কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি ও কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয় এই প্রশ্ন প্রায় সব ধরনের ব্লগারের একটি কমন প্রশ্ন। একটি ওয়েবসাইট কে এসইও করানোর জন্য এবং google এ ভালো পজিশন লাভ করার জন্য অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ বাধ্যতামূলক। Serpstat এর একটি গবেষণা অনুযায়ী কিওয়ার্ড রিসার্চ একটি ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানোর জন্য ৮০% পর্যন্ত কাজ করে থাকে। সুতরাং আপনার ওয়েবসাইটে যদি আপনি যথেষ্ট পরিমাণে seo করতে চান এবং আপনার ওয়েবসাইট কে একটি ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে চান তাহলে কিওয়ার্ড রিসার্চ এর কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে যদি আপনি অন পেজ এসইও করতে যান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা থাকতে হবে। 

Serpstat একই প্রতিবেদনে জানায় যে যেসব ওয়েবসাইট গুলো কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল লেখে তাদের ওয়েবসাইটে একটি সাধারণ ওয়েবসাইট থেকে থেকে প্রায় ৫৪% বেশি ট্রাফিক আসে। একটি ওয়েবসাইটের রেঙ্ক করানোর জন্য ও অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু হয়ত অনেক জনই জানেন না যে মূলত কিওয়ার্ড রিসার্চ কি এবং কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়। 

এজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা পরিপূর্ণ গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করব যে কিওয়ার্ড রিসার্চ কি,  কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ  করতে হয়, কেন কিওয়ার্ড রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ, বাংলা আর্টিকেলের জন্য কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এবং কয়েকটি সেরা মানের কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস নিয়ে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ। যেন আপনারা এই বিষয়গুলোকে ভালোভাবে ক্লিয়ার করে নিতে পারেন। চলুন তাহলে অতিরিক্ত কথা না বলে আর্টিকেল শুরু করি।

কীওয়ার্ড কি? 

সব থেকে সহজ ভাবে বলতে গেলে, আমরা অনলাইনে যে শব্দ লিখে সার্চ করি সেটাই মূলত কিওয়ার্ড। আপনি যদি অনলাইনে “কিওয়ার্ড রিসার্চ কি” লিখে সার্চ করেন তাহলে সেটাই আপনার কীওয়ার্ড। কিওয়ার্ড একটি কিংবা একাধিক শব্দ নিয়ে গঠিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ “কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ  করতে হয়” এটা একটি কিওয়ার্ড কিন্তু এটি একাধিক শব্দ নিয়ে গঠিত। ঠিক একই ভাবে আমরা অনলাইনে যা নিয়ে সার্চ করি সেটাই কিওয়ার্ড হিসেবে অন্য করা হয়। কিন্তু কিওয়ার্ডের মধ্যে অনেকগুলো প্রকারভেদ রয়েছে যেগুলো আপনাকে জেনে নেয়া উচিত। তাহলে চলুন কিওয়ার্ডের প্রকারভেদ গুলো সম্পর্কে আমরা আগেই বিস্তারিতভাবে জেনে নেই কিওয়ার্ড রিসার্চ শেখার পূর্বে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

কিওয়ার্ড এর প্রকারভেদ

অনেকজন একই ওয়ার্ড কে অনেক ভাগে ভাগ করে থাকি কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে যখন আপনি কাজ করতে আসবেন তখন আপনি মূলত ৮ প্রকার কিওয়ার্ড দেখতে পারবেন। তাছাড়া আরো অনেক প্রকার রয়েছে যেগুলো অন্য কোন দিন আলোচনা করা হবে কিন্তু আজকে আমরা বেসিক কিওয়ার্ডের প্রকারভেদ গুলো জেনে নিব। এছাড় বিস্তারিতভাবে এই বিষয়গুলো ক্লিয়ার করে নিব। 

১. শর্ট কিওয়ার্ড

 যখন আমরা গুগলে একটি শব্দ কিংবা দুইটি শব্দ ব্যবহার করে সার্চ করি তখন সেটা মূলত শর্ট কিওয়ার্ড হিসেবে গণ্য করা হয়। মূলত বিভিন্ন কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এর সংজ্ঞা অনুসারে, যেই সার্চগুলো করার জন্য একটি বা দুইটি কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় তখন সেটাকে শর্ট কিওয়ার্ড বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ আমি যদি গুগল এগিয়ে লিখি “কীওয়ার্ড” বা “কিওয়ার্ড রিসার্চ” তাহলে এগুলো শর্ট কিওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় অবশ্য শর্ট কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ না করাই উত্তম। আমি এই বিষয়টা শেষের দিকে ভালোভাবে উপস্থাপন করব।

২. লং টেইল কিওয়ার্ড

 যখন আপনি গুগলের তিনটি বা চারটি ওয়ার্ড একসাথে করে সার্চ করবেন তখন সেটাকে লং টেইল কিওয়ার্ড বলে আখ্যায়িত করা হয়। এই ধরনের কিওয়ার্ড দিয়ে খুব সহজেই ভালো পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব। আপনি যদি একটি নতুন ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন এবং এসইও নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই লং টেইল কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা উত্তম হবে। মূলত আপনি যখন তিনটি কিংবা চারটি শব্দ একত্র করে সার্চ করেন তখন সেটা খুব ভালোভাবে ভিজিটরদের কে আকৃষ্ট করতে সহযোগিতা করে। উদাহরণস্বর ” কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়” বা ” বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ করার টুলস” এই ধরনের কিওয়ার্ডগুলোকে মূলত লং টেইল কিওয়ার্ড বলে। 

৩. আলট্রা লং টেইল কিওয়ার্ড

যেসব কিওয়ার্ড পাঁচটি কিংবা এর অধিক শব্দের বেশি শব্দ নিয়ে গঠিত করা হয় সেগুলোকে মূলত আলট্রা লং টেইল কিওয়ার্ড। এই ধরনের কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সব থেকে দ্রুত আর্টিকেল রেঙ্ক করানো যায়। আল্ট্রা লং টেইল কিওয়ার্ড একটি আর্টিকেল কে কার্যকরী ভাবে রেঙ্ক করাতে সাহায্য করে এবং ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ধরনের কীওয়ার্ড খুব কম পাওয়া যায় তবুও ভালোভাবে রিসার্চ করলে আল্ট্রা লং টেইল কিওয়ার্ড খুঁজে পাওয়া সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ “নতুন ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর উপায়‘ এই ধরনের কীওয়ার্ডগুলোকেই মূলত আলট্রা লং টেইল কিওয়ার্ড বলে। আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে এই ধরনের কিওয়ার্ড ব্যবহার করে খুব দ্রুত ভালো পরিমাণে ট্রাফিক পেতে পারেন। 

৪. একজ্যাক্ট কিওয়ার্ড

আপনি যখন গুগল এ একটি কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করেন আপনি চান সেই কি ওয়ার্ডের হুবহু আনসার পেতে। আপনি যেই বিষয়ে সার্চ করেন আপনি সেই রেজাল্ট পেলে বেশি খুশি হন। অনেক সময় দেখা যায় যে গুগল এ এমন বিষয় নিয়ে সার্চ করা হয় যা হুবহু রেজাল্ট প্রদান করে না।  আমরা আর্টিকেল লেখার সময় সময় একই ধরনের এক্সাক্ট কিওয়ার্ড ইউজ করতে হবে যেটা ইউজাররা মূলত সার্চ করে থাকে। ইউজার যে শব্দ লিখে সার্চ করতে চাই আপনি যদি হুবহু শব্দ আপনার আর্টিকেলে অন্তর্ভুক্ত করলে খুব তাড়াতাড়ি রেংক করানো সম্ভব।   

