গুগলের আপডেটের পর আমার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গিয়েছে এবং আমার ওয়েবসাইটে কোন প্রকার ট্রাফিক নেই এখন আমার কি করা উচিত, পুরাতন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা উচিত নাকি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ করা উচিত?

বর্তমানে এই প্রশ্নটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একজন ব্লগারের জন্য। গুগল এখন পূর্বের তুলনায় অনেক কঠোর হয়েছে। তাদের প্রত্যেকটি আপডেটের পর এখন অনেক ওয়েবসাইট ট্রাফিক হারাচ্ছে এবং অন্যান্য অনেক জনের ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ ডাউন হয়ে যাচ্ছে ইম্প্রেশন কিংবা ক্লিক কোনটাই বাড়ছে না। 

এই মুহূর্তে করণীয় কি নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা  নাকি পুরাতন ওয়েবসাইট কন্টিনিউ করা?

আজকের এই আর্টিকেলে আমি সংক্ষিপ্তভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব, আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনি অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।

ট্রাফিক ডাউন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা উচিত কিনা?
Source: Collected 

২০২১ সালের পর থেকে google পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি স্ট্রিক্ট হয়েছে সার্চ রেংকিং এর ক্ষেত্রে। বিশেষ করে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের স্প্যাম আপডেট এরপর মূলত এসইও ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই হেলে বসেছে। সার্চ ইঞ্জিন ল্যান্ড এর প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সালে প্রায় ১৩% ওয়েবসাইট তাদের ট্রাফিক সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলেছে এবং ৪৬% পর্যন্ত ওয়েবসাইট ট্রাফিক অনেক বেশিকাংশই হারিয়ে ফেলেছিল। যা পরবর্তীতে বেশিরভাগ জন রিকভার করতে পেরেছে।

তবে গুগল এখানেই থেমে থাকে নি তারা পরবর্তীতে বারবার আপডেট দিয়েই চলেছে, হেল্পফুল কনটেন্ট আপডেট, কোর আপডেট সহ অন্যান্য অনেক ধরনের আপডেট নিয়মিতই দিয়ে যাচ্ছে। 

এই সমস্যা আবার দেখা দেয় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস এরপর আবার google তা দিয়ে নিয়মিত আপডেট দেয়া শুরু করেছে। যার কারণে অনেক ওয়েবসাইট তাদের ট্রাফিক হারিয়ে ফেলেছে কেউ কেউ আবার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটে ট্রাফিক হারিয়ে ফেলেছে। 

এক্ষেত্রে নতুন ব্লগাররা ব্লগিং করতে এসে অনেক হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। 

ওয়েব সাইটের ট্রাফিক ডাউন হওয়ার পিছনে কারণ কি? 

ওয়েব সাইটে ট্রাফিক ডাউন হওয়ার পিছনে অনেক কারণ রয়েছে যা নির্দিষ্ট ভাবে বলা অসম্ভব। তবে অনেকগুলো সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ডাউন হওয়ার পিছনে। বর্তমানে গুগল EEAT ফর্মুলার উপর ডিপেন্ড করে সার্চ অ্যালগরিদম কে নিয়মিত পরিবর্তন করতেছে। 

তবে এটি কোন সার্চ এলগরিদম নয় এটা জাস্ট একটি কনসেপ্ট বা ফর্মুলা যা ইউজ করে গুগল তাদের রেঙ্কিং সেট করতেছে। আমার রিসার্চ থেকে এতটুকু ক্লিয়ার হয়েছি যে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ডাউন হওয়ার পিছনে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। যার অন্যতম কয়েকটি হলো

১. আউটডেটেড কনটেন্ট: 

অনেক ব্লগার রয়েছে যারা একবার আর্টিকেল লিখে তা আর পরবর্তীতে আপডেট কিংবা নতুন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে না। যার কারণে গুগল সেই কনটেন্টগুলোকে আউটডেটেড মনে করে। যার কারণে গুগল সেই কন্টেন্ট গুলোকে আর বেশি প্রাধান্য দেয় না। 

আর এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের কনটেন্ট একবার লিখলেই পরবর্তীতে আর কখনো এডিট করে না, যা অনেক ভালো একটি ভুল। Google সব সময় লেটেস্ট নিউজ চায়, যার কারনে আউটডেটেড নিউজগুলোকে তারা গুগলে আর উপরের দিকে শো করায় না। 

যার কারণে অনেক কনটেন্ট ডাউন হয়ে যায় এবং সেগুলো রেংকিং করেনা এবং কোন প্রকার সেই কনটেন্ট এ ট্রাফিক ওয়েব সাইটে পৌঁছায় না।

