আপনি কি নতুন নতুন ভাবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চাচ্ছেন? আপনি যদি নতুন ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান অথবা আপনি ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় সম্পূর্ণ নতুন সে ক্ষেত্রে সঠিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করার একটু কঠিন হতে পারে।
যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাদের একটি কমন প্রশ্ন হল নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি? হয়তোবা আপনার মনে কখনো না কখনো এই প্রশ্ন জেগেছিল অথবা এখনো এই প্রশ্নের উত্তর খুজতেছেন। মূলত একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস খুঁজে তুলনামূলক কঠিন।
এইজন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটি ও এই সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আর্টিকেল শেষে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটি। তাহলে চলুন অতিরিক্ত কথা না বলে আজকের মূল আর্টিকেল শুরু করি।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সেরা মার্কেটপ্লেস খোঁজার জন্য কী কী বিষয়ে বিবেচনা করা উচিত?
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস খোঁজার সময় অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। যেহেতু নতুন ফ্রিল্যান্সাররা ভালোভাবে তাদের কাজ করার জন্য ভালো মানের মার্কেটপ্লেসগুলোতে ঢুকতে চায়। সেক্ষেত্রে অনেক জনের মধ্যে কনফিউশন থাকে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ঢোকা উচিত হবে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ঢোকার পূর্বে অবশ্যই অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা রাখতে হয়। তারপর পরবর্তীতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে যে কোন একটি মার্কেটপ্লেসকে বেঁচে নিয়ে কাজ শুরু করা দেয়া উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেই নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে সেরা মার্কেটপ্লেস খোঁজার সময় কোন বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
১. দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা: আপনি যেহেতু নতুন তবুও এক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা একটি মার্কেটপ্লেস খুঁজতে অনেক সাহায্য করবে। ধরে নেন আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার সে ক্ষেত্রে আপনি ফাইভার, upwork, ৯৯ডিজাইন, Behance এর মত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হন সেক্ষেত্রে আপনি Toptal, Upwork, Fiverr, PeoplePerHour এর মতো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
আর যদি আপনি SEO নিয়ে কাজ করেন তাহলে Fiverr, Toptal, Jooble, Freelancer, Upwork, Flexjobs, SimplyHired এর মত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যেহেতু নতুন সে ক্ষেত্রে নতুন এবং যেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে তুলনামূলক কম্পিটিশন কম সেগুলো থেকে আপনারা কাজ শুরু করে দেয়া উচিত।
২. পেমেন্ট সিস্টেম: আপনি যখন অনেক কষ্ট করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করবেন এবং ভবিষ্যতে যখন সেখান থেকে আপনি অর্ডার পাবেন। অর্ডার সঠিকভাবে কমপ্লিট করার পর আপনার টাকা পাওয়ার সময় চলে এসে। কিন্তু এক্ষেত্রে সব থেকে বড় সমস্যা হল বাংলাদেশে অনেক ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করে না।
এজন্য অবশ্যই মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করার সময় পেমেন্ট সিস্টেম এর ওপর নজর দেয়া হয়। যেই পেমেন্ট অপশনগুলো বাংলাদেশে বর্তমানে উপলব্ধ সেই ধরনের পেমেন্ট সেকশন রয়েছে কিনা সেই বিষয়টা ক্লিয়ার করে নিতে হবে প্রথমে। অবশ্যই এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে।
৩. কমিশন হার: আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে উইথড্র করতে যাবেন। সেক্ষেত্রে মার্কেটপ্লেস গুলো তাদের কমিশন হার এর ওপর ভিত্তি করে টাকা কাটে। ধরে নেন আপনি fiverr এ একটি 10 ডলার এর কাজ করলেন সে ক্ষেত্রে fiverr আপনার কাছ থেকে ২ ডলার কেটে নিবে। মূলত আপনি যত বেশি ইনকাম করবেন সেক্ষেত্রে তত বেশি পরিমাণে আপনার কাছ থেকে কমিশন রেট নেয়া হবে।
কিন্তু সব মার্কেটপ্লেসেই একই রকম কমিশন হার না। অবশ্যই যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে যাবেন তখন অবশ্যই তাদের কমিশন হার দেখে নিবেন। আমি নিচে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোর কমিশন রেট নিয়ে আলোচনা করব।