৫. Auto generated কিওয়ার্ড

যখন আমরা google ,বিং , youtube এর মত অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে কোন বিষয়ে লিখে সার্চ করতে যায় তখন আমাদেরকে অনেকগুলো অটোমেটিক জেনারেটেড কিওয়ার্ড প্রদান করে। ধরে নেন আমি লিখতেছি “কিওয়ার্ড রিসার্চ” তাহলে গুগল আমাকে অটোমেটিক সাজেস্ট করতেছে “কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়” বা “কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন গুরুত্বপূর্ণ” আর এই ধরনের গুলোকেই অটো জেনারেটেড কিওয়ার্ড বলে। এই ধরনের কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই বেশি পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব। কারণ google আমাকে যখন কোন বিষয়ে একটি সাজেস্ট করবে তখন বুঝতে হবে যে এই বিষয়টা নিয়ে অনেকজন সার্চ করতেছে। হয়তোবা কেউ একজন একটি বিষয় সার্চ করতে গেছে কিন্তু যখন সেখানে অটো জেনারেটেড সাজেশন চলে আসে তখন সে অটো জেনারেট কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে সেই রিলেটেড তথ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করে। 

৬. প্রশ্নবোধক কিওয়ার্ড

আমরা গুগলের শুধুমাত্র কয়েকটি সাধারণ সার্চ করি না মাঝে মাঝে আমাদের এমন সব প্রশ্ন সার্চ করতে হয় যেগুলো আমাদের অজানা। আর এই ধরনের প্রশ্নবোধক যে শব্দ দিয়ে সার্চ করা হয় সেগুলোকে মূলত question কীওয়ার্ড নামে সবার কাছে পরিচিত। প্রশ্নবোধক কীওয়ার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই আর্টিকেল রেঙ্ক করানো যায় কারণ এগুলো লো কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড হয়। আর এই ধরনের কিওয়ার্ডগুলো ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট তৈরিতে সাহায্য করে। প্রশ্নবোধক চিহ্ন গুলো আর্টিকেলের মধ্যে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বেশি পরিমাণ ট্রাফিক পাওয়ার জন্য। প্রশ্নবোধক কিওয়ার্ড এর উদাহরণ হল “প্রধান কীওয়ার্ড বা কীফ্রেইজটি কত ওয়ার্ডের মধ্যে হওয়া যুক্তিযুক্ত” এইটি মূলত এক ধরনের প্রশ্নবোধক কিওয়ার্ড। আর সব থেকে ভালো বিষয় হলো এই ধরনের কি ওয়ার্ডগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়।

৭. কমার্শিয়াল কিওয়ার্ড 

কমার্শিয়াল কিওয়ার্ড বলতে মূলত বোঝানো হয় যে কি ওয়ার্ডগুলো মূলত প্রোডাক্ট কেনাবেচা বা এই ধরনের কিওয়ার্ডগুলো। ধরে নেন আপনি একটি বিষয় নিয়ে সার্চ করতেছেন যেখানে কোন একটি প্রোডাক্ট কিংবা একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে হবে তখন দেখবেন আর্টিকেলের মধ্যে প্রোডাক্ট যুক্ত করে দেয়া হয়েছে অর্থাৎ তারা বাণিজ্যিকভাবে তাদের কাজগুলো করতেছে। এই ধরনের কিওয়ার্ড গুলো মূলত এফিলিয়েট মার্কেটাররা বেশি ব্যবহার করে থাকে। এই ধরনের কিওয়ার্ড থেকে অত্যাধিক পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব এবং এর সাথে সাথে প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করা সম্ভব। এই ধরনের কিওয়ার্ডের উদাহরণ হল “সেরা দশটি কম্পিউটার” বা” গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য সেরা দশটি কম্পিউটার” । 

৮. দেশভিত্তিক বা লোকাল কিওয়ার্ড

আমরা যখন অনেক সময় ইংরেজি কনটেন্ট গুলো পড়তে যাই তখন দেখতে পাওয়া যায় যে কোন একটি নির্দিষ্ট দেশ কিংবা জায়গা কে কেন্দ্র করে আর্টিকেলগুলোকে লেখা হয়েছে। যখন একটি নির্দিষ্ট দেশ বা স্থানকে কেন্দ্র করে আর্টিকেল লেখা হয় সেই ধরনের আর্টিকেল মূলত দেশভিত্তিক কিওয়ার্ড বা লোকাল কীওয়ার্ড বা জিও টার্গেটিং কিওয়ার্ড বলে। ধরে নেন আমি বাংলাদেশকে ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র আর্টিকেল লিখব, তাহলে অবশ্যই আমাকে কিওয়ার্ডের মধ্যে স্থানের নাম উল্লেখ রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ “বাংলাদেশের সেরা আইটি কোম্পানি” বা “ঢাকার মধ্যে সেরা আইটি কোম্পানি”। এই ধরনের কীওয়ার্ড টার্গেট করে একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে খুব ভালো পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও জিও টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করে খুব সহজে গুগলে ভালো পজিশনে যাওয়া যায়।

নিচের টেবিলটাতে কিওয়ার্ড সম্পর্কে আরো কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যা চ্যাট জিপিটির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।

Keyword TypeExampleDescription
Short-Tail Keywords“Digital marketing”Brief, one or two words, often broad in scope.
Long-Tail Keywords“Best online digital marketing courses 2023”Longer, more specific phrases, often used for detailed searches.
Transactional Keywords“Buy digital marketing tools online”Indicates user intent to make a purchase.
Informational Keywords“How to create a digital marketing strategy”Aimed at providing information rather than selling.
Navigational Keywords“Digital marketing certification login”Directs users to a specific website.
Commercial Intent Keywords“Discounted digital marketing software”Implies the user is interested in buying but is looking for a deal.
Local Keywords“Digital marketing agencies in New York”Indicates a location-specific search, often important for local businesses.
Seasonal Keywords“Holiday digital marketing campaigns 2023”Relevant to a specific season or time of year.
Competitor Keywords“Comparison of HubSpot vs. Mailchimp”Targeting keywords related to competitors or specific brands.
Branded Keywords“Google Ads digital marketing”Involves the use of a brand name in the search query.
Product Keywords“Top-rated digital marketing books reviews”Focuses on specific products and their features.
Question Keywords“What are the latest digital marketing trends?”Queries framed as questions, indicating informational intent.
Adjective Keywords“Effective social media digital marketing”Includes descriptive words to specify a quality or characteristic.
Semantic Keywords“Digital marketing trends infographic”Related terms that convey the broader context of a topic.
LSI Keywords“SEO optimization techniques 2023”Keywords related to the main topic, aiding in search engine understanding.
Event Keywords“Digital marketing summit schedule”Related to specific events or expos in the digital marketing community.
Negative Keywords“Digital marketing scams”Keywords used to exclude certain topics from search results.
Intent Keywords“Learn digital marketing online free”Reflects the user’s specific intent, such as learning or engaging in digital marketing.
Evergreen Keywords“Fundamentals of digital marketing”Timeless and always relevant, not tied to specific trends.
Review Keywords“Review of top digital marketing tools 2023”Indicates the user is looking for evaluations and opinions in the digital marketing tools niche.

এছাড়াও আরো অনেক জনের মত অনেক প্রকার কিওয়ার্ড থাকতে পারে। কিন্তু যখন আপনি বাস্তবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এবং ইমপ্ল্যান্ট করবেন আপনার আর্টিকেলের মধ্যে তখন এই কয়েকটি কিওয়ার্ডের ধরন ছাড়া অন্য কেউ ধরেন গুলো খুব কমই দেখতে পারবেন। তাহলে আমাদের কিওয়ার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা হয়ে গিয়েছে। এখন চলুন জেনে নেই আসলে কিওয়ার্ড রিসার্চ কি।

কীওয়ার্ড রিসার্চ কি?