২. পিপল ফার্স্ট কনটেন্ট না লেখা: 

google সব সময় চায় যে অডিয়েন্স যেন তাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো পায় এমন কনটেন্ট সবার সামনে সাজেস্ট করতে। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্লগার এবং এসইও এক্সপার্টরা শুধুমাত্র কনটেন্ট লিখে গুগলের রেংক করার জন্য, এছাড়া অনেক এমন কনটেন্ট দেখা যায় যে যেগুলোতে কোন প্রকার ইনফরমেশন নেই জাস্ট শব্দ যুক্ত করার জন্য আবোল তাবোল ভাবে লেখা হয়েছে। 

যার কোন মানে কিংবা অর্থপূর্ণ সংজ্ঞা নেই , এই ধরনের কনটেন্ট গুলোকে গুগল খুবেই খারাপ চোখে দেখে। গুগল মনে করে যে এমন একটি কনটেন্ট সবার সামনে সাজেস্ট করা প্রয়োজন যেখানে সেই রিলেটেড সমস্ত প্রকার তথ্য পাওয়া সম্ভব। এজন্য google এমন কনটেন্ট গুলোকে আর আগের মতো শো করাচ্ছে না যেগুলো শুধুমাত্র এসইও করার জন্য তৈরি করা হয়েছে অডিয়েন্স কে সাহায্য করার জন্য নয়।  

৩. একুরেট তথ্য প্রদান না করা: 

গুগল সব সময় সবাইকেই রিকোমেন্ড করে যেন তারা সঠিক এবং একুরেট তথ্য গুগলের কাছে পৌঁছায়। যদি আপনার কনটেন্টের দৈর্ঘ্য কম হয় কিন্তু সেগুলো ইনফরমেটিভ এবং একুরেট হয় সেগুলো গুগলের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। 

গুগল চায় এমন সব কনটেন্ট যেগুলো অডিয়েন্সদেরকে সত্যিকারের ভ্যালু প্রদান করবে। বর্তমানে এমন সব কনটেন্ট দেখা যায় যেগুলোতে কোন অরিজিনাল ইনফরমেশন নেই। জাস্ট রেংকিং করার জন্য এবং শব্দ বাড়ানোর জন্য ভুল তথ্য প্রদান করে।  আর মূলত একুরেট তথ্য প্রদান না করার কারণে google সেইসব ওয়েবসাইটগুলোকে সম্পূর্ণরূপে ডাউন করে দিচ্ছে।

৪. ছোট ছোট কনটেন্ট: 

আচ্ছা একটা বিষয় ভাবুন আপনি ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন এই সম্পর্কে একটি ব্লগ পড়তে এসেছেন, সেখানে আর্টিকেল এর লেন্থ ৫০০ শব্দের এবং সেগুলোকে জাস্ট কোন রকম সংক্ষিপ্ত আকারে লেখা হয়েছে। কোন অ্যাডভান্স টিপস কিংবা ভালো কিছু শিখার মত কোন তথ্য নেই। 

তাহলে কি আপনি সেই ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুলোকে পড়তে চাইবেন, আপনি কি আগ্রহী হবেন। সেই কন্টেন্ট গুলো পড়ার দিকে? আশা করি আপনার উত্তর না হবে। কেননা আমরা যখন একটি বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে এবং বিস্তারিত জানতে চাবো তখন অবশ্যই কনটেন্ট টা একটু দীর্ঘ হবে। 

কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ জন ব্লগার এত ছোট পরিমাণে কনটেন্ট লেখে যে সেগুলোকে গুগল রেঙ্ক করা তো দূরের কথা, কনটেন্ট এর মধ্যে কোন প্রকার ইনফরমেশনই নেই জাস্ট কয়েকটি লাইন লিখেই পাবলিশ করে দেয়। আজ যে সব কনটেন্ট মূলত ৬০০ শব্দের নিচে সেগুলোকে থিন কন্টেন্ট বা পাতলা কনটেন্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়। 

এত ছোট কনটেন্ট হওয়ার ফলে গুগল সেই কনটেন্ট গুলোকে ইনফর্মেটিভ মনে করে না। যার কারণে সেই ধরনের কনটেন্ট গুলোকে আর গুগলের রেঙ্ক করতে দিতে চায়না।

৪. কপি করা লেখা: 

