অনলাইনে নিজের কথাগুলোকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্লগিং খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু আপনি যখন ব্লগিং শুরু করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনাকে একটি ডোমেইন নেম আপনার জন্য সিলেক্ট করতে হবে।
আপনার ব্রান্ডকে সবার সামনে পরিচিত করানোর জন্য ডোমেইন নেম অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে রেঙ্ক করানোর ক্ষেত্রেও ডোমেইন নেম অনেক কার্যকর একটি ভূমিকা পালন করে। ব্লগিং করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ডোমেইন নেম সিলেক্ট করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু যারা নতুন ব্লগিং কিংবা নতুন ডোমেইন নাম ক্রয় করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য হয়তোবা সঠিক ডোমেইন নেম খুঁজে পাওয়া অনেক সমস্যার হতে পারে। কেননা একটি ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার জন্য অনেকগুলো বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়।
যেন আপনাদের এই বিষয়ে সমস্যা না হয়, এজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব “কিভাবে ব্লগের জন্য উপযুক্ত ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে হয়?” এই সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা এর পাশাপাশি আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যেমন; ডোমেইন নেম কি, ডোমেইন নেম কেন গুরুত্বপূর্ণ, ডোমেইন কেনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন, কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনার ডোমেইন নাম ক্রয় করবেন সহ আরো অনেক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হবে।
সুতরাং আপনিও যদি একটি প্রফেশনাল ডোমেইন নিতে চান যা আপনার ব্র্যান্ডকে প্রতিফলিত করবে এবং এসইও করতে সহযোগিতা করবে, তাহলে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন। আমি এই আর্টিকেলটাকে খুব সহজভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব, যেন আপনাদের সমস্ত বিষয় ক্লিয়ার হয়ে যায়।
তাহলে চলুন অতিরিক্ত কথা না বলে আমাদের মূল আর্টিকেল অর্থাৎ কিভাবে ব্লগের জন্য উপযুক্ত Domain Name নির্বাচন করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
ডোমেইন নেম কি?
ডোমেইন হল আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস। যা মূলত আপনার ইউজারদের কে আপনার ওয়েবসাইটে ঢোকার রাস্তা করে দেন। আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে, ডোমেইন নেম হলো আপনার ওয়েবসাইটের একটি ঠিকানা, যা ব্যবহার করে অডিয়েন্সরা আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। যা কিছুটা বাড়ির অ্যাড্রেস এর মতই, শুধুমাত্র পার্থক্য হল ডোমেইন নেম একবার কেউ কিনে ফেললে তা আর অন্য কেউ ক্রয় করতে পারবে না। যতদিন পর্যন্ত না সেই ডোমেইন নেম এক্সপায়ার হয়ে যায়।
চলুন একটি বাস্তবিক উদাহরণ দেয়া যাক;
ধরে নেন, আমার বাসা দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হলদিবাড়ি গ্রামে, এখন যদি কেউ আমার বাসা আসতে চান সেক্ষেত্রে আমার এই এড্রেস ব্যবহার করেই আসতে পারবে। কিন্তু আপনি যদি আমার এড্রেস না জানেন সে ক্ষেত্রে আমার কাছে কখনোই আসতে পারবেন না।
ঠিক একইভাবে ডোমেইন নেম এমন ঠিকানা যা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাবে। আর যদি সেই ডোমেইনের না থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা কখনোই সম্ভব হবে না। যেমন, আমাদের এই ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেস হল bhtts.com। সুতরাং এই এড্রেসটি হলো আমার ডোমেইন নেম।
আপনাদের মধ্যে যারা ব্লগার ব্যবহার করেন মূলত তাদের মেইন ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস হল example.blogspot.com। ঠিক একইভাবে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটেরই একটি নির্দিষ্ট ডোমেইন নেম থাকে। একটি ডোমেইন নেম শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি ক্রয় করতে পারবে এর অধিক ক্রয় করতে পারবেনা।
সঠিক ডোমেইন নেম সিলেক্ট করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সঠিক Domain নেম সিলেক্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্লগ কিংবা ব্যবসার জন্য। কেননা একটি ডোমেইন নাম শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইটের এড্রেস না, একটি ভবিষ্যৎ প্ল্যান। সঠিক ডোমেইন সিলেক্ট করা কেন গুরুত্বপূর্ণ এর কয়েকটি কারণ নিচে দেওয়া হল:
১. ব্রান্ড পরিচিতি:
একটি ডোমেইন নেম শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইটকেই লোকেট করে তা কিন্তু নয় এটি আপনার সম্পূর্ণ একটি ব্র্যান্ডের পরিচিতি প্রদান করে সবার কাছে। আপনি যদি একটি ভাল এবং স্বনামধন্য ব্লগ তৈরি করতে চান কিনা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে একটি নাম অনেক বড় ফ্যাক্টর করে।