আমরা উপরে এতক্ষণ ধরে আলোচনা করলাম কিওয়ার্ড সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে যেমন কিওয়ার্ড কি ও এর প্রকারভেদ। এখন কিওয়ার্ড রিসার্চ কি এই জিনিসটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য সেরা মানের কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। এখানে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে রিসার্চ অর্থাৎ গবেষণা করতে হবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, অনলাইনে প্রতিদিন হাজারো কিওয়ার্ড সার্চ করা হয় এখান থেকে সবথেকে ভালো (লো কম্পিটিশন+হাই সার্চ ভলিউম) কিওয়ার্ড খুঁজে বের করার প্রক্রিয়ায়ই হল কিওয়ার্ড রিসার্চ। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত এবং রিলেটেড ওয়ার্ডগুলো শনাক্ত করা হয়ে থাকে। যেগুলো একটি কনটেন্ট তৈরি করার সময় ব্যবহার করা হয়। সঠিক কিওয়ার্ড বেছে নেওয়ার পূর্বে অনেকগুলো বিষয়ে মাথায় রাখতে হয়। বিশেষ করে কম্পিটিশন, সার্চ ভলিউম, ইন্টেন্ট এর মত বিষয়গুলোকে লক্ষ্য রাখতে হয়। কীওয়ার্ড বিশ্বাস আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের প্রথম পেজের নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর ভাবে কাজ করে। এছাড়াও কিওয়ার্ড রিসার্চের ফলে স্বাভাবিক এর তুলনায় অধিক ট্রাফিক পাওয়া যায়। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

বিভিন্ন কারণে কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়েবসাইটের জন্য। কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে ই নানা ধরনের সফলতা পাওয়া যায়। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

১. সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং: কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে আপনি এমন সব কীওয়ার্ড খুঁজে পাবেন যার সাহায্যে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে সবার উপরে রেঙ্ক করাতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এর মধ্যে আপনার রিসার্চকৃত কিওয়ার্ডগুলো যখন ব্যবহার করবেন তখন সার্চ ইঞ্জিন প্রথম পেজে অবস্থান করবেন। সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে একটি কনটেন্টকে রেঙ্ক করানোর জন্য কিওয়ার্ড অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। সুতরাং আপনি যদি google ও বিং এর মত সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার আর্টিকেল কে রেঙ্ক করাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতেই হবে।

২. বেশি ট্রাফিক আনতে: একটি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করা গুরুত্বপূর্ণ। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে কোন ধরনের কিওয়ার্ড গুলোতে কি পরিমানে ট্রাফিক আসে। যেই কিওয়ার্ডগুলোতে ভলিউম বেশি এবং competition কম সেই ধরনের কি ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি ট্রাফিক বৃদ্ধি করা সম্ভব। আর এই ধরনের ট্রাফিক গুলো মূলত আসে গুগল এবং বিং থেকে। আর এগুলো হলো সম্পূর্ণ অর্গানিক ট্রাফিক। সুতরাং আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

৩. টার্গেটেড অডিয়েন্স: আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কোন বিষয়গুলো বেশি সার্চ করতেছে সেটা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট নিস নিয়ে কাজ করবেন তখন কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্সরা যে বিষয়গুলো সার্চ করতেছে সেগুলো নিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে খুব সহজেই টার্গেট অডিয়েন্সদেরকে কেন্দ্র করে আপনি প্রাসঙ্গিক আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এটি আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে এবং আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্টকে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে। সুতরাং কিওয়ার্ড রিসার্চ করার মাধ্যমে খুব সহজেই টার্গেট অডিয়েন্সদের কে কেন্দ্র করে একটি ভালো ওয়েবসাইট পরিচালনা করা সম্ভব।

৪. ইনকাম বৃদ্ধি করতে: আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে এডভার্টাইজিং দেখি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো সিপিসি অনুযায়ী টার্গেট কীওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। সিপিসির ওপর নির্ভর করে আপনার কত ইনকাম হতে পারে। আর সিপিসি চেক করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ এর সাহায্য নিতে হবে। একটি কিওয়ার্ড এ কত পরিমাণে সিপিসি প্রদান করতেছে এডভার্টাইজাররা রিসার্চ করার মাধ্যমে তা আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। যেই কিওয়ার্ডগুলোর সিপিসি হাই সেই কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে আপনি যদি কাজ করেন তাহলে আপনার ইনকাম অনেক বেশি পরিমাণে হবে। এজন্য ইনকাম বৃদ্ধি করতে কিওয়ার্ড রিসার্চ একটি বড় ভূমিকা রাখে।

৫. দ্রুত কনটেন্ট লিখতে: যখন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এবং রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোকে বের করে নিবেন। তখন সেগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। যখন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড কে কেন্দ্র করে আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং আর্টিকেলকে আরো সমৃদ্ধ ভাবে লেখতে পারবে। সুতরাং আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আগ্রহী থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিভাবে রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখতে হবে।

৬. এসইও করা: বলা হয়ে থাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ অন পেজ এসইও এর ফুসফুস। কিওয়ার্ড রিসার্চ না করে যদি আপনি একটি আর্টিকেল কে রেংক করাতে চান তাহলে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। তারপরও সম্পূর্ণ সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। একটি আর্টিকেলকে এসইও করতে অবশ্যই ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে এবং সেটাকে আর্টিকেলের মধ্যে ভালোভাবে ইমপ্ল্যান্ট করতে হবে। আর কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে google এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো খুব সহজেই বুঝতে পারে যে আপনার আর্টিকেলটা কোন বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে। যার ফলে তারা খুব সহজেই আর্টিকেলকে রেঙ্ক করাতে সাহায্য করে। 

৭. ইউজার এক্সপেরিয়েন্স: ধরে নেন আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে কাজ করবেন। তখন আপনি যে আর্টিকেলগুলো লিখবেন আপনার ওয়েবসাইটে, ঠিক একই রকম আরো কিছু রিলেটেড কনটেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে রেখে দিতে হবে। যেমন আপনি যদি ঢাকার সেরা দশটি হোটেলে নিয়ে আর্টিকেল লেখেন। তাহলে আপনাকে আরো কিছু আর্টিকেল লিখতে হবে যেমন কি হবে ঢাকার মধ্যে সেরা হোটেল খুঁজে বের করবেন, একটি হোটেল বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত। অর্থাৎ আপনি আপনার অডিয়েন্স কে আপনার নিস রিলেটেড বিভিন্ন কনটেন্ট প্রদান করে তাদের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি করবে। যখন আপনি রিলেটেড আর্টিকেল গুলোর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এবং আর্টিকেল লিখবেন তখন ইউজাররা খুব সহজেই একটি আর্টিকেল থেকে তাদের পছন্দের অন্য একটি আর্টিকেলে যেতে পারবে এবং তথ্য আহরণ করতে পারবে যার ফলে তাদের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার ওয়েবসাইটের পজিশন স্টাবল রাখতে সাহায্য করবে ।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক অনেক কারণ রয়েছে যার জন্য  কিওয়ার্ড রিসার্চ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কেন কিওয়ার্ড রিসার্চ এত গুরুত্বপূর্ণ।

কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য ৮টি সেরা টুলস

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এর সহযোগিতা নিতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার রিসার্চ সম্পূর্ণ করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে অনেক ধরনের কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল পাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কিছু ফ্রি এবং পেইড কিওয়ার্ডের রিসার্চ টুল। আপনি যদি সম্পূর্ণ নতুন হন ব্লগিং এবং এসইও সেক্টরের এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ফিল্ডে এবং আপনার যদি এইগুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা না থাকে তাহলে আপনি ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলগুলো ব্যবহার করে কাজ করতে পারবেন। 

অপরদিকে আপনি চাইলে পেইড কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। একটি টুলের অনেক সময় অনেকগুলো প্রিমিয়াম প্ল্যান থাকলে আপনি যেকোন একটি প্রিমিয়াম প্লান গ্রহণ করে আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। ফ্রি কিওয়ার্ডে রিসার্চ টুলের তুলনায় প্রিমিয়াম ভার্সন গুলোতে বেশি পরিমাণে সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। 