এমন একটা সময় ছিল যে সময় google কপি করা কনটেন্ট গুলো কেউ রেঙ্ক করতে দিত। শুধুমাত্র google-এ রেঙ্ক করতে দিত তা কিন্তু নয় এর পাশাপাশি google এড*সেন্স অ্যাপ্রুভাল পর্যন্ত পেয়েছে এরকম হাজারো নজির রয়েছে। 

এছাড়া কপি করা কনটেন্ট দিয়ে গুগলের ফাস্ট পজিশন পর্যন্ত হোল্ড করা যেত। কিন্তু বর্তমানে google এত পরিমানে কঠোর হয়েছে যে তারা কোন প্রকার কপি করা কন্টেন্টকে আর গুগলে রেঙ্ক করেছে দিতে চায়না। 

কিছুদিন পর্যন্ত র‍্যাঙ্ক করতে পারলেও google তা অটোমেটিকলি কিছুদিনের মধ্যেই ডাউন করে দিচ্ছে। গুগল সব সময় ইউনিক এবং নতুন তথ্য এর দিকে বেশি মনোযোগ দেয়। 

৫. আর্টিফিশিয়াল কনটেন্ট এর অধিক আধিপত্য: 

google সরাসরি বলে দিয়েছে যে যে সব কন্টেন্ট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে শুধুমাত্র র‍্যাংক করানোর উদ্দেশ্যে লেখা হয় সেই সব কন্টেন্ট মূলত স্প্যাম কনটেন্ট। Google এই কথার মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছে যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে আর্টিকেল লেখা যাবে কিন্তু সেই আর্টিকেল অবশ্যই ইনফরমেটিভ এবং পিপল ফার্স্ট কনটেন্ট হতে হবে। 

যেন অডিয়েন্সরা সেই কনটেন্ট পড়ে অনেক কিছু শিখতে এবং বুঝতে পারে এবং সবাই যেন কনটেন্ট গুলো বুঝতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে বর্তমানে চ্যাট জিপিটি গুগোল বার্ড কিংবা অন্যান্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে শুধুমাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি কোন রকম কনটেন্স লিখে পাবলিশ করে দিচ্ছে। 

যেখানে নেই কোন ভ্যালু, একুরেট ইনফর্মেশন কিংবা লেখা হয়নি এক্সপার্ট এর মতন করে। যার কারণে google কিছুদিন পর্যন্ত সেই কনটেন্ট গুলোকে রেঙ্ক করালেও পরবর্তীতে সেই সব কনটেন্ট কে ডিরেংক কিংবা গুগল থেকে রিমুভ করে দিচ্ছে। 

৭. রিয়েল লাইফ ইনফর্মেশন: 

গুগলের নতুন একটি আপডেট EAT থেকে EEAT রূপান্তর করা হয়েছে যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরে করা হয়েছে। সুতরাং গুগল রিয়েল লাইফ ইনফরমেশন বা এক্সপেরিয়েন্স বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে পূর্বের তুলনায়। আর এক্সপেরিয়েন্স কে উল্লেখ করার জন্য কনটেন্ট এর মধ্যে এক্সাম্পল, পরিসংখ্যান কিংবা নানা ধরনের কেস স্টাডি ব্যবহার করা উচিত যা গুগল বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করে। 

Article এর মধ্যে যথাযথ example, information কিংবা অন্যান্য জিনিসপত্র সঠিকভাবে ইউজ না করার কারণে google সেসব কন্টেন্টগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয় না। আর google আপনার কনটেন্ট বা ওয়েবসাইটকে প্রাধান্য না দিলে কখনোই ওয়েবসাইটকে গুগলের র‍্যাঙ্ক করা পসিবল নয়।  

এগুলো জাস্ট আমার রিসার্চ করে কিছু কারণ, এছাড়াও আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যা অন্য কোন আর্টিকেলে ইনশাল্লাহ পাবলিশ করা হবে।

ট্রাফিক ডাউন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা উচিত কিনা?

আচ্ছা আমরা এতক্ষন উপরে কি কারনে গুগল ওয়েবসাইডে ট্রাফিক ডাউন করে দিচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করতেছিলাম। কিন্তু এখন যদি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক গুগল আপডেটের কারণে ডাউন হয়ে যায় এবং কোন প্রকার সার্চ ইম্প্রেশন বা ক্লিক না আসে। 

সেক্ষেত্রে কি পূর্বে ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা উচিত নাকি নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা উচিত এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। 