আপনার প্রফেশনালিজাম আপনার ডোমেইনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। যদি আপনি একটি ভুলভাল ডোমেইন গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে আপনার পরিচিতি পর্বেই আটকে থাকতে হবে। যখন আপনি একটি ব্র্যান্ডেড ডোমেইন নেম গ্রহণ করবেন, তখন আপনার ব্রান্ডের নাম সবাই খুব তাড়াতাড়ি মুক্ত করতে পারবে এবং তা ব্যবহার করতে পারবে।
২. মনে রাখার ক্ষেত্রে:
DomainWheel এর একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী যে ডোমেইন গুলোর নাম ব্র্যান্ডেড এবং সুন্দর হয়, সেই ডোমেইনগুলো একটি সাধারণ ডোমেইন নামের তুলনায় মানুষের কাছে ৩৬% বেশি মনে থাকে । আপনি যখন একটি সুন্দর এবং ছোট ডোমেইন ব্যবহার করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটের নাম সবার কাছে মুখস্থ এবং ক্লিয়ার থাকবে। যার কারনে আপনার ভিজিটাররা বারবার আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে।
৩. সার্চ ইঞ্জিনে সুবিধা:
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন করতে চান সে ক্ষেত্রে ডোমেইন নেম অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। সার্চ ইঞ্জিনে আর্টিকেলকে রেঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বড় ভূমিকা পালন করে ডোমেইন নেম।
আপনার ডোমেইনে যদি আপনার নিস রিলেটেড কীওয়ার্ড কিংবা এই ধরনের প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে SEO এর ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি এফোর্ট রাখে। এছাড়াও এটি আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে অনেক সাহায্য করে।
৪. মার্কেটিং ও প্রমোশন:
একটি সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য ডোমেইন মার্কেটিং এবং প্রমোশনের ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করে। এটি শক্তিশালী ডোমেইন নেম আপনাকে খুব সহজেই সবার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেয়। নির্দিষ্ট একটি সেক্টরের প্রোডাক্ট মার্কেটিং বা প্রমোশনের ক্ষেত্রে ডোমেইন নেম অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। branding, social media এবং offline marketing এই ক্ষেত্রে অনেক বড় বড় ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে একটি সঠিক ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার জন্য। তবে একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখবেন, আপনার নাম যত ক্লিয়ার এবং সুন্দর হবে আপনার অনলাইন ভিজিবিলিটি তত উন্নত হবে।
ডোমেইন নেম ক্রয় করার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়
যখন আপনি একটি ডোমেইন নেম ক্রয় করতে যাবেন, তখন আপনাকে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রেখে ডোমেইন নেম সিলেক্ট করতে হবে। একটি ডোমেইন নেম ক্রয় করার পূর্বে অনেকগুলো বিষয় কনসিডার করতে হয়। একটি ডোমেইন নেম ক্রয় করার পূর্বে যে বিষয়গুলো কনসিডার করতে হয় তার মধ্যে কয়েকটি হলো।
১. ব্লগের নিস: আপনি একটি ব্লগ তৈরি করার পূর্বেই আপনার নিস রিসার্চ করে নিবেন। আপনি কোন নিসের উপর কাজ করতে চাচ্ছেন সেই রিলেটেড ডোমেইন নেম নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন। আপনি কোন বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন, কোন বিষয় সম্পর্কে আপনার নলেজ রয়েছে এবং কোন বিষয়ের উপর অন্যদেরকে সাহায্য করতে পারবেন, মূলত সেই রিলেটেড নিস নিয়ে কাজ করা উচিত। আর আপনি যদি মাইক্রোনিশ ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে চান সে ক্ষেত্রেও আপনার টার্গেটেট মাইক্রো নিস অনুযায়ী ডোমেইন নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন।
২. টার্গেট অডিয়েন্স: আপনি কাদের উদ্দেশ্যে আপনার লেখাগুলো ব্লগে লিখবেন, অর্থাৎ আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কারা এটা চিহ্নিত করে নিবেন আপনার ডোমেইন নেম কেনার পূর্বে। এতে করে টার্গেট অডিয়েন্সিয়ার কে আকৃষ্ট করা সহজ হয়ে যাবে।
৩. ব্লগের নাম: ডোমেইনের নাম নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তৃতীয় যে জিনিসটি বেশি প্রভাব ফেলে সেটি হল আপনি আপনার ব্লগের নাম কি দিতে চাচ্ছেন। আপনি প্রথমেই আপনার ব্লগারের নাম কি দিতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টা ক্লিয়ার করে নিবেন সে ক্ষেত্রে সঠিক ডোমেইন নির্বাচন করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
৪. বাজেট: কিছু কিছু প্রিমিয়াম ডোমেইন রয়েছে যেগুলো আপনি চাইলে বেশি দামে ক্রয় করতে পারবেন। তবে এই ধরনের ডোমেইনগুলোর জন্য অতিরিক্ত অনেকটা খরচ করতে হয়। এছাড়া অনেকগুলো ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে যেগুলোর প্রাইস বেশি। আবার অনেকগুলো এমন ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে যেগুলোর প্রাইস অনেক কম। সুতরাং সঠিক ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার পূর্বে অবশ্যই বাজেট অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অবশ্যই একটি ডোমেইন ক্রয় করার পূর্বে উপরের বিষয়গুলোকে একটু কনসিডার করে নিবেন। এতে করে আপনি সঠিক ডোমেইন ক্রয় করার একটি হালকা ধারণা পেয়ে যাবেন।
কিভাবে ব্লগের জন্য উপযুক্ত ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে হয়?