তাছাড়া ফ্রি অপশনগুলোতে তুলনামূলক কম কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সুবিধা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র বেসিক কিওয়ার্ডগুলো ফাইন্ড আউট করতে পারবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কি ওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য সেরা ৮টি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল সম্পর্কে। 

১. Google Keyword planner

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

গুগল কিওয়ার্ড প্লানার মূলত গুগল কোম্পানির একটি প্রোডাক্ট যা আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। গুগল কিওয়ার্ড প্লানের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি ফ্রিতে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান তাহলে আপনি গুগল কীওয়ার্ড প্লানার ব্যবহার করতে পারেন। Google Keyword planner এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো দিক হলো এর একুরেসি এবং গ্রহণযোগ্যতা। যেহেতু google আপনাকে ডাটাগুলো দিচ্ছে সে ক্ষেত্রে ভুল ইনফরমেশন থাকার চান্স খুবই কম। গুগল কিওয়ার্ড প্লানার মূলত গুগল এডস এর সাথে কানেক্ট করা। আপনি গুগলে গিয়ে গুগল কিওয়ার্ড প্লানার নিচে সার্চ দেবে ই আপনি তাদের মেইন ওয়েবসাইটটি দেখতে পারবেন। নিচের ছবির মত,

এরপর আপনি gmail দিয়ে login করার পর তাদের ড্যাশবোর্ড থেকে খুব সহজেই গুগল কিওয়ার্ড প্লানার ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে আপনি দুইভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। প্রথমত আপনি যেকোনো একটি কিওয়ার্ড দিয়ে রিলেটেড গুলোকে ফাইন্ড আউট করতে পারবেন। দ্বিতীয়তঃ আপনি আপনার কম্পিটিটরের ওয়েবসাইটের এড্রেস সেখানে গিয়ে পেস্ট করলে আপনার কম্পিটিটারের ব্যবহৃত কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে। 

এছাড়াও আপনি এখান থেকে সার্চ ভলিউম, কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি, সিপিসি সহ বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার করার অপশন পাবেন যা আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ সহজ করে তুলবে। আপনি চাইলে এখানে আনলিমিটেড সময় ব্যবহার করতে পারবেন। সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে আপনি এখানে চাইলে যে কোন ভাষায় কিওয়ার্ডের রিসার্চ করতে পারবেন। 

সুতরাং আপনারা যারা বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে চাচ্ছেন তারা এখানে অনায়াসে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রিতে। আপনি যদি বিগিনার হন তাহলে আমার পরামর্শ থাকবে আপনি গুগল কিওয়ার্ড প্লানার ব্যবহার করে আপনার প্রাথমিক কীওয়ার্ড রিসার্চ শুরু করুন।

২. Ahrefs কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

Ahrefs কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস একটি খুবই জনপ্রিয় এবং একুরেট কিওয়ার্ড রিসার্চ  টুল যার সাহায্যে আপনি খুব সহজেই আপনার প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। গুগলের পরে সব থেকে বেশি  ক্রাউলার রয়েছে Ahrefs এর।  যার ফলে তারা অনেক একুরেট তথ্য প্রদান করে থাকে। এই টুল ব্যবহার করে আপনি খুব আপনার কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। এই টুলস এর ফ্রী ভার্শন ব্যবহার করে আপনি আপনার রিলেটেড গুলো খুব সহজে বের করতে পারবেন এর পাশাপাশি কিওয়ার্ড ভলিউম, কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বের করতে পারবেন। 

কিন্তু সব থেকে বড় অসুবিধা হচ্ছে আপনি সর্বোচ্চ ১০০টি কিওয়ার্ড পর্যন্ত এখানে দেখতে পারবেন। কিন্তু এর থেকে যদি আপনি বেশি পরিমাণে কিওয়ার্ডের রিসার্চ করতে চান এবং সিপিসি সহ আরো অন্যান্য বিষয়গুলো চেক করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রিমিয়াম প্যাকেজ গ্রহণ করতে হবে। অবশ্য আপনি তাদের প্রিমিয়াম প্লান গ্রহন করলে কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলের পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের টুলস পাবেন। যার মাধ্যমে আপনার ব্লগিং এবং এসইও খুবই সহজ করে তুলতে পারবেন। একটু সংক্ষেপে দেখে নেই এই টুল ব্যবহারের সুবিধা গুলো কি কি

১. খুব সহজে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড বের করা: Ahrefs ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার সমস্ত রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো বের করতে পারবেন। যার মধ্যে শর্ট কিওয়ার্ড, লং টেইল কীওয়ার্ড, আলট্রা লং টেইল কীওয়ার্ড এর পাশাপাশি প্রশ্নবোধক কীওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। যা অন্যান্য টুলস এ পাওয়া যায় না। 

২. কীওয়ার্ড এর ভলিউম এবং ডিফিকাল্ট চেক করা: আপনি যখন Ahrefs কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তখন আপনাকে অটোমেটিক্যালি আপনার রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোর ভলিউম এবং ডিফিকাল্টি দিয়ে দিবে। যার ফলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে কাজ করা আপনার জন্য সুবিধা জনক হবে। 

৩. সঠিক তথ্য: তুলনামূলক অন্যান্য কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলগুলো থেকে Ahrefs কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল অনেক বেশি একুরেট তথ্য প্রদান করে। গুগলের মতো তাদেরও অনেক ক্রাউলার থাকার কারণে তারা একুরেট ইনফরমেশন দিয়ে থাকে। 

৪. ফিল্টার করার অপশন: আপনি প্রিমিয়াম প্যাক ব্যবহার করে খুব সহজেই বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে আপনার উপযুক্ত কিওয়ার্ড বের করতে পারবেন। এখানে প্রায় সমস্ত প্রকার ফিল্টার পেয়ে যাবেন যা আপনার কাজকে খুবই সহজ করে তুলবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে।

৪. ফিচার: অন্যান্য কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস গুলোর তুলনায় এদের অনেকগুলো ফিচারস রয়েছে। এগুলো ফ্রি ভার্সনে না থাকলেও প্রিমিয়াম ভার্সনে সহজেই ব্যবহারযোগ্য। Ahrefs কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলকে এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যেন আপনি সমস্ত বিষয়গুলো খুব সহজেই বুঝতে পারেন।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ফিচার রয়েছে আপনি তাদের ওয়েবসাইটে গেলেই দেখতে পারবেন।

সর্বোপরি Ahrefs কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলটি সবথেকে পাওয়ারফুল কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল গুলোর অন্যতম। এই টুলস ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনার রিলেটেড কিওয়ার্ড এবং কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি থেকে শুরু করে ভলিউম দেখতে পারবেন। এই ফ্রি ভার্সনে অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা রয়েছে কিন্তু তবুও আপনি ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন যদি বিগিনার হয়ে থাকেন। কিন্তু যদি আপনি আরো ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে তাদের প্রিমিয়াম প্ল্যান গুলো দেখতে পারেন।

৩. SemRush keyword magic tool

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

SemRush keyword magic tool হলো একটি পপুলার এবং বহুল ব্যবহৃত কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য রিলেটেড কিওয়ার্ড গুলো খুজতে সাহায্য করে। SemRush আপনাকে  কিওয়ার্ড এর পপুলারিটি, কম্পিটিশন, ট্রেন্ড, রিলেটেড কিওয়ার্ড বের করতে সাহায্য করতে পারে। SemRush কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলের ও প্রিমিয়াম এবং ফ্রি ভার্সন রয়েছে। আপনি চাইলে তাদের প্রিমিয়াম কিংবা ফ্রি উভয় ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। 