যদি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক একবারে সম্পূর্ণ ডাউন হয়ে যায় এবং ইম্প্রেশন কিংবা ক্লিক কোনটাই না আসে সেক্ষেত্রে আপনি নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করবেন নাকি পুরাতন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করবেন সেটা ডিপেন্ড করে আপনার অডিয়েন্স, লক্ষ্য এবং কনটেন্ট এর উপর। 

যদি আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন এবং সেই ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক না থাকে এবং কনটেন্টের সংখ্যাও কম হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে নতুন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। 

কেননা আপনি যত সময় আপনার সম্পূর্ণ ট্রাফিক ডাউন ওয়েবসাইটে স্পেন্ড করবেন ততক্ষণে আপনি আরও একটি নতুন এবং প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আবার নতুনভাবে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন। 

উদাহরণ স্বরূপ আপনার যদি ২৫ টি কিংবা ৩০টি কন্টেন্ট থাকে এবং নিয়মিত ২০ থেকে ৫০ এর নিচে ট্রাফিক থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে নতুন একটি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে পারেন। 

তবে আপনি যদি আপনার কনটেন্ট এর প্রতি শতভাগ নিশ্চিত থাকেন এবং আপনার ট্রাফিক যদি খুবই ইফেক্টিভ হয় সে ক্ষেত্রে আপনি পুরাতন ওয়েবসাইট কে কন্টিনিউ করতে পারেন। 

কিন্তু আপনি যদি একটি বৃহৎ উদ্দেশ্যে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করেন, ধরে নেন কোন এজেন্সি কিংবা এমন কোন ওয়েবসাইটে যা ইন্টারন্যাশনাল অডিয়েন্স কে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। তাহলে আপনি আপনার পুরাতন ওয়েবসাইট কে কন্টিনিউ করতে পারেন। 

এছাড়াও আপনার যদি টার্গেট অনেক বড় কিছু হয় কিংবা এমন কোন ওয়েবসাইট যেখানে অর্গানিক ট্রাফিক এর প্রয়োজন নেই। তাহলে আপনি আপনার পুরাতন ওয়েবসাইট কন্টিনিউ করতে পারেন। 

উদাহরণ স্বরূপ আপনি একটি কোন এমন ওয়েবসাইট তৈরি করলেন যেখানে আপনি শুধুমাত্র আপনার প্রোফাইল রয়েছে, যা রেঙ্ক না করলেও আপনার কোন প্রবলেম হবে না। সে ক্ষেত্রে আপনার পুরাতন ওয়েবসাইট টাই কন্টিনিউ করা উচিত হবে। 

ট্রাফিক ডাউন ওয়েবসাইট দিয়ে কাজ করবেন কিনা এটা মূলত সম্পূর্ণই আপনার টার্গেট বা লক্ষ্য অডিয়েন্স, আগ্রহ এবং আপনার ফিউচার পরিকল্পনার উপর ডিপেন্ড করবে।যে সেই পুরাতন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করবেন নাকি নতুন ওয়েবসাইট দিয়ে আবার আপনার কাজ শুরু করবেন। 

ওয়েবসাইট ডাউন সম্পর্কে গুগল কি বলতেছে?

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে গুগলের EEAT ফর্মুলা আপডেট করা হয়। সেখানে google সরাসরি বলে দিয়েছে যে এক্সপেরিয়েন্স ওয়েবসাইটকে রেঙ্ক করাতে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে চলেছে।

গুগলের EEAT ফর্মুলার মানে হল Experience, Expertise, Authoritativeness ও Trustworthiness। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কর্তৃত্ব এবং বিশ্বস্ততা। 

অর্থাৎ এখানে সরাসরি গুগল বলতেছে যে একটু ওয়েবসাইট যত অভিজ্ঞ এবং এক্সপেরিয়েন্স গেদার করবে সেই ওয়েবসাইট রেঙ্ক করার পসিবিলিটি ততই বেশি। 

এখানে বোঝার মতো বিষয়টি হলো যে আপনি আজকে একটি নতুন ডোমেন ক্রয় করলেন সেখানে ছয় মাস ভালোভাবে কাজ করলেন। তারপর হঠাৎ আপনার ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গেল সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে এখনও ঠিক মত এক্সপেরিয়েন্স অর্জিত হয়নি। 

এখন যদি আপনার ওয়েবসাইট ওয়েবসাইটে কনটেন্ট ভালো রেংক নাও করে সে ক্ষেত্রে আপনাকে কনটেন্ট লিখেই যেতে হবে। যখন আপনি এরকম ভাবে এক থেকে দেড় বছর কাজ করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটে এক ধরনের এক্সপেরিয়েন্স সৃষ্টি হবে এবং আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করবেন। তখন google বুঝতে পারবে যে আপনি সেই কাজের উপর বিশেষজ্ঞ। 