সঠিক domain name সিলেক্ট করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এটি ব্রান্ড ইমেজ তৈরি করতে, এসইও করতে এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সি করছে একটি ইম্পোর্টেন্ট ইম্প্যাক্ট প্রদান করে। এইজন্য একটি সঠিক ডোমেইন ক্রয় করার পূর্বে অনেকগুলো টিপস এবং গাইডলাইন ফলো করতে হয়। ডোমেইন নেম কেনার জন্য আপনি নিচের গাইডলাইনগুলো অবশ্যই মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
1. ছোট এবং সহজ শব্দের ডোমেইন সিলেক্ট করা
যখন আপনি একটি ডোমেইন ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই ডোমেইনটাকে ছোট এবং সহজ শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা সহজ এবং ছোট সাইজের ডোমেইনগুলোর নাম অডিয়েন্সরা খুব সহজেই মনে রাখতে পারে। এজন্য অবশ্যই ছোট এবং সহজ শব্দের ডোমেইন নেম সিলেট করার চেষ্টা করবেন।
এছাড়াও স্পেলিং মিসটেক, হাইফেন এবং স্পেশাল ক্যারেক্টার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা স্পেলিং মিসটেক থাকলে কিংবা কঠিন শব্দ, হাইফেন ব্যবহৃত ডোমেইন, অথবা স্পেশাল ক্যারেক্টার যুক্ত ডোমেইন গুলো সবাই মনে রাখতে পারে না যারা কারণে তাদের অনেক সময় সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এছাড়াও কখনো কখনো ভুল করে অন্য ওয়েবসাইটে যাওয়ার ও সম্ভাবনা থাকে যা ব্রান্ড ইমেজ কেউ নষ্ট করে।
২. আপনার ক্যাটাগরিকে রিফ্লেক্ট করবে
অবশ্যই আপনার ডোমেইন যেন আপনার বিজনেস কিংবা ব্লগের ক্যাটাগরিকে মেনটেনেন্স করে সেই লক্ষ্য রাখবেন। একটি বা একাধিক আপনার বিজনেস রিলেটেড শব্দ রাখার চেষ্টা করবেন যা আপনার টপিক বা নিসকে কভার করবে। এতে করে অডিয়েন্সরা আপনার ডোমেইন দেখলে বুঝতে পারবে যে আপনি কি বিষয় নিয়ে কাজ করেন।
৩. ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার
আপনি যখন ডোমেইন সিলেক্ট করতে যাবেন তখন আপনার ডোমেইন এর মধ্যে অবশ্যই আপনার প্রধান কিওয়ার্ড টি যুক্ত করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। অথবা আপনার ব্লগ অথবা বিজনেস রিলেটেড কোন কিওয়ার্ড দিবেন। যা আপনার নিস বা বিজনেস কে খুব সহজেই উপস্থাপন করতে পারবে। এছাড়াও এটি SEO করতে অনেক সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করবে।
৪. ট্রেডমার্ক ইস্যু থেকে বিরত থাকা
ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার পূর্বে অবশ্যই মনে রাখবেন যেন কোনো ট্রেডমার্ককৃত ইস্যুতে না পড়তে হয়। কেননা আপনি যদি কোন প্রকার ট্রেডমার্কৃত ডোমেইন ক্রয় করেন তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে আইনি সমস্যার মধ্যেও পড়তে হতে পারে। অবশ্যই যে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্র্যান্ডে রূপান্তর হয়েছে এবং তাদের যে ডোমেইনগুলো ট্রেডমার্ক করা রয়েছে সেই ডোমেইন এর অংশ কখনোই ব্যবহার করা যাবে না।
উদাহরণস্বরূপ: facebook.com একটি ব্রান্ড এবং ট্রেডমার্ক করা, এখন আপনি যদি facebookme.com ডোমেইন রেজিস্টার করেন, তাহলে সেটা ট্রেডমার্ক ডোমেইনের অংশ হিসেবে পরিগণিত হবে। এক্ষেত্রে তখন ফেসবুক যেকোনো সময় আপনার বিরুদ্ধে আইনি মামলা করতে পারে কিংবা আপনার ডোমেইন যে কোন সময় সাসপেন্ড হতে পারে।
এজন্য ডোমেইন কেনার পূর্বে অবশ্যই ট্রেডমার্ক রয়েছে কিনা সেটা চেক করে নিবেন। আপনি চাইলে ট্রেডমার্ক চেকার টুলগুলো থেকে ট্রেডমার্ক চেক করে নিতে পারবেন।
৫. ডোমেইনের এক্সটেনশন কনসিডার করা
একটি ডোমেইন নির্বাচন করার পূর্বে অবশ্যই ডোমেইনের এক্সটেনশন লক্ষ্য করে নিবেন। ডোমেইনের এক্সটেনশন বলতে মূলত বোঝানো হয় আপনার ডোমেইন এর পিছনের অংশকে। লাইক; facebook হলো কিওয়ার্ড আর .com হল এক্সটেনশন। ডোমেইন এক্সটেনশন গুলোর মধ্যে ডট কম এক্সটেনশনটি সব থেকে কমন এবং পপুলার। এছাড়াও এর পাশাপাশি আপনি .net, .org বা .xyz এক্সটেনশনযুক্ত ডোমেইন নিতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি কোন স্পিসিফিক ক্যাটাগরি এক্সটেনশন নিতে চান যেমন .tech, .blog, .design বা .ai তাহলে তাও নিতে পারেন। তবে ডটকম ডোমেইন দিয়ে শুরু করা বেস্ট হবে, কেন তা নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
৬. স্মৃতিচারণ করার উপযুক্ত
যখন আপনার ব্লগের জন্য কিংবা ব্যবসার জন্য ডোমেইন ক্রয় করতে যাবেন সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন আপনার ডোমেইনটি যেন অবশ্যই মেমোরাবল হয়। সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনার যেন এমন হয় যেন যে কেউ একবার আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকলে তার আপনার ওয়েবসাইটের কথা পরবর্তীতে মনে থাকতে পারে।