৪. সার্ভিস এবং সাপোর্ট: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে যখন কাজ করতে যাবেন তখন অবশ্যই সেই মার্কেটপ্লেস এর সার্ভিস এবং সাপোর্ট প্রদান করে কিনা সেটা ক্লিয়ার হয়ে নিবেন। কারণ আপনি যে নতুন এজন্য প্রথমদিকে কাজ করতে যাবেন তখন সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং পরবর্তীতে এই ধরনের সমস্যা যেকোনো সময় আসতে পারে। আর এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অবশ্যই সাপোর্টের প্রয়োজন হবে।
বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় এবং বিষয় জানার জন্য সাপোর্ট এবং সার্ভিসের বিশেষভাবে প্রয়োজন হয়। এজন্য একটি সঠিক মার্কেটপ্লেস নির্বাচন করার সময় সার্ভিস ও সাপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষনীয় বিষয়।
একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার মূলত ওপরে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করে একটি সঠিক ও সেরা মার্কেটপ্লেসের সন্ধান পেতে পারেন। উপরের এই চারটি বিষয় মূলত একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসকে খোঁজার জন্য সব থেকে বেশি কার্যকরী। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সব সময় অবশ্যই একটি ভাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস
নতুন ফ্রিল্যান্সারর চাইলে সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ শুরু করে দিতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে সব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সমান হয় না। এখন মূলত কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে বেশি কাজ পাওয়া সম্ভব এবং নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি এটা বিষয়টা সবাই বিস্তারিত ভাবে জানতে চায়। তাহলে চলুন জেনে নেই নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে:
১. আপওয়ার্ক:
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হল Upwork। Upwork হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্লায়েন্ট তাদের কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজছেন। Upwork এ বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে, যেমন- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, রাইটিং ইত্যাদি।
Upwork এ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সারকে কাজ পাওয়া তুলনামূলক সহজ। কারণ এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সাররা যোগ দিচ্ছেন। তাই ক্লায়েন্টদের কাছে আপনার প্রতিযোগিতা কম। এছাড়াও, Upwork এ একটি শক্তিশালী কমিউনিটি রয়েছে যা নতুন ফ্রিল্যান্সারদের সাহায্য করতে পারে।
Upwork এ কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনার প্রোফাইলে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের নমুনা উল্লেখ করতে হবে। এরপর আপনি বিভিন্ন জব পোস্টে আবেদন করতে পারেন।
এছাড়াও এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে তাদের রুলস এবং কন্ডিশন গুলো সঠিকভাবে মেনে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। এই মার্কেটপ্লেসে অবশ্যই যুক্ত হওয়ার পূর্বে কিভাবে প্রফেশনাল ভাবে একাউন্ট তৈরি করতে হয় সেই বিষয়ে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে নিতে পারেন।
এখানে আপনি একাউন্ট ভেরিফাই করে খুব সহজেই ক্লায়েন্টদের রিকোয়ারমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে কাজ করে দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তুলনামূলক অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর সাথে সব থেকে বেশি কাজ পাওয়া যায় upwork এরমধ্যে।
সুতরাং আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হন কিংবা এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার হোন না কেন সবাই এই মার্কেটপ্লেস এ কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
২. Fiverr:
যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাই তাদের কাছে Fiverr মার্কেটপ্লেসটি পূর্ব থেকেই অনেক পপুলার। বিশেষ করে যারা নতুন তাদের জন্য একটি খুবই কার্যকর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। কেননা এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে খুব সহজেই কাজ পাওয়া সম্ভব।