এর পাশাপাশি আপনি যদি ভাল সংখ্যক ব্যাক লিংক এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন তৈরি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি ১ থেকে দেড় বছরের মধ্যেই অনেক বড় একটি পজিশন তৈরি করে ফেলতে পারবেন। 

তবে এখানে google এক্সপার্ট এন্টনি ক্লায়ম্বন এর মতে 

“যখন একটু ওয়েবসাইট গুগলে ডাউন হয়ে যায় এবং সে ক্ষেত্রে যদি কোন প্রকার ট্রাফিক না আসে ক্ষেত্রে তাদেরকে কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত কিছু সংখ্যক সময় পর্যন্ত। কেননা google যে কোন সময় আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাঙ্ক করাতে পারে এবং যেকোনো সময় আপনাকে টপ পজিশনেও নিয়ে আসতে পারে।” 

অর্থাৎ আমরা এন্টনি ক্লায়ম্বন কথা অনুসারে জানতে পারতেছি যে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সম্পূর্ণ ডাউন হয়ে গেলেও সেই ওয়েবসাইটকে ভালোভাবে কাজ করা উচিত। কেননা google যেকোনো সময় আপনার ওয়েবসাইটকে ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে পারে। 

আমার একটি পার্সোনাল অভিজ্ঞতা রয়েছে যা আমি নিচে অবশ্যই উল্লেখ করব অবশ্যই তা পড়ে নিবেন। 

এখন আমরা যদি উপরে সমস্ত কথা একটু এক কথায় প্রকাশ করতে চাই google কি বলে ওয়েবসাইট ডাউন হওয়ার পক্ষে। সেক্ষেত্রে উত্তর দাঁড়ায় যে 

“আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করতে থাকেন ও এক্সপেরিয়েন্স এবং যেকোনো একটি বিষয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ হইয়া ওঠেন এর পাশাপাশি কৃতিত্ব অর্থাৎ ব্যাকলিংক এবং বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেন তাহলে যেকোনো সময় আপনার ওয়েবসাইট কে google ভালো পজিশনে নিয়ে আসতে পারে” 

পার্সোনাল অভিজ্ঞতা থেকে!

২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আমি একটু ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যে। ওয়েবসাইটটি খুব ভালো পজিশনে ছিল এবং নিয়মিত খুব ভালো ট্রাফিক পেত। মোটামুটি প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি ক্লিক পেতাম এবং অনেকগুলো আর্টিকেল গুগলের টপ পজিশনে ছিল। আর আইটিকেলের সংখ্যা প্রায় ৩৫টির মতো ছিল। 

২০২২ সালের অক্টোবর মাসের স্প্যাম আপডেটের পর আমার ওয়েবসাইটের প্রায় ৯৯ পারসেন্ট ট্রাফিক ডাউন হয়ে গিয়েছিল। যা ছিল সম্পূর্ণ অর্গানিক এবং সার্চ রেজাল্ট থেকে প্রাপ্ত ট্রাফিক। 

তবে আমি হার মানেনি আমি কাজ চালিয়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমার অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট যেখান থেকেই ট্রাফিক আসুক না কেন আমার উদ্দেশ্য মার্কেটিং করে ইনকাম করা। 

শুধুমাত্র আমি গুগল সার্চ ট্রাফিকের উপর ডিপেন্ড না থেকে অন্যান্য অনেক মাধ্যম থেকে ট্রাফিক পাওয়া শুরু করি এবং আমার কনটেন্ট লেখা চালিয়ে যাই। তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণে ভালোভাবে কনটেন্ট লেখার পরও ওয়েবসাইটের ইম্প্রেশন এবং ক্লিক ০ এর কাছাকাছি ছিল অর্থাৎ কোন প্রকার ট্রাফিক তো দূরের কথা কেউ ইম্প্রেশন পর্যন্ত হতো না। আর google এর মধ্যে তো ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাওয়া যেত না। 

তবে আমি হাল ছাড়িনি আমার কাজ চালিয়ে যাই এবং এরকম করে ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাস পূর্ব পর্যন্ত আমি প্রায় 135 টি কনটেন্ট লিখে ফেলি। তবে আমার অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন যেমন বিং এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে মোটামুটি ট্রাফিক আসতো এবং কয়েকটি প্রোডাক্ট সেলও করতে পেরেছিলাম। 