এছাড়াও তারা যেন যেকোনো সময় আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারে আপনার ডোমেইন ব্যবহার করে। এজন্য অবশ্যই স্মৃতিচারণযোগ্য ডোমেইন নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এমন সব নাম ব্যবহার করবেন না, যা পড়তে এবং মুখস্থ রাখতে অসুবিধা হয়, নাহলে ইউজাররা খুব সহজেই আপনার ডোমেইনের নাম ভুলে যাবে। যা আপনাকে একটি অডিয়েন্স এর উপর একটি খারাপ প্রভাব রাখতে পারে।
৭. ভবিষ্যৎ কে চিন্তা করে ডোমেইন কেনা
অবশ্যই আপনি যখন একটি ডোমেইন কিনতে যাবেন তখন ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাখবেন। যেন ভবিষ্যতেও আপনার এই ডোমেইন ব্যবহার করে সমস্ত কাজ করতে পারেন। কেননা আজকে আপনি শূন্য থেকে শুরু করলো ভবিষ্যতে হয়তো এমন কোন পর্যায়ে চলে যাবেন যখন আপনি আর সেই ডোমেইন নেম পরিবর্তন করতে পারবেন না।
সেক্ষেত্রে আপনার একটি অডিয়েন্সের ওপর ব্যাড এফেক্ট পরতে পারে। এছাড়াও আপনি যেন বিজনেস চালু করতে পারেন সেই ডোমেইন দিয়ে সেটা হলো রাখবেন। আর অবশ্যই এটা আপনার ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পর্কিত রাখার চেষ্টা করবেন এতে করে ভবিষ্যতেও আপনি লাভবান হবেন। আর কখনো যদি আপনি এই ডোমেইন দিয়ে কাজ করতে না চান সে ক্ষেত্রে খুব সহজ সেল করতে পারেন সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
৮. হাইফেন এবং নাম্বার ব্যাবহার এগিয়ে চলা
সব সময় চেষ্টা করবেন কনফিউজ করার মত ডোমেইন ক্রয় না করার। আপনি যখন হাইফেন বা নাম্বার যুক্ত ডোমেইন ক্রয় করবেন তখন তা অনেক জনের কাছে কনফিউসিং হয়ে যাবে। এছাড়াও মনে রাখার ক্ষেত্রে এটি অনেক বাধা সৃষ্টি করবে। সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার ইউজাররা যেন খুব সহজেই আপনার ডোমেইন মনে রাখতে পারে। এই জন্য এই ক্ষেত্রে নাম্বার এবং হাইফেন ব্যবহার না করাই উচিত।
৯. স্পেসিফিক লোকালাইজেশন
আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট একটি রিজিয়ন কে কেন্দ্র করে আপনার ব্লগ শুরু করতে চান, সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার ডোমেইন পেছনে সেই দেশের কান্ট্রি কোড ইউজ করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ আপনি যদি কানাডা দেশকে কেন্দ্র করে আপনার ব্লগ শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ডোমেইনের এক্সটেনশন বা নেমের সাথে তাদের দেশের কান্ট্রি কোড ব্যবহার করতে পারেন।
যেমন; business.ca বা business.uk বা এই রিলেটেড যতগুলো কান্ট্রি কোড ডোমেইন রয়েছে । এতে করে নির্দিষ্ট একটি স্থানের লোকেরা আপনার প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করবে। এছাড়াও এটি SEO করতে অনেক সাহায্য করবে। যদি একটি নির্দিষ্ট জায়গা কে কেন্দ্র করে আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্ক করাতে চান।
১০. সোশ্যাল মিডিয়া এভেলেবিলিটি
অবশ্যই ডোমেইন কেনার পূর্বে আপনি যেই নামে আপনার ব্লগ কিংবা ব্যবসা ক্রিয়েট করতে চাচ্ছেন। সেই নামের কোন একাউন্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছে কিনা সেটা লক্ষ্য করে দিবেন। অবশ্যই এটি চেক করে নেয়া উচিত যদি আপনি একটি বড় মানের ব্লগ কিংবা ব্যবসা শুরু করতে চান।
কেননা আমরা জানি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব এবং ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস তৈরি করা সম্ভব। এজন্য ডোমেইন ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই সেই নামে অন্য সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট রয়েছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন।
১১. অন্যদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিন
আপনি যেই সেক্টর নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন শেষ একটু বড় বড় অ্যাডভাইজারদের কাছ থেকে আপনি পরামর্শ নিতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনার বন্ধু বান্ধব বা ফ্যামিলির অন্যান্যজনদের কাছ থেকেও পরামর্শ নিতে পারেন।
তাদের দিয়ে আপনি আপনার ডোমেইনের স্মৃতিচারণ ক্ষমতা এবং তাদের কাছে কতটা ক্লিয়ার সেগুলো টেস্ট করে নিতে পারেন। এতে করে আপনি কিছুটা নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ডোমেইন সম্পর্কে।
