিভাবে আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারে এবং এই রিলেটেড অনেকগুলো বিষয় আপনাদের সামনে কভার করেছি।
আমি মনে করি এই সমস্ত টিপস যদি আপনি ফলো করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারবেন। সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে হয়তো আপনারা একটু সার্বিক ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এখন আপনি চাইলে আপনার সাবস্ক্রাইবার খুব সহজেই বাড়াতে পারবেন।
এখনো যদি আপনার এই বিষয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে কিংবা জানার থাকে তাহলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন আমরা যথাযথ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
সুতরাং আজকে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর উপায় আজকের এই আর্টিকেল এখানে ই শেষ করা হলো। আপনি চাইলে পরবর্তী আর্টিকেল গুলো পড়ে নিতে পারেন, সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.