তবে ২০২৩ সালের হেল্পফুল আর্টিকেল আপডেটের পর আমার ওয়েবসাইট এ ট্রাফিক প্রায় আগুনের মতো গতিতে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ হঠাৎ এ আমার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ০ থেকে ২০০তে পৌঁছে যায়। আর ইমপ্রেশন এবং ক্লিক পরবর্তী ধীরে ধীরে বাড়তেই থাকে। এখন আমার সেই ওয়েবসাইটে প্রায় নিয়মিত ৩০০ থেকে ৩৫০ ক্লিক আসতেছে অর্গানিকলি গুগল থেকে।

এছাড়া ২০২২ সালে যে ওয়েবসাইটগুলো আমার ডাউন হয়ে গিয়েছিল এবং ট্রাফিক কম আসছিল সেই ওয়েবসাইটগুলোতেও ট্রাফিক আসা শুরু করেছিল ২০২৩ সালের আপডেটের পর। 

আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারব যে আজকে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক শূন্য হয়ে গেলেও আপনি যদি নিয়মিত কাজ করতে থাকেন। যেকোনো সময় গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে টপ পজিশনে নিয়ে যাবে তা আপনি নিজেও কল্পনা করতে পারবেন না ।

ডাউন হাওয়া ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার টিপস

যদি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক সম্পন্ন ডাউন হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই ট্রাফিক গুলোকে আবার রিকভার করতে পারবেন। তবে এটি অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ কখনো কখনো এটি ছয় থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। 

তবে সঠিক নিয়ম এবং যদি আপনার ইচ্ছা থাকে ভালো কিছু করার তাহলে অবশ্যই এর আগেও আপনি আপনার ট্রাফিক রিকভার করতে পারবেন। তবে আপনাকে অনেকগুলো বিষয় ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. আপডেটেড তথ্যসহ কনটেন্ট লেখা: 

বর্তমান পৃথিবীতে সব ধরনের তথ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়েই চলেছে। এজন্য আপনি যখন কোন প্রকার আর্টিকেল কিংবা কনটেন্ট লিখবেন তখন অবশ্যই কনটেন্টে যুক্ত করা ইনফরমেশন অবশ্যই যাচাই করে নিবেন সেই তথ্য আপডেট কিনা। 

উদাহরণস্বরূপ আজকে একটি প্রোডাক্টের দাম ১০০০ টাকা থাকতে পারে কিন্তু আগামীকাল সেই প্রোডাক্টের দাম ১৫০০ টাকায় উত্তীর্ণ হতে পারে। এইজন্য অবশ্যই সব সময় আপডেট থাকতে হবে আপনি যেই বিষয় নিয়ে কাজ করেন সেই সম্পর্কে। 

এতে করে আপনার ইনফরমেশন বারবার চেঞ্জ এবং আপডেট করার ফলে গুগলের কাছে সেটা পজেটিভ সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে পেয়ে এবং আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সব সময় রিকমেন্ডেশন হিসেবে ব্যবহার করবে। যা আপনার ডাউন হাওয়া ওয়েবসাইট কেউ রেঙ্ক করাতে অনেক সাহায্য করবে। 

২. পিপল ফার্স্ট কনটেন্ট লেখা: 

আপনার ওয়েব সাইট ডাউন হওয়ার পিছনে পিপল ফার্স্ট কনটেন্ট না লেখা অনেক বড় একটি কারণ হতে পারে। পিপল ফার্স্ট কনটেন্ট কনটেন্ট বলতে মূলত বুঝানো হয় মানুষের জন্য তৈরি করা কনটেন্ট, এই ধরনের কনটেন্ট গুলো মূলত রেংক করানোর জন্য নয়, ইনফরমেশন শেয়ার করার জন্য তৈরি করা হয়। 

অবশ্যই আপনি যখন কনটেন্ট লিখবেন তখন আপনার কনটেন্টকে ইনফরমেটিভ এবং পিপল ফার্স্ট কনটেন্ট হিসেবে লেখার চেষ্টা করবেন। 

কনটেন্ট এর মধ্যে যাবতীয় ইনফরমেশন এমন ভাবে উপস্থাপন করবেন যেন সবাই সেই তথ্যগুলো বুঝতে পারে এবং আপনার কন্টেনগুলোকে ফলো করতে পারে। এতে করে google যখন আপনার কনটেন্ট গুলো পড়বে এবং সেগুলোকে ইনফরমেটিভ মনে করবে। 

তখন সেগুলোকে সবার সামনে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলোকে সবার সামনে রিকোমেন্ডেশন হিসেবে ব্যবহার করবে। যা আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ফিরিয়ে আনতে অনেক সাহায্য করবে।