যদি আপনি বিগিনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফ্রি ভার্সনে একদিন এই সর্বোচ্চ ১০ টি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন এর অধিক পারবেন না। অপরদিকে আপনি যদি প্রফেশনালি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে চান তাহলে আপনি প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনি ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করে সার্চ ভলিউম, ডিফিকাল্টি, ইন্টেন্ট, সিপিসি সহ আপনার কম্পিটিটারদের কেউ এনালাইজ করতে পারবেন কিন্তু খুব সংক্ষেপ পরিমানে। এখানে আপনাকে শুধুমাত্র কয়েকটি রিলেটেড কিওয়ার্ড এবং ইনফরমেশন দেখাবে। কিন্তু যদি আপনি তাদের প্রিমিয়াম প্ল্যান গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনাকে সমস্ত ইনফরমেশন গুলো একুরেট এবং ভালোভাবে দেখাবে। সত্যি বলতে এদের আরো অনেক অন্যান্য ফিচার রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। 

SemRush এর অন্যান্য টুলগুলো ব্যবহার করে আপনি এসইওর জন্য যে কোন কাজ করতে পারেন। এছাড়াও তাদের রাইটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট টুলস রয়েছে যা আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমানে বিভিন্ন গ্রুপ এসইও ওয়েবসাইট থেকে এদের প্রিমিয়াম ভার্সন নিতে পারেন সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ব্যয় করে। আমি নিজেই পার্সোনালি SemRush ব্যবহার করে থাকি।

৪. ‌‌Moz Keyword Explorer

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

Moz Keyword Explorer হল একটি সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং রিলেটেড টুল যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং ইফেক্টিভ কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য সহায়তা করে। আমরা বেশিরভাগ সময় হয়তো এই টুলস টাকে শুধুমাত্র এনালাইজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।  কিন্তু কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য এটি একটি সেরা টুল। এই টুল ব্যবহার করে আপনি যেকোনো কিওয়ার্ডের ভলিউম কম্পিটিশন  ডিফিকাল্টটি, সিপিসি এবং অন্যান্য তথ্যগুলো অনুসন্ধান করতে পারবেন। Moz Keyword Explorer ব্যবহার করার জন্য, আপনাকে প্রথমে একটি সার্চ টার্ম লিখতে হবে অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে রিসার্চ করতে চাচ্ছেন। তারপর, টুলটি আপনাকে সেই সার্চ টার্মের জন্য রিলেটেড কিওয়ার্ড গুলোর একটি লিস্ট প্রদান করবে। যার মধ্যে রিলেটেড কিওয়ার্ড, প্রশ্ন , সার্চ ডিফিকাল্টি, সার্চ ভলিউম, সিপিসি এবং আরো অন্যান্য অনেক বিষয় দেখতে পারবেন। 

অন্যান্য কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলগুলোর মত এই টুলেরও ফ্রি এবং প্রিমিয়াম ভার্সন রয়েছে। ফ্রি ভার্সনে অত্যন্ত কম পরিমানে আপনাকে ফিচার প্রদান করবে। ফ্রি ভার্সনে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় শুধুমাত্র আপনাকে দশটি কিওয়ার্ড পর্যন্ত দেখাবে। এছাড়াও তুলনামূলক কম এনালাইস করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি তাদের প্রিমিয়াম ভার্সন গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে অসাধারণ সব বিচার প্রদান করবে। এছাড়া এই টুলের সব থেকে ভালো একটি বিষয় হলো আপনি এদের একটি ফ্রি এক্সটেনশন রয়েছে যেটা ব্যবহার করে আপনার কম্পিটিটারদেরকে এনালাইস করতে পারবেন।

৫. Ubersuggest 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

Ubersuggest আরেকটি জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত হাই কোয়ালিটি সমৃদ্ধ কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল। শুধুমাত্র কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল বললে ভুল হবে এর পাশাপাশি Ubersuggest এর রয়েছে ট্রাফিক এনালাইস, কম্পিটিটার অ্যানালাইস, এসইও এনালাইসসহ আরো অনেক ধরনের ফিচার। এটি এসইও এবং ব্লগারদের জন্য খুবই সহায়ক একটি টুল। Ubersuggest টুলসটি তৈরি করেছে বিখ্যাত এসইও এক্সপার্ট নীল প্যাটেল। এই টুলটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। জাস্ট আপনার ওয়েবসাইটের url কিংবা আপনার কিওয়ার্ড লিখে এনালাইজ বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে সমস্ত তথ্য প্রদান করে দিবে। 

Ubersuggest ব্যবহার করে আপনি রিলেটেড কিওয়ার্ড, ডিফিকাল্টি, ভলিউম, সিপিসি, ইন্টেন্ট, ব্যাকলিঙ্ক, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার সহ সম্পূর্ণ তথ্য দেখতে পারবেন। যা অন্যান্য কোন কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলে কখনোই পাবেন না। এছাড়াও আপনি Ubersuggest থেকে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও চেক করে নিতে পারেন। আপনি যদি বিগিনার হয়ে থাকেন কিংবা এক্সপার্ট কিন্তু টুলস ক্রয় করার ক্ষমতা নেই তাহলে এই টুলটি আপনি অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। যথেষ্ট পরিমাণে একুরেট তথ্য প্রদান করে থাকে এই টুলসটি।

আপনি কোন প্রকার একাউন্ট না করে দিনে একটি করে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন, আর যদি আপনি এর থেকে বেশি করতে চান তাহলে আপনাকে তাদের ফ্রি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যেটা ব্যবহার করে আপনি দিনে সর্বোচ্চ তিনটি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। ফ্রি কীওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় আপনাকে অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা প্রদান করবে তারা। যদি আপনি আরো ভালো ফিচার এবং ভালো তথ্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের প্রিমিয়াম প্যাকেজ গ্রহণ করতে হবে। 

Ubersuggest আপনাকে ফ্রি ট্রায়াল করারও সুযোগ দিবে যদি আপনি তাদের প্রিমিয়াম প্যাকেজ গ্রহণ করতে চান। এই টুলস এর সব থেকে ভালো এবং কার্যকরী একটি সুবিধা হল এদের ফ্রি ওয়েব এক্সটেনশন। যা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই যেকোনো পেজ অ্যানালাইস করতে পারবেন। আমার রিকমেন্ডেশন থাকবে যারা আপনারা নতুন রয়েছেন তারা অবশ্যই টুলসটা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও এই টুলস এর একটি লাইফটাইম প্যাকেজ রয়েছে যেটা আপনি ক্রয় করলে সারা জীবন ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।

৬. Answer the Public

Answer the Public হল একটি অনলাইন রিসার্চ টুল যা আপনাকে গুগল সার্চের মাধ্যমে মানুষের সর্বাধিক জিজ্ঞেস প্রশ্নগুলোকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। প্রথমদিকে এটি সম্পূর্ণ ফ্রি থাকলেও পরবর্তীতে তা নীল পাটেল ক্রয় করে। বর্তমানে এ আপনি চাইলে আনসার টা পাবলিক খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু আপনি দিনে কোন একাউন্ট ছাড়া একটিমাত্র রিসার্চ করতে পারবেন। আর ফ্রিতে একাউন্ট তৈরি করলে সর্বোচ্চ তিনটি রিসার্চ করতে পারবেন। এর থেকে যদি আপনি ভালো পরিমাণে রিসার্চ করতে চান এবং আরো ভালো রেজাল্ট পেতে চান তাহলে তাদের প্রিমিয়াম প্যাকেজ গ্রহণ করতে হবে। 

কিন্তু পূর্বে এই ধরনের কোন প্যাকেজ ছিল না এটি ছিল সম্পূর্ণ নীল পাটেল ক্রয় করার পর এটাকে সম্পূর্ণ Ubersuggest এর মতো লুক দিয়েছে। মূলত Answer the Public প্রশ্নবোধক কিওয়ার্ড করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই টুলটি আপনাকে আপনার যে কোন বিষয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন খুঁজে পেতে এবং আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ পোষ্টের জন্য কনটেন্ট তৈরিতে সাহায্য করতে পারে। Answer the Public ব্যবহার করার জন্য আপনাকে শুধুমাত্র যেকোনো একটি বিষয়ের কিওয়ার্ড লিখতে হবে তারপর আপনি কোন দেশকে টার্গেট করে আপনি রিসার্চ করতে পারেন। 