ফাইভারের সব থেকে ভালো এবং লক্ষণীয় একটি বৈশিষ্ট্য হলো তাদের Gig সিস্টেম রয়েছে। যার ফলে যে কেউ এখানে তাদের স্কিলের জন্য গিগ তৈরি করে রেখে দিতে পারে। এর ফলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার তাদের জন্য অনেক সুবিধা বয়ে আনে। ফাইভার একাউন্ট খোলা খুবই সহজ যা আপনি ইউটিউব ভিডিও দেখলে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন এবং গিগ গুলোকে অপটিমাইজ করতে পারবেন।
ফাইভারের সব থেকে বড় অসুবিধা হলো এই মার্কেটপ্লেসটি কোন কারণ ছাড়াই যেকোনো সময় একাউন্ট ব্যান করে দেয়। এর ফলে অনেকজন তাদের অ্যাকাউন্ট হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় এজন্য সব সময় ক্লায়েন্টদেরকে মার্কেটপ্লেস এর বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। তবে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার তারা এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো কিছু করতে পারবে। সঠিকভাবে কাজ করলে এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব।
৩. Freelancer.com:
ফ্রিল্যান্সার ডটকম আরেকটি উন্নতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নতুনদের ও এক্সপার্টদের জন্য। এটি আপওয়ার্ক এর মতই সেম একইভাবে কাজ করে। এই মার্কেটপ্লেস টা মূলত নতুনদের জন্য অনেক জনপ্রিয়। ফ্রিল্যান্সিং জগতের সমস্ত কাজ করতে পারবেন এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে।
ফ্রিল্যান্সার ডট কমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা তুলনামূলক খুবই সহজ যা আপনি ইউটিউব থেকে খুব সহজেই দেখে নিতে পারেন। তবে অন্যান্য fiverr ও আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে এই মার্কেটপ্লেসে একটু তুলনামূলক একটু কাজ কম। কিন্তু যারা নতুন তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সার ডটকম খুবই ভালো হবে বলে আমি আশাবাদী।
এছাড়াও এখানে সহজেই ক্লায়েন্টদেরকে খুঁজে বের করার জন্য অনেক ফিল্টার সিস্টেম রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসটিতে। সুতরাং আপনারা যারা নতুন ভাবে কাজ শুরু করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই এই মার্কেটপ্লেসটাকে ইউটিলাইজ করার চেষ্টা করবেন।
৪. PeoplePerHour:
পিপল পার আওয়ার অন্যতম একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যার মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ক্লায়েন্ট এর সাথে কাজ করা সম্ভব। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসটার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন। নতুনদের জন্য এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস টা অনেক কার্যকর এবং কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বর্তমানে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট অনেক ভালো এবং কাস্টমার সাপোর্টও অনেক ভালো। বর্তমানে 89 টি দেশে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ফ্রিল্যান্সিং কার্যকলাপ করেছে এই মার্কেটপ্লেসটি। বিশেষ করে যারা আপনারা যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে যাচ্ছেন তারা এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসটাকে বেছে নিতে পারেন।
এই মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ যা আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখলেই খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। এছাড়াও এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ তুলনামূলক রয়েছে যার ফলে আপনারা সহজে কাজ পেতে পারেন।
৫. Toptal:
টপটাল আর একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যার মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল রিমোট ওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে কার্যকলাপ করা সম্ভব। এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে নতুন রা খুব সহজে একাউন্ট তৈরি করে কাজ করতে পারবেন। মূলত এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসটা থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডিজাইনার, ফাইন্যান্স এক্সপার্ট, প্রোডাক্ট ম্যানেজার এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর মত সেক্টর গুলোতে বেশি কাজ পাওয়া যায়।
এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। মূলত এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে অনেক ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইন্ট পাওয়া সম্ভব। সাম্প্রতিক এক সার্ভের তথ্য হিসাবে সেরা ৫ টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি। সুতরাং আপনারা যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার করতে চান তারা অবশ্যই এই মার্কেটপ্লেসটাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
৬. 99designs:
এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস মূলত তৈরি করা হয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চান। তাহলে এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসটাকে অবশ্যই মাথায় রাখবেন। নতুন লোগো ডিজাইন, কাস্টম গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড যাবতীয় কাজ এখান থেকে করতে পারবেন।
মূলত এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনারা যারা নতুন তারা এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে Guru.com, FlexJobs Corporation, Behance, Simply Hired, Truelancer এর মত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো তো কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস নির্বাচনের প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ
একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস করার ক্ষেত্রে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ রয়েছে যা অবশ্যই নতুন ফ্রিল্যান্সারদের মেনে চলা উচিত। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো:
১. কম প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটপ্লেসগুলিতে কাজ শুরু করুন:
যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট শুরু করতে যাবেন তখন অবশ্যই মার্কেটপ্লেসের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিবেন। বর্তমানে এমন অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে খুব কম কম্পিটিশন রয়েছে। আবার অনেকগুলো এমন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে কম্পিটিশন অনেক বেশি।
অবশ্যই লো কম্পিটিটিভ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ শুরু করার চেষ্টা করবেন এতে করে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। আরেকটি বিষয় সবসময় মনে রাখবেন আপনি যদি প্রথমেই হাই কম্পিটিটিভ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কাজ শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অধিকাংশই কমে আসবে। যা আপনাকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিবে।
২. কম খরচে মার্কেটপ্লেসগুলি ব্যবহার করুন:
যেসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কম খরচের মধ্যে উইথড্র করা সম্ভব এবং তুলনামূলক কম অর্থ ব্যয় হয় এরকম ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার চেষ্টা করবেন। বর্তমানে অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে অনেক বেশি কমিশন রেট কাটে।
যা নতুন ফ্রিল্যান্সারদের অনেক সমস্যার মধ্যে ফেলে দেয়। এজন্য অবশ্যই যেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে তুলনামূলক কম খরচে টাকা লেনদেন করা যায় সেই ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবেন।
৩. অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে শিখুন:
আপনার পাড়া-প্রতিবেশী কিংবা অনলাইন কমিউনিটিতে যারা অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার গণ রয়েছে কিংবা নতুন কিন্তু ভাল কাজ পাচ্ছে তাদের কাছ থেকে সাজেশন নিন। তারা কোন মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো ফলাফল পেয়েছে সে সম্পর্কে একটি সার্বিক ধারণা নেয়ার চেষ্টা করুন। তারা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে খুব সহজে কাজ পাচ্ছে কিংবা ভালো রেসপন্স পাচ্ছে সেই বিষয়ে তাদের কাছ থেকে জ্ঞান নিন। তাদের কাছ থেকে সবকিছু শিখে নিয়ে আপনি কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
উপরের তিনটি ইনিশিয়াল পদক্ষেপ নেয়ার ফলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে কোন মার্কেটপ্লেসটি আপনার জন্য উপযুক্ত। এই বিষয়গুলো মূলত সব সময় লক্ষ রাখা উচিত যেহেতু আপনি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার। এসব বিষয়ে মাথায় রাখলে আপনি নিজে উত্তর পাবেন যে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল তৈরি করতে সহায়ক স্টেপ