৩. ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং কনটেন্ট ডিজাইন: 

অবশ্যই যেন আপনার ওয়েবসাইটের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স হাই থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ইউজার এক্সপিরিয়েন্স হাই করার জন্য স্বাভাবিক theme ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন এবং ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড উন্নত রাখার চেষ্টা করবেন। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে আপনার ওয়েবসাইট কি রকম পারফরম্যান্স দিচ্ছে সেটা চেক করে নিবেন। এর জন্য আপনি চাইলে পেইজস্পিড ইনসাইট টুলটি ইউজ করতে পারেন। 

এর পাশাপাশি আপনার কনটেন্ট গুলোকে এমন ভাবে এডিট করবেন যেন সেটাকে আকর্ষণীয় মনে হয়। বোল্ড, ইতালিক, আন্ডারলাইন, হেডিং, কোটেশন, টেবিল ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনার কনটেন্ট কে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করবেন। হেডিং এবং সাব হেডিংগুলোকে যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন যেন আপনার কনটেন্ট টাকে সবাই সহজেই ফলো করতে পারে। 

৪. লং কনটেন্ট লেখার প্র্যাকটিস করা: 

গুগল বর্তমানে ছোট কন্টেন্টের তুলনায় বড় কনটেন্ট গুলোকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। Google প্রোডাক্ট এক্সপার্ট টম হেলসেন, semrush, সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল, গ্রেট কনটেন্ট, নীল প্যাটেল সহ অনেকের মতে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি এবং পিপল ফার্স্ট কনটেন্ট এর দৈর্ঘ্য কমপক্ষে ২০০০ শব্দের কাছাকাছি রাখা উত্তম। 

Google product expert tom helson এর মতে google মনে করে যে কোন একটি ইনফরমেটিভ ইনফরমেশন লেখার জন্য সেটাকে অবশ্যই আর্টিকেল দীর্ঘ হওয়া উচিত কেননা সংক্ষিপ্ত আর্টিকেলের মধ্যে কখনোই ভালো এবং ভ্যালুয়েবল ইনফরমেশন শেয়ার করা পসিবল না। 

এজন্য google ছোট কনটেন্ট গুলোর তুলনায় লং কন্টেন্ট গুলোকে google পূর্বে তুলনায় বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। অবশ্যই long content এর মধ্যে বেশি পরিমাণে ইনফরমেশন যুক্ত করলে সেটা রেঙ্ক করার পসিবিলিটি অনেক বৃদ্ধি পায়।

৫. ইউনিক এবং নতুন ধারায় কন্টেন্ট লেখা: 

অনেক সময় দেখা যায় যে google কোন বিষয় নিয়ে সার্চ করলে একটি কনটেন্ট এর মত অনেকগুলো কনটেন্ট পাওয়া যায়। যেখানে শুধুমাত্র কয়েকটি ইনফরমেশন এবং কথাগুলোকে উলটপালট করে লেখা হয়েছে কিন্তু অর্থ একই। 

কিন্তু google সব সময় চায় যেন ইনফরমেটিভ এবং নতুন ধারায় কনটেন্ট যা পড়বে কখনো প্রকাশ করা হয়নি, যেখানে নতুন নতুন ইনফরমেশন এবং নতুন ভাবে কনটেন্টকে সাজানো হয়েছে। এতে করে ইউজারের নতুন কিছু শিখতে পারে যা গুগল খুবই পছন্দ করে। 

এজন্য যখন কনটেন্ট লিখবেন বিশেষ করে যখন আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক অনেক কম এবং আপনার ওয়েবসাইট রেঙ্ক করতে যাচ্ছেনা, তখন আপনার অবশ্যই উচিত এমন কিছু কনটেন্ট লেখা যে বিষয়ে অন্যরা কনটেন্ট লিখলেও সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনফর্মেশন নেই। 

এত করে গুগল আপনার কনটেন্টকে সবার সামনে বেশি উপস্থাপন করবে এবং আপনাকে খুব সহজেই র‍্যাঙ্ক করাতে সাহায্য করবে। 

৬. এআই কনটেন্ট সঠিকভাবে ইউটিলাইজ করা: 

অনেক জনের মধ্যে এআই কনটেন্ট নিয়ে কাজ করা উচিত নয় তবে তাদের সম্পূর্ণ ধারণাই ভুল। কেন বললাম সম্পূর্ণ ধারণা ভুল সেই সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আপনাকে কিছুদিনের ওয়েট করতে হবে। 