১২. ট্রেন্ড এড়িয়ে চলুন
কোন ট্রেন্ড কে কেন্দ্র করে আপনার ডোমেইন নেম ক্রয় করার চেষ্টা করবেন না। কেননা আজকে সেই বিষয়টি ট্রেন্ড থাকলেও ভবিষ্যতে সেটি অনিশ্চিত হতে পারে। যার ফলে আপনাকে এই নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে।
এজন্য কখনো ট্রেন্ড দেখে ডোমেইন না কিনে আপনার ইন্ডাস্ট্রিকে কেন্দ্র করে ডোমেইন name কেনার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
১৩. এক্সপায়ার ডোমেইন ক্রয় থেকে বিরত থাকা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্সপায়ার ডোমেইন ক্রয় করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা এক্সপায়ার ডোমেইনে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্পাম স্কোর, google পেনাল্টি, টক্সিক লিংক থেকে শুরু করে আরও অনেক ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। তবে এক্সপায়ার ডোমেইন কেনা ভাল যদি আপনি এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন।
আপনারা যদি এক্সপায়ার ডোমেইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে কমেন্ট সেকশনে অবশ্যই জানাবেন তাহলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল দেয়া হবে।
ডোমেইন কেনার পূর্বে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত, কেননা ডোমেইন শুধুমাত্র একটি নাম নয়, এটি একটি ভবিষ্যতের অংশ। আপনার পরিচয় এবং আপনার ইচ্ছার নতুন দিগন্ত তৈরি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ। এজন্য অবশ্যই সময় দিয়ে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে ডোমেইন সিলেক্ট করার চিন্তা করবেন।
আর অবশ্যই মনে রাখবেন, Domain Name সঠিক বানানের রাখার, ছোট এবং আকর্ষণীয় ডোমেইন নাম নেয়ার, ফ্রী এক্সটেনশন ডোমেইন থেকে বিরত থাকার, keyword এর সাথে মিল রেখে Domain ক্রয় করার, Expired Domain রেজিস্ট্রেশন থেকে বিরত থাকার, ডোমেইনে হাইফেন ব্যবহার না করার এবং নাম্বার যুক্ত ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন না করার।
সঠিক ডোমেইন নেম খুঁজে পাওয়ার উপায়
আপনি যদি ডোমেইন নেম খুঁজে বের করতে চান সেক্ষেত্রে অনেক কষ্ট করতে হবে। বিশেষ করে আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল লেভেলে আপনার ডোমেইন খুঁজে বের করতে চান। তবে আপনি যদি কিছু টিপস ফলো করেন সে ক্ষেত্রে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার ফেভারিট ডোমেইন খুঁজে বের করতে পারবেন।
তো কিভাবে আপনার ব্যবসা কিংবা ব্লগের জন্য সঠিক ডোমেইন নেম খুঁজে বের করবেন, সে বিষয়ে নিচে স্টেপ বাই স্টেপ গাইড লাইন দেয়া হলো:
- প্রথমেই আপনি ডোমেইন নেম জেনারেটর ওয়েবসাইট গুলো থেকে আপনার টপিক অনুযায়ী ডোমেইন নেম জেনারেট করে নেয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার পছন্দমত কয়েকটি ডোমেইন নাম সিলেক্ট করে রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি ডোমেইন নেম জেনারেটর গুলো থেকে ভালো ফলাফল না পান। সেক্ষেত্রে আপনি চ্যাট জিপিটি কিংবা গুগল বার্ড এর সাহায্য নিতে পারেন। সেখান থেকে আপনি ইউনিক ডোমেইন এর সাজেশন পেতে পারেন।
- পরবর্তীতে আপনি ডোমেইন নেম জেনারেটর কিংবা চ্যাট জিপিটি কিংবা থেকে আপনার কয়েকটি পছন্দের ডোমেইন সিলেক্ট করে নিবেন।
- এরপর আপনার ডোমেইন রেজিস্টারে গিয়ে দেখবেন যে আপনার সেই নামটি বর্তমানে ক্রয় করার উপযুক্ত আছে কিনা।
- ডোমেইন যদি ক্রয় করার উপযুক্ত থাকে তাহলে পরবর্তীতে অন্যান্য বিষয়গুলো কনসিডার করবেন যা পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
- যদি আপনার পছন্দের ডোমেইন ফাঁকা থাকে এবং সব ক্ষেত্রে আপনার ডোমেইন ক্লিয়ার থাকে, তাহলে আপনি সাথে সাথে সেটি ক্রয় করে ব্যবহার করা শুরু করে দিতে পারেন।
ওপরের টেকনিক ফলো করে আপনি খুব সহজে ডোমেইন নেম জেনারেট করতে পারবেন এবং সেটাকে রেজিস্টার করে ব্যবহার শুরু করে দিতে পারবেন। আর এই টেকনিক গুলো ফলো করলে আপনি আপনার ব্যবসায় বা ব্লগের জন্য উপযুক্ত domain name খুব সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন।
ডোমেইন নেম ক্রয় করার বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট এর তালিকা