কিন্তু এই টুলসটির একটি অনেক বড় অসুবিধা হচ্ছে আপনি বাংলা ভাষায় কোন প্রকার রিসার্চ  করতে পারবেন না। এটা শুধুমাত্র ইংরেজি সহ কয়েকটি ভাষার জন্য প্রযোজ্য। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় আর্টিকেল লেখেন তাহলে অবশ্যই এই টুলটি ব্যবহার করে আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে পারেন।

৭. Google Trends

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

আপনি যদি ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনি অনায়াসে Google Trends ব্যবহার করতে পারবেন।  Google Trends হল গুগলের  একটি সম্পূর্ণ ফ্রি রিসার্চ টুল যা আপনাকে কোন কিওয়ার্ড গুলো ট্রেন্ডিং এবং বেশি সার্চ করা হচ্ছে সেটা দেখাতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে খুব সহজে Google Trends ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য পপুলার কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। 

ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো নিয়ে আর্টিকেল লিখলে দ্রুত ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং ডিসকভার এর মতন অপশন চালু হয়।  তাছাড়া আপনার আর্টিকেলগুলো শো করার যেটা ট্রাফিক এবং অথরিটি বৃদ্ধি করার জন্য অনেক কার্যকর। এই টুলটি সম্পূর্ণ বিনামূল্য অর্থাৎ এর জন্য আপনাকে কোন প্রকার খরচ করতে হবে না। 

Google Trends ব্যবহার করা খুবই সহজ। আপনি যে টপিক কিংবা কিওয়ার্ড এর  জন্য ট্রেন্ড করে দেখতে চাচ্ছেন জাস্ট সেগুলো টাইপ করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার কান্ট্রি, সময় এবং অন্যান্য কয়েকটি বিষয় সেট করে সার্চ বাটনে ক্লিক করতে হবে। সার্চ করার সাথে সাথে আপনাকে সমস্ত তথ্য প্রদান করে দিবে। এমনকি একটি দেশের কোন অঞ্চলগুলো থেকে বেশি সার্চ হচ্ছে সেই বিষয়টাও আপনাকে ক্লিয়ার করে দিবে অর্থাৎ আপনি এখান থেকে সমস্ত বিষয় দেখে নিতে পারবেন। 

এছাড়াও এখান থেকে আপনাকে গ্রাফের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়গুলো ক্লিয়ার করে দিবে। এখানে আপনি সময়ের ব্যবধান, কান্ট্রি কিংবা ভাষার ফিল্টার করতে পারবেন। সত্যি বলতে এই টুলসটি খুলে কার্যকরী এবং একটি নতুন ব্লগকে রেংক করানোর জন্য খুব ভালোভাবে কাজ করে। 

৮. অটো সাজেস্ট বা জেনারেটেড 

আমরা যখন গুগলে কোন একটি বিষয় সার্চ করতে যাই কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে সার্চ পড়তে যাই তখন আমরা একটি ওয়ার্ড লেখার সাথে সাথে আরো অনেকগুলো সাজেস্ট কিওয়ার্ড সাজেশন হিসেবে দেখতে পাই। আমি যদি “এসইও” লেখা শুরু করি তাহলে আমাকে অনেকগুলো সাজেশন দেখাবে যেমন “এসইও কি”, “এসইও শিখতে কতদিন লাগে”, “এসইও কিভাবে  করতে হয়”। মূলত এই সাজেশন গুলোকেই বলা হয় অটো জেনারেটেড। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

মূলত এই ধরনের সার্চগুলো গুগলে বেশি করা হয়। এজন্য গুগোল আপনাকে সাজেশন দেয় যে আপনি এই ধরনের সার্চ করতে পারেন। অর্থাৎ গুগল আমাদেরকে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের কোন টপিকগুলো বেশি চলতেছে সেটা আমাদেরকে শো করায়। এই ধরনের কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করা খুবই ভালো কারণ এই ধরনের কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং দ্রুত রেঙ্ক করা যায়। 

সুতরাং কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনি এই অটো জেনারেটেড কিওয়ার্ড গুলো অবশ্যই ব্যবহার করবেন।  আপনি বিগিনার কিংবা এক্সপার্ট যাই হোক না কেন এতে কোন সমস্যা নেই। আপনি google কিংবা বিং ছাড়াও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে এই ধরনের অটো জেনারেটেড কিওয়ার্ডগুলো কালেক্ট করে রাখতে পারেন। যেন পরবর্তীতে আর্টিকেল লেখার সময় আপনি সমস্ত বিষয়ে একত্র করে আর্টিকেল লিখতে পারেন। 

এই ধরনের রিসার্চ টুল ছাড়াও আরো অনেক ধরনের কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যম বা টুল রয়েছে যেগুলো আপনি ইউটিলাইজ করতে পারেন। যেমন:

  • KWFinder
  • SpyFu
  • Keyworddit
  • Keyword Surfer
  • Keyword Everywhere 
  • Serpstat
  • BuzzSumo
  • WebCEO

কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার পূর্বে আপনি উপরের যে কোন একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল করুন সিলেক্ট করে নিবেন। সবগুলো টুল একবার করেছিল ব্যবহার করে আপনি চেক করে নিতে পারেন যে, আপনার জন্য সঠিক কোনটি এবং কোনটা আপনাকে বেশি ভালো লাগতেছে। আপনি যেই কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল কে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করতেছেন সেই টুলস সিলেক্ট করে নেয়ার পর আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। সবগুলো টুল দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়। কিন্তু আমি এই মুহূর্তে Ahrefs দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার একটি সংক্ষেপে গাইডলাইন দিব। 

প্রকৃতপক্ষে আমি এই টুলটাকে পার্সোনালি ফ্রি তে ব্যবহারের জন্য সেরা মনে করি। কারণ Ahrefs এর information গুলো সব থেকে একুরেট এবং সহজে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও আপনি রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলোর সাথে সাথে প্রশ্ন পেয়ে যাবেন। সুতরাং চলুন জেনে নেই Ahrefs ব্যবহার করে কিভাবে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন। 

১. প্রথমে আপনাকে Ahrefs এর ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এর পেজে চলে আসতে হবে। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

২. পেজ লোড নেওয়ার পর সেখানে একটি ফাঁকা বক্স দেখতে পারবেন এবং দেশ সিলেক্ট করার অপশন পাবেন। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

৩. উক্ত বক্সে আপনার পছন্দমত কিওয়ার্ড প্রদান করুন (সিঙ্গেল কিওয়ার্ড কিংবা আপনার পছন্দমত কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন)। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

৪. কিওয়ার্ড প্রদান করার পর সেখান থেকে আপনি কোন দেশকে উদ্দেশ্য করে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই দেশ সিলেক্ট করেন।

৫. দেশ নির্বাচন করার পর নিচে Find keywords বাটনে প্রেস করুন। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

৬. তারপর আপনাকে একটি ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। 

৭. ক্যাপচা পূরণ হয়ে গেলে অটোমেটিক্যালি একটি পপ আপের মাধ্যমে আপনাকে সেরা ১০০ টি কিওয়ার্ড ও প্রশ্ন শো করাবে। 

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

৮. এবার এখান থেকে আপনি পছন্দমত কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি শুরু করে দিতে পারেন।

ঠিক একই ভাবে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন Ahrefs টুল ব্যবহার করে। এছাড়া অন্যান্য টুলসগুলো ব্যবহার করাও ঠিক একই রকম প্রক্রিয়া। আপনি SemRush, Moz, Ubersuggest কিংবা Google keyword planner টুল ব্যবহার করেও সেম একই পদ্ধতি ফলো করে কিওয়ার্ডের রিসার্চ করতে পারবেন। শুধুমাত্র হয়তো কখনো কখনো একটু কম বেশি হতে পারে কিন্তু প্রক্রিয়া একই রকম। সুতরাং বুঝতে পারতেছেন যে কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়।