কেননা আমরা এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করব যেন আপনারা বিষয়গুলো ক্লিয়ার হতে পারেন। 

তবে এতোটুকু বলে রাখতে পারবো যে আপনি যদি এই কনটেন্ট দিয়ে কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনি ভালো পরিমাণে ট্রাফিক এবং রেঙ্ক করতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু কনটেন্ট লিখতে হবে যা গুগল পছন্দ করে এবং যেগুলোর মধ্যে কোন প্রকার ত্রুটি নেই। 

আপনি যদি গুগলের গাইডলাইন অনুযায়ী পিপল ফার্স্ট কন্টেন্ট লিখতে পারেন তাহলে আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে লেখা কনটেন্টকে সহজে রেঙ্ক করাতে পারবেন এবং সেখানে ট্রাফিক ও নিয়ে আসতে পারবেন। 

তবে অন্যান্যদের মত আপনারাও গণহারে write an article এইরকম কিছু দিয়ে কন্টেন্ট লেখা থেকে বিরত রাখুন। কেননা google এই ধরনের কন্টেন্ট গুলোকে খুবই খারাপ নজরে দেখতেছে। যদি এআই দিয়ে কনটেন্ট লিখতেই হয় সেক্ষেত্রে ইনফরমেটিভ এবং গভীর জ্ঞান সম্পন্ন আর্টিকেল লেখা উচিত, যা গুগল পছন্দ করে। 

কিন্তু সব সময় পাইকারি ভাবে কন্টেন্ট লেখা থেকে বিরত থাকবেন। যখন আপনি সঠিক ফর্মুলা এবং নিয়ম অনুসারে কনটেন্ট লিখে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে পারবেন এবং নিয়মিত কনটেন্ট দিতেই থাকবেন তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইট কে কখনো না কখনো রেঙ্ক করাবেই।

৭. কনটেন্টে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা: 

google সব সময় চায় যেন বাস্তব জীবনে সম্ভব এরকম কিছু ইনফরমেশন দিয়ে কনটেন্টকে সাজানো হয়। কেননা এতে করে ইউজারদের অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি পায় এবং তারা কাজের প্রতি আরো মনোযোগী হয়। আর গুগল এই বিষয়টাকে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে moz দ্বারা একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারা যাচ্ছে যে যেসব কনটেন্টে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে সেই সব কনটেন্টকে গুগল বেশি পরিমাণে সবার সামনে সাজেস্ট করতেছে এবং সেই ওয়েবসাইটগুলোকে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে google সাহায্য করতেছে। 

এইজন্য আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই এই নিয়মটি ফলো করার চেষ্টা করবেন। এতে করে গুগল আপনাকে সবার সামনে যদি রেঙ্ক করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে যদিও আপনার ওয়েবসাইট ডাউন থাকে। যা আপনাকে ওয়েবসাইট রিকভার করতে সাহায্য করবে।

একটি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক সম্পূর্ণ ডাউন হয়ে গেলে তা বৃদ্ধি করা অনেক সময় সাপেক্ষ জনিত কাজ। তবে আপনি যদি উপরের নিয়ম গুলো ফলো করেন এবং সঠিকভাবে কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক রিকভার করতে আপনাকে খুব একটা বেশি সময় লাগবেনা। তবে অবশ্যই একটি ডাউন হয়ে ওয়েবসাইটকে রেঙ্ক করানোর জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ১ বছর লাগাতার কাজ করা উচিত। 

উপসংহার

বর্তমানে গুগলের আপডেটের সাথে সাথে ব্লগার এবং পাবলিশারদের নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আজকের আর্টিকেলে এমনই একটি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম। গুগলের আপডেটের পর আমার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে গিয়েছে এবং আমার ওয়েবসাইটে কোন প্রকার ট্রাফিক নেই এখন আমার কি করা উচিত, পুরাতন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করা উচিত নাকি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে কাজ করা উচিত? এই বিষয় নিয়ে। 

এই আর্টিকেলটাকে আমরা খুব সংক্ষিপ্ত এবং কিছু ইনফরমেটিভ তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। তবুও যারা কনটেন্ট টাকে ভালোভাবে বুঝতে পারেননি তারা অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন। আর এই রিলেটেড যদি আপনাদের কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলেও কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। 

ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে আমরা অন্য কোন বিষয় নিয়ে আবার আলোচনা করব। তো আজকের এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই সবাই আসসালামুয়ালাইকুম এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। 


Leave a Reply