ডোমেইন নেম একটি বিশ্বস্ত স্থান থেকে ক্রয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি একবার আপনার ডোমেইন ক্রয় করলে পরবর্তীতে সেখান থেকেই আপনাকে সমস্ত কার্যক্রম চালাতে হবে। এছাড়াও এটি ভবিষ্যতের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। নিচে কিছু বিশ্বস্ত এবং পপুলার ডোমেইন রেজিস্টার এর নাম দেয়া হলো আপনারা চাইলে সেখান থেকে ক্রয় করতে পারেন।
- GoDaddy: GoDaddy হল বিশ্বের সবথেকে বড় এবং বৃহত্তম ডোমেইন রেজিস্টার। এখানে আপনি ডোমেইনের অনেক বড় একটি সমাহার দেখতে পারবেন এবং এদের বিভিন্ন প্রাইসিং অফার রয়েছে। যদি আপনি কোন বিশ্বস্ত স্থান থেকে আপনার ডোমেইন ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে Go Daddy সবার উপরে থাকবে।
- Namecheap: Namecheap হল অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় ডোমেইন রেজিস্টার, যেখান থেকে আপনি খুব অল্প দামের মধ্যেই আপনার প্রিয় ডোমেইন নেম ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও এটি বিশ্বের সবথেকে ট্রাস্টেড ডোমেইন প্রোভাইডার গুলোর অন্যতম। আপনি এখান থেকে চোখ বন্ধ করে ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন
- Namesilo: Namesilo বিশ্বের সবথেকে সাশ্রয়ী ডোমেইন রেজিস্টারগুলোর একটি। এখান থেকে আপনি খুব অল্প দামের মধ্যেই আপনার ডোমেইন করতে পারবেন কোন প্রকার সমস্যার ছাড়াই। আর এখানে আপনি চোখ বন্ধ করে আপনার ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন।
- Google Domains: Google Domains হল গুগলের নিজস্ব ডোমেইন রেজিস্টার। অবশ্যই আমরা গুগলকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারি। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য একটি ডোমেইন ক্রয় করার স্থান। আপনি চাইলে এখান থেকেও আপনার ডোমেইন ক্রয় করতে পারেন।
- Bluehost: Bluehost হল বিশ্বের সেরা ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারী গুলোর অন্যতম, এর পাশাপাশি তারা ডোমেইন রেজিস্টার এর সুবিধা দিয়ে থাকে। এখান থেকে আপনার পছন্দের ডোমেইন অল্প দামের মধ্যেই ক্রয় করতে পারবেন। আর এখানে আপনি ১০০% নিশ্চিত থাকতে পারেন।
এগুলো ছাড়া আরও অনেকগুলো সুনামধন্য এবং ট্রাস্টেড ডোমেইন রেজিস্টার রয়েছে যেখান থেকে আপনি সহজেই আপনার ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন।
বিকাশের মাধ্যমে ডোমেইন ক্রয় করার উপায়
যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ই কোন প্রকার মাস্টার কার্ড বা পেপাল নেই যার কারণে তারা ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে থেকে ডোমেইন ক্রয় করতে পারেনা। এক্ষেত্রে আমরা চাইলে বাংলাদেশী ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছ থেকে বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে ডোমেইন কিংবা হোস্টিং ক্রয় করতে পারবেন।
তবে সবগুলো ডোমেইন প্রোভাইডার এক রকম হয় না। যেহেতু আপনার এটি ভবিষ্যতের একটি অন্যতম পদক্ষেপ ট্রাস্টেড এবং নির্ভরযোগ্য স্থান থেকে ক্রয় করা উচিত। এক্ষেত্রে আমি নিচে কয়েকটি ট্রাস্টেড এবং নির্ভরযোগ্য ডোমেইন রেজিস্টার এর নাম বলব যেখান থেকে আপনারা চাইলে আপনার ডোমেইন ক্রয় করতে পারেন।
১. এক্সনহোস্ট
২. আইটি নাট হোস্টিং
৩. হোস্ট মাইট
৪. লিমডা হোস্ট
৫. সাইবার ডেভলপার হোস্ট
৬. হোস্টটিয়ার
৭. হোস্টএভার
৮. ওয়েব হোস্ট বিডি
৯. EBN হোস্ট
১০. Diana হোস্ট
উপরের সমস্ত ওয়েবসাইট গুলো ১০০% ট্রাস্টেড এবং সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্য, যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই বিকাশ ব্যবহার করে আপনার ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও যে কোন সমস্যায় আপনি সরাসরি বাংলা ভাষায় সহযোগিতা নিতে পারবেন।
কম দামে ডোমেইন নেম ক্রয় করার উপায়
আপনি যদি কম দামের মধ্যেই ডোমেইন ক্রয় করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু ট্রিক্স ফলো করতে পারেন:
1. প্রোমো কোড ব্যবহার: বড় বড় প্রোভাইডার গুলো বিশেষ সময় তাদের ডোমেইনগুলোতে প্রোমো কোড ব্যবহারের সুবিধা দেয়। যার ফলে খুব অল্প মূল্যের মাধ্যমে আপনার ডোমেইন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন প্রোমো কোড প্রোভাইডার ওয়েবসাইট ওয়েবসাইট গুলোর সাথে সবসময় সংযুক্ত থাকতে পারেন।
২. সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযুক্ত থাকা: আপনি যদি বাংলাদেশী ডোমেইন প্রোভাইডারগুলো কিংবা ইন্টারন্যাশনাল প্রোভাইডার গুলোর কাছ থেকে বিশেষ ছাড় পেতে চান সেক্ষেত্রে তাদের নিয়মিত ফেসবুক পেজ কিংবা গ্রুপগুলোতে একটিভ চেষ্টা করবেন। কেননা তারা অনেক সময় অনেক ধরনের ছাড় দিয়ে থাকে, আর যখন ছাড় দেয় আপনারা তখন সেই ছাড় গুলোকে কালেক্ট করে আপনার ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন।
৩. স্পেশাল ডে গুলোর অপেক্ষা করা: বাংলাদেশি ডোমেইন প্রোভাইডার গুলো বিশেষ দিনগুলোতে তাদের অনেক প্রকার ছাড় দেয়। বিশেষ করে ঈদের সময় এই ছাড়গুলো বেশি পাওয়া যায়। আপনারা সেই দিনগুলো ওয়াইট করতে পারেন কিংবা উপরের দুই উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনারা অল্প দামের মধ্যেই আপনার ফেভারিট ডোমেইনটি ক্রয় করতে পারবেন।
কোন এক্সটেনশন ব্যবহার করা উচিত হবে ব্লগ করার জন্য
নতুন একটি ডোমেইনের দুইটি অংশ থাকে:
১. কীওয়ার্ড বা নেম
২. এক্সটেনশন
এই মুহূর্তে বিশ্বের মধ্যে যে এক্সটেনশন গুলো বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো:
- .com: .com সবথেকে জনপ্রিয় এবং কমন ডোমেইন এক্সটেনশন। পুরো বিশ্বব্যাপী যেকোনো কাজের জন্য এই ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন এর উপরে এই ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত যে কোন প্রকার বিজনেস এবং ব্লগ করার জন্য আদর্শ এক্সটেনশন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
- .net: .net ডোমেইন এক্সটেনশন টি মূলত ব্যবহার করা হয় যে কোন প্রকার নেটওয়ারকিং রিলেটেড ওয়েবসাইটে। তবে যে কোন ধরনের সাইটেই ব্যবহার করা যায়। মূলত অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরনের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন এর অধিক বার এই ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
- .org: মূলত অর্গানাইজেশন এর ক্ষেত্রে এই ডোমেইন বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কেউ যদি ইন্ডিভিজুয়ালি বাব্যক্তিগতভাবে এই ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করতে চায় তবে কোন সমস্যা হবে না। এই পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিলিয়নের অধিক বার এই ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
- .edu: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা এডুকেশন রিলেটেড যে কোন ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এই ডোমেইন এক্সটেনশন অধিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পর্যন্ত এই ডোমেইন এক্সটেনশন টি প্রায় ১০ মিলিয়ন এর অধিক বার ব্যবহার করা হয়েছে।
- .xyz: এই ডোমেইন এক্সটেনশনটি অনেক পপুলার তবে খুব একটা ব্যবহার করা হয় না বর্তমানে। এই ডোমেইন এক্সটেনশনটি মূলত স্প্যামিং করার জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার কারণে অনেকটা সমস্যার মধ্যেই পড়তে হয় এই এক্সটেনশন ইউজারদের কাছে। তবে ইতি পর্যন্ত ৬০ মিলিয়নের অধিক বার এই ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
- .in: এই ডোমেইন এক্সটেনশনটা মূলত কান্ট্রি ডোমেইন এক্সটেনশন। এটি ভারতের কান্ট্রি কোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এই ডোমেইন এক্সটেনশন টি অনেক পপুলার। ইতিমধ্যে 100 মিলিয়নের অধিক বার ব্যবহার করা হয়েছে।
ডোমেইন এক্সটেনশন নির্বাচনের সময় বিবেচনা করার বিষয়গুলি:
১. ওয়েবসাইটের ধরন: আপনার ওয়েবসাইটের ধরন অনুসারে আপনি ডোমেইন এক্সটেনশন নির্ধারণ করতে পারেন। আপনার ব্যবসা কিংবা ব্লগের সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ একটি ডোমেইন এক্সটেনশন নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি একটি পার্সোনাল ব্লগ তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি .com বা .me এর মত ডোমেইন এক্সটেনশন গুলো বেছে নিতে পারেন।
২. টার্গেটেড অডিয়েন্স: আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্সকে কেন্দ্র করে আপনার এক্সটেনশন টি গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। অবশ্যই আপনার অডিয়েন্স যেন সেটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল ভাবে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি .com বা .net শুরু করতে পারেন।