বাংলা আর্টিকেলের জন্য কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করব

আপনি উপরের পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই বাংলা আর্টিকেলের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। উপরে উল্লেখিত টুলস গুলোর মধ্যে প্রায় বেশিরভাগই বাংলা ভাষায় রিসার্চ করতে সহযোগিতা করে। আপনি বাংলা ভাষার জন্য Ahrefs, SemRush বা Ubersuggest টুলস ব্যবহার করতে পারেন। 

এই টুলস গুলো বাংলা আর্টিকেলের জন্য খুব ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে দিতে পারবে। উপরের সেকশনে যে পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা কীওয়ার্ড রিসার্চ করার স্টেপগুলো দিয়েছিলাম সেম একই স্টে ফলো করে বাংলা আর্টিকেলের জন্য কিওয়ার্ডের রিসার্চ করতে পারবেন। 

শুধুমাত্র ফাঁকা বক্সগুলোতে বাংলায় আপনার কিওয়ার্ড লিখবেন এবং কান্ট্রি সিলেক্ট করতে কখনোই ভুলবেন না। আমার মনে হয় বাংলা ভাষা এবং ইংরেজি ভাষার মধ্যে আলাদা কোন পার্থক্য নেই যে এর জন্য আলাদা কোন গাইডলাইন লাগবে। হয়তো ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

আপনি যখন কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে যাবেন তখন অবশ্যই কিওয়ার্ড  রিসার্চ করার পূর্বে আপনাকে অনেকগুলো বিষয় ক্লিয়ার করতে হবে। কারণ আপনি যখন কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তখন কোন বিষয়গুলোকে লক্ষ্য রাখতে হয়। আর সেটা যদি না জানেন তাহলে আপনি সঠিকভাবে কখনো একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন না। তাহলে শুনুন জেনে নেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় যে বিষয়গুলো বেশি মনোযোগ রাখা উচিত।

১. কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি: 

একটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করার পূর্বে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণীয় বিষয় হলো কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি। একটা কিওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি যত বেশি হয় সেই কিওয়ার্ড রেঙ্ক করাও তত কঠিন হয়। ধরে নেন একটি কিওয়ার্ড এর ডিফিকাল্টি ৫০ তাহলে মনে করবেন সেই কিওয়ার্ডকে রেঙ্ক করানো তুলনামূলক অনেক কঠিন। অপরদিকে যদি একটি কিওয়ার্ড এর ডিফিকাল্টি ১০ হয় তাহলে আপনি অনায়াসে সেই কিওয়ার্ডকে রেঙ্ক করাতে পারবেন। কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি কে মূলত চার ভাগে ভাগ করা হয়। নিচের ছকটি দেখে নিতে পারেন।

নামডিফিকাল্টি
লো কম্পিটিটিভ০-১৫
নিম্ন-মধ্যম কম্পিটিটিভ১৫-৩০
উচ্চ-মধ্যম কম্পিটিটিভ৩০-৫৫
হাই কম্পিটিটিভ৫৫-১০০

২. সার্চ ভলিউম

একটি কিওয়ার্ড কে মানুষ মাসে কতবার সার্চ করতেছে সেই জিনিসটা কে মূলত সার্চ ভলিউম বলা হয়। সার্চ ভলিউম যত বেশি হবে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসার সম্ভাবনা তত বেশি হবে। যদি আপনি একান্তই লো কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে চান। যেখানে কোন কম্পিটিশন নেই তাহলে আপনি অল্প সার্চ ভলিউম যুক্ত কিওয়ার্ডগুলো নিয়েও কাজ করতে পারেন। যেই কিওয়ার্ডগুলোর সার্চ ভলিউম বেশি সেগুলোকে নিয়ে কাজ করার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনার ওয়েবসাইট নতুন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সার্চ ভলিউম কে মাথায় রেখে কিওয়ার্ড সিলেক্ট করার চেষ্টা করবেন।

৩. ইন্টেন্ট

আপনি যেই কীওয়ার্ড সিলেক্ট করেছেন সেই কিওয়ার্ডকে কোন উদ্দেশ্যে অডিয়েন্স রা সার্চ করতেছে সেটা জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মূলত ৪ ধরনের ইনটেন্ট এর ওপর কিওয়ার্ড সার্চ করা হয়।

1️⃣. ইনফরমেশনাল অর্থাৎ কেউ যখন কোন তথ্য জানার জন্য অনলাইনে কোন কিছু সার্চ করে।

2️⃣. কমার্শিয়াল অর্থাৎ যখন কোন ব্যক্তি কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে কিংবা সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে সার্চ করে সেটাই মূলত কমার্শিয়াল ইনটেন্ট।

3️⃣. ট্রানজেকশনাল অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যখন কোন কিছু ক্রয় করতে আসে তখন সেটাকে বলা হয় ট্রানজেকশনাল ইনটেন্ট।

4️⃣. নেভিগেশনাল অর্থাৎ যখন কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট কে সার্চ করা হয় তখন সেটাকে নেভিগেশনাল ইনটেন্ট বলে। (বিষয়গুলো অনেক কম্পিটিটিভ তবে ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে এ বিষয়ে আর্টিকেল দেওয়া হবে)

৪. সিপিসি:

সিপিসির সাথে মূলত অন পেজ এসইও এর কোন সম্পর্ক নেই।  কিন্তু আপনি যদি ডিসপ্লে এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই সিপিসি কে লক্ষ্য রেখে কিওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন। যেই ওয়ার্ডগুলোর সিপিসি যত বেশি সেই কিওয়ার্ড দ্বারা নির্মিত কন্টেন্টেরও ইনকামের সম্ভাবনা ততো বেশি। আপনার কিওয়ার্ড এর সিপিসি যত বেশি হবে ইনকামের দিক থেকে আপনি তত বেশি সুবিধা পাবেন।  

৫. কম্পিটিটার ব্যাক লিঙ্ক: 

আপনার কম্পিটিটারের কত পরিমাণে ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করার ফলে প্রথম পজিশনে এসেছে সেটা লক্ষ্য রাখবেন। এই ফিচারটি ফ্রিতে শুধুমাত্র উবারসাজেস্ট টুলে রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সকল কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলের প্রিমিয়াম ভার্সনে এই অপশনটি রয়েছে। সুতরাং যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কম্পিটিটারের কত পরিমাণে ব্যাকলিঙ্ক রয়েছে। তখন আপনি খুব সহজেই তার থেকে বেশি পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরি করে আপনার আর্টিকেলকে রেঙ্ক করাতে পারবেন।

৫. সোশ্যাল শেয়ার: 

এটি অবশ্যই competitor এর দুর্বলতা খুঁজে বের করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। যেই আর্টিকেল গুলোকে যত পরিমাণে বেশি শেয়ার করা হয় সেই আর্টিকেল গুলো তত বেশি রেঙ্ক করা সম্ভবনা থাকে। আপনার কম্পিটিটাররা কত পরিমানে সোশ্যাল শেয়ার করেছে সেটা লক্ষ্য রাখা অবশ্যই বাঞ্ছনীয়। এতে করে আপনি আপনার কম্পিটিটারের বেশি ইনফরমেশন গুলো খুব সহজেই বুঝে যেতে পারবেন এবং তার থেকে ভালো আর্টিকেল লিখে ভালো কিছু করতে পারবেন।

উক্ত কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে যখন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তখন অবশ্যই আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারবেন। 

প্রধান কীওয়ার্ড টি কত ওয়ার্ডের মধ্যে হওয়া যুক্তিযুক্ত?