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্লায়েন্টদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য অবশ্যই একাউন্ট অপটিমাইজ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে এটির দিকে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার প্রোফাইল কে সাজাতে পারেন তাহলে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কিভাবে আপনি মার্কেটপ্লেস একাউন্ট অপটিমাইজ করবেন সে বিষয়ে আমি পরবর্তীতে আর্টিকেল দেয়ার চেষ্টা করব। কিন্তু বর্তমানে আমরা আলোচনা করব কোন বিষয়গুলোর দিকে বেশি মনযোগ দেয়া উচিত।
তাহলে চলুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি ক্ষেত্রে কোন বিষয় গুলো দেখে বেশি মনোযোগ দেয়া উচিত।
১. আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা হাইলাইট করুন:
আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো তো কাজ করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনারা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা গুলোকে সবার সামনে ভালোভাবে হাইট লাইট করতে হবে। যেন ক্লায়েন্টরা বুঝতে পারে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ এবং কত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই বিষয়ে। অবশ্যই আকর্ষণীয় ভাবে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো বৃদ্ধি পাবে। আপনার সমস্ত স্কিল ও অভিজ্ঞতা সংযুক্ত করে দিবেন যেন ক্লাইন্ট আপনার দিকে বিষয় আগ্রহী হতে পারে।
২. একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল পিকচার ব্যবহার করুন:
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একাউন্ট তৈরি ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রফেশনাল ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। চেষ্টা করবেন সর্বোচ্চ প্রফেশনাল ভাবে ইমেজ আপলোড করার। নিজস্ব অঙ্গভঙ্গি এবং প্রফেশনালিজম ফুটিয়ে তুলতে পারেন আপনার ইমেজের মাধ্যমে। অবশ্য চেষ্টা করবেন যেন আপনার পিকচার দেখে মনে হয় আপনি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আপনি অভিজ্ঞ। ভালো ড্রেস পরে পিকচার তুলে সেটাকে আপলোড করার চেষ্টা করবেন। সেটা আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দিতে পারে।
৩. এনগেজিং এবং ইনফরমেটিভ ডিসক্রিপশন প্রদান করুন:
অবশ্যই ডিসক্রিপশন কিংবা একাউন্ট ইনফরমেশন দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কোন প্রকার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে। আপনি যেই মার্কেটপ্লেসি কাজ করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই আপনার শর্ট বায়ো প্রদান করতে হবে। সেখানে আপনার পরিচয়, এক্সপেরিয়েন্স, স্কিল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যুক্ত করে দিতে পারেন। আপনি কোন বিষয়টার উপর সব থেকে বেশি পারদর্শী সেইটাও উল্লেখ করে দিবেন যেন ক্লায়েন্ট আপনার দিকে বেশি আকৃষ্ট হতে পারে। অবশ্যই সেটাকে আকর্ষণীয় এবং ইনফরমেটিভ করার চেষ্টা করবেন যেন যে কেউ প্রায় উপরে আপনার স্কিল এবং এক্সপেরিয়েন্স বুঝতে পারে।
৪. নিয়মিত আপনার প্রোফাইল আপডেট করুন:
নিজের প্রোফাইল আপডেট করা অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে। নিয়মিত আপনার প্রোফাইল কে আপডেট করার চেষ্টা করুন এবং নতুন নতুন তথ্য যুক্ত করুন। লেটেস্ট আপডেট গুলো প্রোফাইল এর মধ্যে যুক্ত করুন। এতে করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার পজিশন বৃদ্ধি পাবে এবং কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
মূলত এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ধরনের প্রোফাইল সেটআপ করার নিয়ম রয়েছে যা আপনারা চাইলে আমি পরবর্তীতে একটি আর্টিকেল আকারে দিতে পারি। অবশ্যই উপরে পদক্ষেপগুলো লক্ষ রেখে আপনার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একাউন্ট অপটিমাইজ করবেন। সঠিকভাবে একাউন্ট অপটিমাইজ করতে পারলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং ক্লায়েন্টের কাছে একটি পজিটিভ চিন্তা ভাবনা কাজ করে।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর কমিশনার হার
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী এখানে কমিশন হার দেয়া রয়েছে।
1. Upwork এর কমিশন হার
- আপনি যখন একটি নতুন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ শুরু করবেন, আপওয়ার্ক তখন আপনার উপার্জনের প্রথম $500 এর 20% কমিশনার হার নিবে।
- একবার আপনি একজন ক্লায়েন্টের কাছ থেকে $500 এবং $10,000 এর বেশি উপার্জন করলে, তারা 10% কমিশনার হার নিবে।