৩. আপনার বাজেট: আপনার বাজেট অনুযায়ী অবশ্যই ডোমেইন এক্সটেনশন ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। আপনার সামর্থ্য যতটুকু সেই হিসেবে যদি আপনি ডোমেইন ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি অল্প মূল্য এর ডোমেইন এক্সটেনশন গুলো ক্রয় করতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ আপনি চাইলে, .info বা .xyz এক্সটেনশন গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৪. প্রাকটিস এর ক্ষেত্রে: আপনি যদি কোন ক্ষেত্রে প্র্যাকটিস করার জন্য এক্সটেনশন ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি খুবই অল্প মূল্যের এক্সটেনশন গুলো ক্রয় করতে পারেন। এতে করে আপনাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনি .pw বা .xyz দিয়ে আপনার প্র্যাকটিসিং শুরু করে দিতে পারেন।
ডোমেইন এক্সটেনশন সিলেক্ট করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কেননা আপনি যদি একটি ভুল এক্সটেনশন গ্রহণ করেন তাহলে আপনার ভবিষ্যতে এটি অনেক বড় একটি প্রভাব রাখতে পারে।
ধরে নিন আপনি আজকে এমন একটি এক্সটেনশন ব্যবহার করলেন যার কোন ভ্যালু নেই, কিন্তু আপনি যদি ভবিষ্যতে এমন কোন পর্যায়ে চলে যান যেখানে আপনার ব্যবসা করার একটি কিংবা ব্যবসা বৃদ্ধি করার একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনাকে সমস্যার মধ্যে সম্মুখীন হতে হবে।। এছাড়াও ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও ডোমেইন এক্সটেনশন অনেক ভালো একটি ভূমিকা পালন করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
কিভাবে একটি ব্লগের জন্য সঠিক ডোমেইন নির্বাচন করব?
একটি সঠিক ডোমেইন নেম নির্বাচন করার সময় অবশ্যই ডোমেইনের বানান সঠিক রাখবেন, ডোমেইনের আকার ছোট এবং আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করবেন, ভালো এবং প্রিমিয়াম ডোমেইন এক্সটেনশন ব্যবহার করবেন। এর পাশাপাশি আপনার ক্যাটাগরির সাথে যেন মিল থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন, ডোমেইনের সাথে কিওয়ার্ড যুক্ত করবেন, অবশ্যই নাম্বার এবং হাইফেন ব্যবহার না করা সহ অন্যান্য যে বিষয়গুলো আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করা।
ব্লগিং করার জন্য কি ডোমেইন প্রয়োজন হবে?
হ্যাঁ, ব্লগিং করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ডোমেইন প্রয়োজন হবে, সেটা হোক ফ্রি কিংবা প্রিমিয়াম।
ব্লগের নাম এবং ডোমেইনের নাম কি একই রাখা উচিত?
অবশ্যই, ব্লগের নাম এবং ডোমেইনের নাম একই রাখা উচিত। তবে আলাদা হলেও সমস্যা নেই। তবে ব্লগের নাম এবং ডোমেইনের নাম একই থাকলে অডিয়েন্সদের আপনার ওয়েবসাইট মনে রাখা সহজ হবে।
কয়েকটি ডোমেইন নেমের এক্সাম্পল কি কি?
কয়েকটি ডোমেইন নেমের এক্সাম্পল হল yourblogname.com, myaweaomeblog.net, baytravel.org, experthub.xyz ইত্যাদি।
আমি কি আমায় ডোমেইন নেম নির্বাচন করতে পারবো?
জী অবশ্যই, আপনি আপনার ডোমেইন নেম নিজেই নির্বাচন করতে পারবেন, আপনার পছন্দ অনুযায়ী। তবে এটা ছোট এবং আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করবেন। আর অবশ্যই আপনার বিজনেস এবং ব্লগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
ব্লগ করার জন্য কি .com ডোমেইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ?
.com এক্সটেনশন গুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় এবং ব্যবহার উপযোগী। তবে এটা বাধ্যতামূলক কিংবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। আপনি চাইলে যেকোনো এক্সটেনশন ব্যবহার করতে পারবেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী।
ডোমেইন নেম কি এসইও এর উপর প্রভাব রাখে?
জি অবশ্যই, প্রাসঙ্গিক এবং কীওয়ার্ডযুক্ত ডোমেইনগুলো পজিটিভ SEO র্যাংকিং এ অনেক বেশি প্রভাব রাখে।
উপসংহার
মূলত একটি ব্লগ কিংবা ব্যবসার জন্য সঠিক ডোমেইন নেম নির্বাচন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কেননা এতে সেই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতের সাথে গভীরভাবে সম্পর্ক থাকে। এক্ষেত্রে অনেক জনের মাথায় প্রশ্ন এসেছে করার পূর্বে কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত।
কিভাবে ব্লগের ডোমেইন নেম কিভাবে সিলেক্ট করতে হয় এই আর্টিকেলে আমি বিস্তারিত আকারে জানানোর চেষ্টা করেছি। আজকের এই আর্টিকেলটা কেমন লাগলো এবং ভবিষ্যতে কি বিষয় জানতে চান সে বিষয়ে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন।
তো আজকের এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই সবাইকে আসসালামু আলাইকুম।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.