একটি প্রধান কিওয়ার্ড একটি আর্টিকেলে কতবার ব্যবহার করা হবে সেটা নির্ভর করে আর্টিকেলের লেন্থ এবং কোয়ালিটির উপর। একটি আর্টিকেল লিখতে কতবার কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে তা নির্ভর করে আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য এর ওপর। কিন্তু কখনো কখনো এমন আর্টিকেল রয়েছে যেই আর্টিকেলের লেন্থ অনেক বেশি হলেও প্রধান কীওয়ার্ড ব্যবহার কম হতে পারে। আবার কখনো কখনো দেখা যায় ছোট ছোট আর্টিকেলে ও বহুবার প্রধান কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয় প্রয়োজন সাপেক্ষে। 

সহজ ভাবে বলতে গেলে মূলত একটি আর্টিকেলে কতবার আপনার প্রধান কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন সেটা নির্ভর করবে আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য এবং কোয়ালিটি এর ওপর। তবুও অনেক এক্সপার্টরা দাবি করে থাকে যে একটি ১০০০ শব্দের আর্টিকেলে কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ বার ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু আমার পার্সোনাল অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারব যে আপনি চাইলে এর থেকে বেশিও করতে পারেন আবার কমও করতে পারেন। 

আমি আপনাদেরকে একটি ১০০০ শব্দের আর্টিকেলে প্রধান কিওয়ার্ড কে সর্বোচ্চ  ৮ থেকে ১০ বার ব্যবহার করার উপদেশ দিব , কেননা আমি অনেককে কেস স্টাডি করার পর এই সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য মনে করি।  কিন্তু আপনার আর্টিকেলের কোয়ালিটির ওপর ডিপেন্ড করে এবং দৈর্ঘ্যের উপর ডিপেন্ড করে এটা কম বেশি করতে পারবেন।

৬০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড কতবার লেখা যেতে পারে?

একটি ৬০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেলের মধ্যে প্রধান কিওয়ার্ড কতবার ব্যবহার করা উচিত? অনেকজন এই প্রশ্ন করে থাকে। Rank Math এর একটি আর্টিকেল অনুসারে একটি ৬০০ শব্দের আর্টিকেলে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ টি প্রধান কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত এর পাশাপাশি রিলেটেড কীওয়ার্ড ও ব্যবহার করা উচিত। যেহেতু Rank Math একটি এসইও করার জন্য সেরা একটি প্লাগিন সেহেতু আমি তাদের কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আপনারা একটি ৬০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেলের জন্য তিন থেকে চারবার প্রধান কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনার রিলেটেড কিওয়ার্ডগুলো যুক্ত করতে পারেন আর্টিকেলের মধ্যে।

কিওয়ার্ড রিসার্চের কী কী সুবিধা রয়েছে?

কিওয়ার্ড রিসার্চের অনেক সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • বেশি পরিমাণে অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ।
  • SERPs-এ আরও ভালভাবে র‍্যাঙ্ক করা জন্য সুযোগ।
  • বেশি পরিমাণে ভিজিটর পাওয়া জন্য।
  • বেশি পরিমাণে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে।
  • বেশি পরিমাণে কাস্টমার আকৃষ্ট করতে।

আর্টিকেলের সারসংক্ষেপ

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি?

কিওয়ার্ড রিসার্চ হল একটি প্রক্রিয়া যা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগের জন্য প্রধান কিওয়ার্ডগুলো অনুসন্ধান করতে পারবেন। যেই কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ পোষ্টের জন্য প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কে খুঁজে বের করতে পারবেন। এবং তাদের জন্য এমন কনটেন্ট ক্রিয়েট করে দিতে পারবেন যা তাদের আকৃষ্ট করবে। এছাড়াও কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে খুব সহজেই google সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ভালো পজিশনে যেতে পারবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

কিওয়ার্ড রিসার্চ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ এটি আপনাকে আপনার আর্টিকেল কে সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। যখন আপনি সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেল লিখবেন এবং সেটা গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ইনডেক্স করবে। তখন কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ফলে খুব সহজেই রেঙ্ক করতে পারবে। এছাড়াও ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাফিক বয়ে আনতে কিওয়ার্ড রিসার্চ খুব কার্যকর ভাবে কাজ করে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কীভাবে করতে হয়?

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের কে চিহ্নিত করতে হবে। আপনি কোন টাইপের লোকদের কাছে আপনার ওয়েবসাইটকে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদেরকে সিলেক্ট করতে হবে। আপনার অডিয়েন্সরা কোন ধরনের তথ্য খুজতেছে এই বিষয়টা কেও ক্লিয়ার করতে হবে। যখন এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণ ক্লিয়ার হয়ে যাবে তখন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ব্যবহার করে খুব সহজেই কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন।

সেরা ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস কোনটি?

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনি বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে:

Google কিওয়ার্ড প্লানার, Google Trends, Ubersuggest, Ahrefs, SEMrush, Moz. এছাড়াও আপনি আপনার কম্পিটিটার দের কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন তাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। আপনি তাদের ওয়েবসাইট গুলোতে দেখতে পারেন যে তারা কি ধরনের কিওয়ার্ড ব্যবহার করতেছে। এবং কোন কিওয়ার্ডগুলোর জন্য রেংক করতেছে। তারপর সেই কিওয়ার্ডগুলো আপনার আর্টিকেলে ব্যবহার করে আপনিও ভালোভাবে রেংক করতে পারবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চের সময় কোন বিষয় বিবেচনা করা উচিত?

কিওয়ার্ড রিসার্চের সময়, আপনি অবশ্যই নিচের দেয়া বিষয়গুলো বিবেচনা করতে ভুলবেন না: কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম, কিওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি বা কম্পিটিশন, কিওয়ার্ডের টার্গেটিং ইন্টেন্ট, কিওয়ার্ডের সিপিসি।

কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য কিছু টিপস

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় অবশ্যই নিচের টিপস গুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার কীওয়ার্ড রিসার্চ করা আরও দ্রুত এবং সহজ হয়ে যাবে।

  • আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কে চিহ্নিত করুন।
  • আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের আগ্রহের বিষয়গুলোকে খুঁজে বের করা।
  • আপনার কম্পিটিটার এর ওয়েবসাইট গুলো কে ব্যবহার করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন।
  • বিভিন্ন রিসার্চ করার টুলের সহযোগিতা নেওয়া ।
  • কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম, কম্পিটিশন, ডিফিকাল্ট এবং ইন্টেন্ট বিবেচনা করতে হবে।
  • লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করে কাজ করা।
  • রিলেটেড এবং পপুলার কিওয়ার্ডগুলো বেছে নেয়া।
  • প্রশ্নবোধক কিওয়ার্ডগুলোকেও লিস্টের মধ্যে রাখা
  • কন্টেন্টের সাথে প্রধান কীওয়ার্ড এর ডেনসিটি বজায় রাখা।

উপসংহার

একটি আর্টিকেলকে গুগলে ভালোভাবে রেঙ্ক করানোর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চের কোন বিকল্প নেই। কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে আপনি নানা ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। যার মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা, গুগলে আর্টিকেল এর রেঙ্ক বৃদ্ধি করা সহ আরো নানান সুবিধা। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিওয়ার্ড রিসার্চ কি, কিওয়ার্ড রিসার্চ এর প্রকারভেদ, কয়েকটি সেরা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস, কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয় এবং আরো অন্যান্য সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদেরকে একটি আল্টিমেট গাইড লাইন দেয়ার চেষ্টা করেছি। 

আমার জানা সমস্ত তথ্য আপনাদেরকে দেয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আরো কিছু তথ্য বাকি রয়েছে যেগুলো আমি পরবর্তীতে কোন আর্টিকেলে জানিয়ে দিব। আর্টিকেলটা থেকে কিছু শিখতে পেয়ে থাকেন তাহলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়াও আপনাদের যদি কোন প্রকার প্রশ্ন কিংবা কোন বিষয় সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টে অথবা আমাদের কন্ট্যাক্ট ফর্ম ব্যবহার করে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।  তো আজকের এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই। সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।


Leave a Reply