- আপনি যদি একই ক্লায়েন্টের সাথে $10,000 এর বেশি উপার্জন করবেন, তখন তারা তাদের ফি কমিয়ে 5% করে কমিশনার হার নিবে।
2. Fiverr এর কমিশন হার
- ফাইভার প্রত্যেককে প্রতিটি কাজের থেকে যে ডলার আয় করবেন তার উপর 20% ফি কমিশনার হার নিবে।
- আপনি যত বেশি কাজ করবেন এবং সেলার লেভেল উপরে যাবে, ফি কম হতে পারে (*সব ক্ষেত্রে না)।
3. Freelancer.com এর কমিশন হার
- Freelancer.com এর ফি নির্ভর করে আপনার প্রজেক্টের মূল্য কত তার উপর।
- মূলত কমিশন হার 10% থেকে শুরু হয়, কিন্তু আপনি যত বেশি সফল প্রজেক্ট করবেন, এটি তত কমে যাবে (*শর্ত সাপেক্ষে)।
4. Guru এর কমিশন হার
- আপনি যদি একজন প্রাইমারি বা নতুন সদস্য হন তাহলে গুরু 9% করে কমিশনার রেট নিবে।
- আপনি লেভেল বাড়ার সাথে সাথে ফি 4.5% পর্যন্ত কম হতে পারে।
5. PeoplePerHour এর কমিশন হার
- আপনি যখন PeoplePerHour-এ একটি নতুন ক্লায়েন্টের সাথে শুরু করেন, তখন তারা আপনার উপার্জনের প্রথম £250 (অথবা অন্যান্য মুদ্রায় সমতুল্য) এর 20% কমিশনার হার নিবে।।
- এর পরে, একই ক্লায়েন্টের সাথে আপনি যে ডলার উপার্জন করবেন তার জন্য এটি 5% করে কমিশনার হার নিবে।
মনে রাখবেন যে এই কমিশনার হার গুলি পরিবর্তিত হতে পারে। লেটেস্ট আপডেট পাওয়ার জন্য আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে তথ্য নিতে পারেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু টিপস
আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে যাবেন অবশ্যই নিচের দেয়া টিপস গুলো ফলো করবেন। নিচে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কিছু টিপস নিচে দেয়া হলো:
১. আপনার দক্ষতা ডেভলপ করুন:
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞতা এবং স্কিল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে বিশেষভাবে নজরে দিতে হবে। এর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের কোর্স, টিউটোরিয়াল কিংবা অনলাইন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পারেন। আর এক্ষেত্রে যদি আপনি কোন প্রকার খরচ করতে না চান তাহলে আপনি ইউটিউবে সাহায্য নিতে পারেন। ইউটিউবে ফ্রিতে সবকিছু শেখা সম্ভব যদি ইচ্ছা থাকে।
২. একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন:
পোর্টফোলিও হলো আপনার কাজ এর সংগ্রহশালা যেখানে আপনার সমস্ত এচিভমেন্টগুলো সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। যা আপনাকে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে। বিশেষ করে নতুন ক্লায়েন্টদেরকে আপনার দিকে বেশি আকৃষ্ট করতে অনেক সহযোগিতা করবে। এখানে আপনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, পূর্বের কাজের এক্সপেরিয়েন্স, রিভিউ এবং অন্যান্য বিষয়গুলো যুক্ত করে দিতে পারেন। এটি আপনাকে নতুন নতুন কাজ এবং ক্লাইন্ট পেতে অনেক সহযোগিতা করবে।
৩. সঠিক দাম নির্ধারণ করুন:
আপনার সময় দক্ষতা এবং এক্সপেরিয়েন্স এর উপর ভিত্তি করে আপনার কাজের জন্য সঠিক দাম নির্ধারণ করবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার কাজের পরিমাণের তুলনায় যেন মূল্য কম না হয় অথবা অধিক বেশিও না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এভারেজে একটি প্রাইস রাখার চেষ্টা করবেন যেন ক্লায়েন্টরা আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি একজন নতুন হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমাণে দাম সেট করবেন না না হলে সে ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদেরকে রাজি করানো কঠিন হতে পারে। প্রথম দিকে কম রেখে পরবর্তীতে তার বৃদ্ধি করতে পারেন এতে করে আপনার এক্সপেরিয়েন্স আরো বৃদ্ধি পাবে এবং কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে পরবর্তীতে।
৪. সঠিকভাবে কমিউনিকেশন করুন:
আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সব সময় প্রফেশনাল ভাবে কমিউনিকেট করার চেষ্টা করবেন। যেন কখনোই মনে না হয় আপনি তাদের কাছ থেকে কাজের ভিক্ষা চাচ্ছেন, তাদের সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করবেন এবং প্রফেশনাল ভাবে কমিউনিকেশন করবেন। অবশ্যই কমিউনিকেশন এর মধ্যে যদি কোন গ্যাপ না থাকে সেটি লক্ষ্য করে নিবেন। ক্লায়েন্টের যাবতীয় প্রশ্ন এবং সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আগ্রহী ভাবে যেন ক্লাইন্ট বুঝতে পারে আপনি তার কাজের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। এতে করে পরবর্তীতে আবার একই ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি?
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি তা ডিপেন্ড করে ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর। তিনি কোন সেক্টরে কাজ করতে চান এবং ডিমান্ড কিরূপ সব বিষয় লক্ষ্য রেখে সঠিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস খুঁজে বের করতে হবে। তবে সেরা তিনটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো: আপওয়ার্ক, ফাইভার,ফ্রিল্যান্সার ডট কম।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন মার্কেটপ্লেস সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক?
বর্তমানে সব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেই বেশি পরিমাণে কম্পিটিশন তৈরি হয়েছে। তবে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবথেকে বেশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব দেখা যায় Fiverr এর মধ্যে।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কোন মার্কেটপ্লেস সবচেয়ে বেশি লাভজনক?
সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যদি সঠিকভাবে কাজ করা যেতে পারে। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এর পাশাপাশি বেশি পরিমাণে ধৈর্য থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উত্তোলন করতে হয় কোন মাধ্যমে?
আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা পেউনিয়ার, পেপাল কিংবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খুব সহজে উত্তোলন করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সাররা সব থেকে কোন সমস্যার কারণে বেশি আটকায়?
ফ্রিল্যান্সারের মূলত মার্কেটপ্লেসগুলোতে সফল না হওয়ার প্রধান কারণ হলো যথাযথ স্কিল না থাকা ও এর পাশাপাশি ধৈর্যের অভাব। মূলত এই দুটি প্রবলেম এর কারনেই ফ্রিল্যান্সাররা বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয় ও তাদের যাত্রা এখানে শেষ হয়।
ইউটিউব থেকে কি ফ্রিল্যান্সিং শেখা সম্ভব?
আপনার যদি সঠিক মনভাব থাকে এবং প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি চাইলে ইউটিউব থেকেও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন। বর্তমানে সব কাজের জন্য ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও পেয়ে যাবেন। সবগুলো ভিডিও দেখে সেখান থেকে নলেজ নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এর পাশাপাশি অনেক ধৈর্য এবং কাজ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে।
উপসংহার
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ক্ষেত্রে একটি কমন প্রশ্ন হল নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি। এই প্রশ্নের উত্তর একেকজনের কাছে একেক রকম হতে পারে। তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমি একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি যে কোন মার্কেটপ্লেসগুলো নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে।
এছাড়াও কিভাবে আপনি সঠিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস খুজবেন এই বিষয়ে আমি কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরেছি। আমি মনে করি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস মূলত ডিপেন্ড করে তার স্কিল, অভিজ্ঞতা এবং ধৈর্যের উপর। তবে সবগুলো মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভালো কিন্তু সব বিষয় বিবেচনা করলে দেখা যায় ফাইভার, আপওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম এগুলোর মধ্যে সেরা।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল অর্থাৎ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন। এই বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কোন মতামত কিংবা প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। ইনশাল্লাহ যথাযথ সময়ের মধ্যে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে। তো আজকে এই আর্টিকেল এই পর্যন্তই পরবর্তীতে আমরা অন্য একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.